‘শর্তসাপেক্ষে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে তাকে গৃহবন্দি করে রেখেছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৩, ০৫:০১ এএম

‘শর্তসাপেক্ষে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে তাকে গৃহবন্দি করে রেখেছে’

সরকার শর্তসাপেক্ষে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে তাকে প্রকারান্তরে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা, রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তিকে জনবিচ্ছিন্ন এই সরকার ভয় পায় উল্লেখ করে বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, “তিনি ( খালেদা জিয়া) দেশের মানুষের সাহসের বাতিঘর। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্রের ঐক্যের প্রতীক, আশা-ভরসার নির্ভরযোগ্য মজলুম দেশনেত্রী। অথচ তার ওপর জেল-জুলুম, নির্মম-নির্যাতন হয়েছে, তার অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। সরকারের অন্যায় চাপ ও অগণতান্ত্রিক কাজের প্রতি মাথানত করেননি, আপস করেননি। চলমান গণ-আন্দোলন সফল করে তার লালিত স্বপ্ন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সম্মিলিত সংগ্রাম চলছে।”

খালেদা জিয়ার ৫ম কারাবন্দি দিবস উপলক্ষ্যে দেওয়া বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ৮ ফেব্র“য়ারি বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে এক কলঙ্কের দিন। ২০১৮ সালের এই দিনে প্রতিহিংসাপরায়ণ আওয়ামী লীগ সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে ১/১১-এর জরুরি অবস্থায় সরকারের বিরাজনীতিকরণের মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশি সাজা দিয়ে অন্যায়ভাবে আটক রেখেছে। 

বিএনপি মহাসচিব বলেন, শুধু ফরমায়েশি সাজা দিয়ে তাকে আটক রাখা হয়নি, তার জামিনের অধিকার কেড়ে নিয়ে ২৫ মাস অন্যায়ভাবে কারাগারে বন্দি রেখেছিল। সু-চিকিৎসার অভাবে তার অসুস্থতা তীব্রতর, জীবন হুমকির মুখে পড়ে। তার মুক্তির দাবিতে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে উঠে। এ আন্দোলন দমন করতে সরকার নিষ্ঠুর নির্যাতন চালায়। দেশ-বিদেশে সর্বত্র খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি সোচ্চার হয়। আইনগতভাবে বারবার তার জামিনের আবেদন করা হলেও সরকারের হস্তক্ষেপে জামিন দেওয়া হয়নি। আইনি লড়াই করতে বিদেশ থেকে আইনজীবী আসতে চাইলেও সরকারের আপত্তির কারণে তাকে আসতে দেওয়া হয়নি।

বিবৃতিতে বলা হয়, হত্যা, গুম, খুন, মিথ্যা মামলা, গ্রেফতার ও ব্যাপক দমন-নিপীড়ন চালিয়ে, মানবাধিকার হরণ করেও ফ্যাসিস্ট সরকার আন্দোলন দমন করতে পারছে না। সব বাধা অতিক্রম করে আন্দোলন এগিয়ে চলছে দ্রুতগতিতে।

Link copied!