যেমন হবে বৈশ্বিক প্লাস্টিক চুক্তি

মেহেদী আল আমিন

অক্টোবর ১২, ২০২৩, ০৩:৩৩ এএম

যেমন হবে বৈশ্বিক প্লাস্টিক চুক্তি

সংগৃহীত ছবি

প্লাস্টিক পরিবেশ দূষণ করে, মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, এটা সাধারণ মানুষ যেমন বুঝে গিয়েছে, আর এটা মেনে নিয়েছেন পৃথিবীর নীতিনির্ধারকেরাও।

জাতিসংঘের পরিবেশ পরিষদের (ইউএনইএ) এক সভায় বিশ্বের ১৯৩টি দেশের প্রতিনিধিরা একত্রিত হয়ে ২০৪০ সালের মধ্যে যাতে প্লাস্টিক দূষণ বন্ধ হয়, এজন্য একটি বৈশ্বিক চুক্তিতে আসার ব্যাপারে সবাই একমত হয়েছেন। আর চুক্তিটির খসড়া চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে ২০২৪ সালের মধ্যে।

একটি কমিটি গঠন করা হয় যার নাম ইন্টার-গভর্নমেন্টাল নেগোসিয়েশন কমিটি, সংক্ষেপে আইএনসি। এ কমিটির আয়োজনে চার ধাপে আলোচনার পর চুক্তির খসড়া চূড়ান্ত হবে।

কিন্তু জনগণ বুঝলেই তো আর হবে না, আবার হবে না কমিটি গঠন করলেও। এর পেছনে কাজ করবে শত শত হিসাব-নিকাশ। হিসাব-নিকাশ শেষে দেখা যাবে একেক দেশ একেক রকমের কথা বলছে। কারো আছে পৃথিবীর সর্বোচ্চ তেলের মজুদগুলো আবার কোনো কোনো দেশের অভ্যন্তরে অনেক পরিমাণে অপরিশোধিত তেল পরিশোষিত হয়। তেলের গাদ হিসেবে প্লাস্টিকের কদর যত থাকবে এসব দেশের কাছে ততটা থাকবে না তাদের কাছে, যারা তেল উত্তোলন ও পরিশোধন করে না। বা করলেও খুব কম।

এ দুই ভাগে, বলা যায় এ দ্বন্দ্ব কমাতে শুরু হবে আলাপ আলোচনা আর দর কষাকষি। ছাড় দেয়া আর মেনে নেয়া। তবে যারা আলাপ আলোচনা দীর্ঘ বা কার্যত ব্যর্থ করতে চাইবে, চুক্তিটিকে হালকা করতে চাইবে কিংবা চুক্তিটি মেনে নিলেও যে কোনো ধরনের প্লাস্টিক পণ্য বন্ধের ব্যাপারে বাধ্যবাধকতা উঠিয়ে দিতে বলবে, তারাও যে নির্দয় তা কিন্তু সরাসরি বলা যায় না। তারা এখানে নিজ নিজ দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ দেখেই এমনটি বলবে। দেশের অভ্যন্তরে ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও তাদের শিল্পগুলোর সুরক্ষার জন্যই করবে, যা তাদের জিডিপি বাড়িয়ে চলেছে।

যেমন আলোচনা হবে প্লাস্টিকে ব্যবহৃত বিভিন্ন রাসায়নিক, কঠিন বর্জ্য, মাটি ও পানি দূষণ নিয়ে, তেমনি কথা হবে বিভিন্ন প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন করা না করা আর এগুলোর বাণিজ্যিক বিধিনিষেধ নিয়ে।

তবে আলাপ আলোচনায় গুরুত্বের সাথে আগাবে বিভিন্ন ধরনের অপ্রয়োজনীয় কিংবা একবার ব্যবহারযোগ্য কিংবা যে প্লাস্টিক পণ্যগুলো সহজেই এড়িয়ে যাওয়া যায়, এমন বিষয়গুলোকে কেন্দ্র করে। প্লাস্টিক বর্জ্যের আন্তঃসীমান্ত পরিভ্রমণ রোধসহ আরও অনেক বিষয়ে আলোচনা হবে। আলোচনার পরে হয়তো কিছু সিদ্ধান্ত হবে কোন কোন পণ্য বন্ধের ব্যাপারে। কোনটি পরিপালনে সময়সীমা বেঁধে দেয়া না দেয়া নিয়ে চলবে এক ম্যারাথন কূটনৈতিক দরকষাকষি। আবার হয়তো এমন কিছু অপশন থাকবে যেখানে কোনো দেশ চাইলে চুক্তির কোনো ধারা এড়িয়ে গিয়ে স্বাক্ষর করবে। পাশাপাশি থাকবে, যুব, আদিবাসী, বিভিন্ন এনজিও, ব্যবসায় এসোসিয়েশনের উপস্থিতি। তারাও কথা বলবে, দেবে প্রস্তাবনা। ইতিমধ্যে আলোচনা শুরুও হয়ে গেছে, প্রস্তাবনা দিয়েছেন অনেক এনজিও।

এখন যদি কেউ জানতে চায় এ চুক্তির যে দর কষাকষি হতে যাচ্ছে তা কেমন হবে, চুক্তিটাই বা শেষ পর্যন্ত কেমন হবে। এক্ষেত্রে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট যে বিষয়গুলো নিয়ে, আরেকটু সত্যের কাছাকাছি বললে নিজ নিজ দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ বজায় রেখে যে ম্যারাথন আলোচনা চলবে সেগুলো নিয়ে কিছুটা চিন্তাভাবনা করলে একটা ধারণা পাওয়া যেতে পারে।

তবে ইতিমধ্যে একটা ধারণা পেয়েছেন, সুতরাং আশাবাদী হবেন নাকি অল্প আশাবাদী হবেন নাকি সম্পূর্ণ আশাহত হবেন, এটা আপাতত ভাবনার বিষয়। আপাতত আগামী পর্বের দরকষাকষির বড় ব্যাপার হচ্ছে জিরো ড্রাফট। একটা রূপরেখা অন্তত করা গেছে যেখানে আছে নানা অপশন।

তবে চার ধাপের দুই ধাপ আলোচনা ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। এতদিন ধরে শুধু রুলস অব প্রসিডিউরের আলোচনাতেই ব্যস্ত রেখেছে প্লাস্টিক উৎপাদনকারী দেশগুলো। এটা হলো সিদ্ধান্ত কি ভোটের মাধ্যমে হবে নাকি সবাই মিলে একমত হতে হবে, যেমনটা হয় বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনে। মূল যে কী কী বিষয় থাকবে সে আলোচনা শুরুই করা যায়নি, কিন্তু দুই পর্ব মঞ্চস্থ হয়ে গেছে।

এজন্যই আমি বলে যাচ্ছি আলোচনা হবে। হয়েছে তো বলতে পারছি না। বিষয়বস্তুতে কোনো কথা না হলে তাকে আলোচনাই বা বলি কিভাবে।

তবে তৃতীয় পর্বে মূল আলোচনা দিয়েই শুরু হবে বলে ধরে যদি নেই তাহলে কী হবে সে বিষয়টি একটু জেনে নেয়া যাক।

সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েতের মতো উপসাগরীয় তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো, ভারত ও ব্রাজিলের মতো বড় জনসংখ্যার দেশ, আবার যারা বিপুল সংখ্যক অপরিশোধিত তেল আমদানি করে পরিশোধন করে- তারা তাদের সর্বোচ্চটা দিয়ে চাচ্ছে আলোচনা প্রক্রিয়াটা দীর্ঘায়িত হোক বিঘ্নিত হোক এমনকি এটাও তারা চাচ্ছে যে চুক্তির মূল আলোচনাটা যতটা পিছিয়ে দেয়া যায়।

প্রথম ধাপে আলোচনা হয়েছিল উরুগুয়েতে, গতবছর ২৮ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

এমনকি দ্বিতীয় পর্বের আলোচনা যেটা ২৯ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত চলেছে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে, এতে তারা আলোচনায় এমন ভাষা ব্যবহার করেছে যা আমার মতো সাধারণ মানুষের কাছেই দৃষ্টিকটু মনে হয়েছে।

সাংবাদিক হিসেবে সুযোগ হয়েছিল প্যারিসে অনুষ্ঠিত হওয়া দ্বিতীয় ধাপের আলোচনায় উপস্থিত থাকার। এ অভিজ্ঞতা থেকে আপনাদের জানাতে পারব হয়তো সামান্যই। তবে আলোচনা কেমন হয়েছে এটা বুঝার জন্য একটা উদাহরণ দেই। 

আন্তঃসীমান্ত প্লাস্টিক দূষণে জর্জরিত বাংলাদেশ। কিন্তু আমার দেশ থেকে এটি বন্ধের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়ার প্রস্তাব রাখা হয়নি। শুধু এ বিষয়ে গবেষণা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। আর আন্তঃসীমান্ত প্লাস্টিক বর্জ্য পরিভ্রমণ বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ফিলিস্তিন।

আমি কূটনীতির ভাষাগুলোর তরজমা জানি না। কিন্তু সাধারণভাবে বলতে পারি যে তেল উৎপাদনকারী আর পরিশোধনকারী দেশগুলোর প্রতিনিধিরা যেসব ভাষা ব্যবহার করেছে মাইক নিজের কাছে রেখে সময় ক্ষেপণের, আমি তাকে কূটনৈতিক ভাষা বলতে পারি না।

দ্বিতীয় ধাপে একটি জিরো ড্রাফট (প্রাথমিক খসড়া) তৈরি করতে ব্যর্থ হয়ে ইন্টারগভর্নম্যান্টাল নিগোশিয়েটিং কমিটি (আইএনসি) প্রেসিডেন্সি নিজেই দায়িত্ব নেন নিজের ক্ষমতা ব্যবহার করে প্রাথমিক খসড়াটি তৈরি করার, রুলস অব প্রসিডিউর সম্পর্কিত আলোচনাকে পাশ কাটিয়ে। আর সেই জিরো ড্রাফটই কিছুদিন আগে আগে প্রকাশ করেছে আইএনসি সচিবালয়। তৃতীয় ধাপে আগামী ১৩-১৯ নভেম্বর কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে এ প্রাথমিক খসড়ার ওপর আলোচনা হবে বলে আশা করা যেতে পারে।

জিরো ড্রাফটের বিষয়ে আলোচনায় ঢোকার আগে আরেকবার স্মরণ করিয়ে দেই, প্লাস্টিক হচ্ছে জ্বীবাশ্ম জ্বালানির উপজাত যাকে ইংরেজিতে বলে বাইপ্রডাক্ট। সহজ বাংলায় গাদ। তেল উত্তোলনের সময় আর পরিশোধনের সময় যে গাদ তৈরি হয় তা থেকেই তৈরি হয় প্লাস্টিক। সে হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকির বিবেচনায় তেল আর প্লাস্টিক একই জিনিস।

প্লাস্টিক পচে গিয়ে মাটির সাথে মিশে যেতে শত বছর থেকে ১০ লাখ বছর পর্যন্ত লাগতে পারে। আর এ পুরো সময়টা জুড়ে সে তাপ নির্গত করতে থাকবে।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ২০৫০ সালে মহাসাগরে মাছের চেয়ে প্লাস্টিকের সংখ্যা বেশি থাকবে।

এখন যারা তেল উৎপাদন করে, যারা তেল পরিশোধন করে তাদের কাছে প্লাস্টিক একটি বড় ব্যবসা। তারা কিছুতেই চাইবে না প্লাস্টিক উৎপাদন ও ব্যবহার বন্ধ হয়ে যাক। এমনকি তাদের নিজেদের জনগণের স্বাস্থ্যঝুঁকি হলেও না। কারণ মানুষ নয় ব্যবসায়ীদের স্বার্থই এখন বৈশ্বিক পুঁজিতন্ত্রের ধর্ম।

এবার জিরো ড্রাফটের বিষয়ে আসা যাক। প্রথমেই সমস্যাজনক ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বিষয়ে কী বলা হলো দেখা যাক। এখানে উল্লেখ্য যে এটি একেবারেই একটি অপশন। এখন রাষ্ট্রগুলো আলোচনা করবে। আলাপ আলোচনা করবে কোন ধারাটি কেমন হবে। কিছু যোগ হবে কিনা, কিছু বাতিল হবে কিনা। বা সম্পূর্ণ ধারাটিই বাতিল হবে কিনা। আবার নতুন ধারাও যুক্ত হবে কিনা। সবই নির্ভর করে রাষ্ট্রগুলো কী চায় কীভাবে চায় তার ওপর।

সমস্যাজনক এবং পরিহারযোগ্য প্লাস্টিক বিষয়ে দুটি অপশন রাখা হয়েছে। প্রথমটিতে বলা হয়েছে রাষ্ট্রগুলো এমন প্লাস্টিকের উৎপাদন, বিক্রয়, বিতরণ, আমদানি ও রফতানি করতে দেবে না, সহজ কথায় বন্ধ করবে। এমন প্লাস্টিকের মধ্যে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের কথাও বলা হয়েছে। আবার কোন দেশ চাইলে যে কোন পণ্যের ক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতার অব্যাহতি রেখেও সাইন করতে পারবে।

এছাড়াও বলা হয়েছে কিছু পণ্যের উৎপাদন, বিপণনসহ অন্যান্য কার্যক্রম কমিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে।

আর দ্বিতীয় অপশনটিতে বলা হয়েছে রেগুলেট ও কমানোর কথা।

তবে এখনো ঠিক হয়নি কোনগুলো সমস্যাজনক ও পরিহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্য। এছাড়া একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক কোনগুলো পরিহার করা হবে, এক্ষেত্রেও একই অবস্থা। তার মানে আলোচনা আরও অনেক বাকি। কিন্তু হাফটাইম তো হয়ে গেছে।

তবে এখানে প্রাথমিক খসড়াতে একটা সময় নির্ধারণ করার জন্য বলা হয়েছে যে সময়ের মধ্যে কিছু সমস্যাজনক ও একবার ব্যবহার উপযোগী প্লাস্টিক পণ্য এগুলো বন্ধ, কমানো বা রেগুলেট করা হবে। আর কি পরিমাণ কমানো হবে তারও একটা টার্গেট রাখার কথা আছে এতে। তবে কমানো বা বন্ধ করা আর তার জন্য সময় নির্ধারণ করবে রাষ্ট্রগুলো। আবার অনেকে এসব টার্গেটের বিরোধিতা করবে।

একই রকম ব্যবস্থা রাখা হয়ছে ক্ষতিকর কেমিক্যালের বিষয়ে। ক্ষতিকর কেমিক্যাল আছে এমন প্লাস্টিক পণ্য বিষয়ে তিনটি অপশন রাখা হয়েছে প্রাথমিক খসড়াটিতে। উৎপাদন, বিপণন, সরবরাহ, আমদানি ও রফতানি বন্ধে এবং এ পণ্যগুলো উঠিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবে সরকারগুলো।

দ্বিতীয় অপশনে বলা হয়েছে কমানোর জন্য এবং এলিমিনেট করার মতো পদক্ষেপগুলো নেয়ার কথা। আরও বলা হয়েছে দেশগুলো তাদের নিজ নিজ জাতীয় পরিকল্পনাতে এ চুক্তির প্রতিফলন ঘটাবে।  

তবে জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্লাস্টিক পণ্যে ১৩ হাজার রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। এদের মধ্যে উদ্বেগ আছে এমন ৭ হাজার রাসায়নিক নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ৩,২০০টি রাসায়নিক চিহ্নিত করা হয়েছে যেগুলোতে এক বা একাধিক এমন উপাদান আছে যা বিষাক্ত এমনকি মানবদেহে ক্যানসারও তৈরি করতে পারে।

কোন কেমিক্যাল বন্ধ হবে, কোনটার বিকল্প হিসেবে কোনটা থাকবে এসব আলোচনায় কিন্তু এখনো ঢোকা হয়নি।

এদিকে নাইরোবিতে পরবর্তী ধাপে আলোচনার পর শেষ ধাপের আলোচনা হবে আগামী এপ্রিলে কানাডাতে। পরিবেশবিদরা বলছেন একবার ব্যবহার উপযোগী প্লাস্টিক হয়তো বন্ধ হয়ে যেতে পারে তাই বড় বড় কর্পোরেশনগুলোর উচিত আগেভাগেই ব্যবসায়ের সম্পূর্ণ চেইন থেকে একবার ব্যবহার উপযোগী প্লাস্টিক সরানোর বিষয়ে পরিকল্পনা ও কাজ শুরু করে দেওয়ার। আমি অবশ্য এ ভয় ব্যবসায়ীদের দেখাতে চাচ্ছি না। মানে আলোচনা আর চুক্তিকেন্দ্রিক দর কষাকষির গতিপ্রকৃতি দেখে বরং বলতে ইচ্ছে করছে, রিল্যাক্স।

আরও একটা বিষয়। চুক্তিটি মানতে আইনগতভাবে দেশগুলো বাধ্য থাকবে, এটা এখনো বহাল রেখেই আলাপ আলোচনা আগাচ্ছে। তবে যদি শোনা যায় যে চুক্তি হয়েছে তবে তা মানার কোন বাধ্যবাধকতা নেই, সেক্ষেত্রেও খুব বেশি অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

আর আসন্ন ধাপের আলোচনায় যদি আবার রুলস অব প্রসিডিউর নিয়ে কথাবার্তা আগায় আর মূল বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা একটু পেছায়, কেমন হবে?

তবে সম্পূর্ণ আশাহত হওয়ার সুযোগ নেই। একটা প্রক্রিয়া যেহেতু শুরু হয়েছে কিছু বাস্তবসম্বত আর পরিবেশবান্ধব সিদ্ধান্ত হবে অবশ্যই।

তবে সারাবিশ্বের মানুষের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে। পরিবেশের কথা চিন্তা করে। সমুদ্রে প্লাস্টিকের পরিবর্তে মাছের আবাস বহাল রাখতে সরকারগুলোকে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে। অন্তত সেসব দেশের সরকারগুলো যারা প্লাস্টিক উৎপাদন করে না অথচ এর দ্বারা দূষণের শিকার। আর এক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের উচিত হবে শক্তভাবে সব ধরনের প্লাস্টিকের বিপক্ষে উঁচু স্বরে কথা বলা। কারণ আমরা নিজেরা না যে পরিমাণ প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি করি তার বহুগুণ বেশি প্লাস্টিক বর্জ্য নদীগুলো দিয়ে প্রবাহিত হয় বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে, যায় বঙ্গোপসাগরে।

Link copied!