‘চিবিয়ে তো খাননি, রিজার্ভের টাকা গিলে ফেলেছেন’

নিজস্ব প্রতিবেদক

অক্টোবর ২৮, ২০২২, ০৪:৩২ এএম

‘চিবিয়ে তো খাননি, রিজার্ভের টাকা গিলে ফেলেছেন’

দেশে অর্থনৈতিক সংকটের মূল কারণ সরকারের ‘দুর্নীতি’ বলে  মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রিজার্ভ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে ‘চিবিয়ে নয় সরকার রিজার্ভ  গিলে ফেলেছ‘ বলেও তিনি জানান।

বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে যুবদলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত যুব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

সমাবেশের মঞ্চে দুটি চেয়ার খালি রাখা হয়। ওই চেয়ার দুটির একটিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং আরেকটিতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি রাখা হয়।

বৃহস্পতিবার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি পায়রা বন্দরের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রীর রিজার্ভ বিষয়ে দেওয়া বক্তব্যের প্রসঙ্গে টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলছেন- বিরোধীরা অর্থাৎ বিএনপি বলে যে, রিজার্ভের টাকা কোথায় গেল? অবশ্যই আমরা জিজ্ঞাসা করতে চাই, রিজার্ভের টাকা কোথায় গেল? তিনি (প্রধানমন্ত্রী) উত্তর দিয়েছেন, রিজার্ভের টাকা কি চিবিয়ে খায়? আমরা বলছি, চিবিয়ে তো খাননি, রিজার্ভের টাকা গিলে ফেলেছেন।”

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, “তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন, পায়রা বন্দরে খরচ করা হয়েছে। কিন্তু পায়রা বন্দরে খরচ করার জন্য রিজার্ভের টাকা না। রিজার্ভের টাকা হচ্ছে যখন বাইরে থেকে পণ্য আমদানি করবেন, সেই টাকা ডলারে পরিশোধ করবেন। রিজার্ভের টাকা হচ্ছে দেশে যখন অর্থনৈতিক সংকট দেখা দেবে, তখন সেই সংকট দেখবেন।”

বিষেষজ্ঞদের অভিমত উল্লেখ করে পায়রা বন্দর প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেন, “বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পায়রা বন্দর কার্যকর হতে পারে না। কারণ পানির যে গভীরতা দরকার, সেই গভীরতা সেখানে নাই। সেখানে সুপার ড্রেজার লাগিয়েছেন। এই সুপার ড্রেজারের জন্য আরও সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা খরচ করে সেখানে আবার চুরির ব্যবস্থা করেছেন।”

আওয়ামী লীগের কম্পন শুরু হওয়ায় তারা  বিএনপির  সমাবেশগুলো বন্ধ করতে ধর্মঘট করাচ্ছেন বলেও উল্লেখ করেন বিএনপি মহাসচিব।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “সমাবেশ করে ক্ষমতায় চলে গেছি’ আমরা এমন মনে করছি না, আমরা মনে করছি আপনাদের কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে গেছে। যে কারণে সমাবেশগুলো বন্ধ করতে আপনারা পেটুয়া ইউনিয়নকে দিয়ে ধর্মঘট ডাকাচ্ছেন।”

 

যুব সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না ও যুগ্ম সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টনের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, সাইফুল আলম নিরব, ঢাকা মহানগর বিএনপির রফিকুল আলম মজনু।

Link copied!