‘পঁচাত্তরের পরে সংস্কৃতি অঙ্গনে নেমে আসে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প’

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগস্ট ২৫, ২০২১, ০৫:৪০ পিএম

‘পঁচাত্তরের পরে সংস্কৃতি অঙ্গনে নেমে আসে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প’

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পরই  দেশের সংস্কৃতি অঙ্গনে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প নেমে আসে। তবে শেখ হাসিনা জেগে আছেন বলেই বাংলাদেশ শান্তিতে আছে। তিনিই আমাদের সংস্কৃতির পুরোধা এবং অভিভাবক।

মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘স্মরণে শ্রদ্ধায় ৭৫’ শিরোনামে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি-বিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত শোকানুষ্ঠানের বক্তারা এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও  দর্শন  নিয়ে আলোচনা করাসহ বঙ্গবন্ধুকে ঘিরে রচিত বিভিন্ন কবির কবিতা থেকে আবৃত্তি  ও ‘অভিশপ্ত আগস্ট ’নামে একটি নাটক পরিবেশন  করা হয়।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও দলের  সংস্কৃতি বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান মঞ্চসারথি আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে শোক অনুষ্ঠানে  প্রধান অতিথি ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

ডা: নুজহাত চৌধুরীর সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী  ডা. দীপু মনি ও সংস্কৃতি-বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য সচিব অসীম কুমার উকিল এমপি।

প্রধান অথিতির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, যার শ্রম ঘাম ও নেতৃত্বে আমাদের স্বাধীনতা রচিত হলো, তারই রক্তে রঞ্জিত হলো স্বাধীন বাংলাদেশ। মানবসভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে নির্মম ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সপরিবারে।

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি মোশতাক-জিয়া গং জড়িত না থাকলে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড সম্ভব ছিল না। এজন্যই পুরস্কার হিসেবে জিয়া সেনাপ্রধান হয়েছিলেন।’

পঁচাত্তরের পরে আমাদের সংস্কৃতির অঙ্গনে নেমে এসেছিল সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প উল্লেখ করে আওয়ামী রীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন,  ‘ শেখ হাসিনা জেগে আছেন বলেই বাংলাদেশ শান্তিতে আছে। তিনিই আমাদের সংস্কৃতির পুরোধা এবং অভিভাবক।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ ও শিক্ষামন্ত্রী ডা দীপু মনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড শুধু সরকার পরিবর্তনের জন্য সংঘটিত হয়নি। বরং মুক্তিযুদ্ধের চার মূলনীতি ধ্বংস করে পাকিস্তানী ভাবধারার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাই ছিল খুনিদের লক্ষ্য। এজন্যই খুনিরা জয় বাংলার বদলে বাংলাদেশ জিন্দাবাদ চালু করেছিল।

সংস্কৃতি-বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য সচিব অসীম কুমার উকিল বলেন, ‘বাঙালি জাতি ও বাংলা ভাষার জাতিরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে আমাদের জাতির পিতা পৃথিবীর সভ্যতার সাথে পাল্লা দিয়ে আলোচিত হবেন, চর্চিত হবেন দুনিয়া জুড়ে।

তিনি বলেন, রক্ত দিয়ে বঙ্গবন্ধু আমাদের এই সভ্যতাকে বাধ্য করে গেছেন তাঁকে অবনত মস্তকে স্মরণ করতে, শ্রদ্ধা করতে এবং তাঁর জন্য অশ্রুজল বিসর্জন দিতে।

সভাপতির ভাষণে আতাউর রহমান বলেন, বিশ্ব ইতিহাসে বহু রাষ্ট্রনেতা ও জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের নজির আছে। কিন্তু আমাদের জাতির পিতার মতো সপরিবারে নৃশংস হত্যার শিকারের নজির দ্বিতীয়টি নেই।

Link copied!