ডলার আর মার্কিন সামরিক প্রতাপ কি কমছে?

লুৎফর রহমান হিমেল

মে ১৫, ২০২৩, ০৯:০২ পিএম

ডলার আর মার্কিন সামরিক প্রতাপ কি কমছে?

বিপুল প্রতাপশালী বিশ্বমোড়ল যুক্তরাষ্ট্র। তারা গোটা বিশ্বের ওপরই ছড়ি ঘুরিয়ে থাকে। এই ছড়ি তারা কারণে অকারণে ঘোরায়। তাদের এই শক্তির উৎস অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র ভাণ্ডার এবং আর্থিক শক্তি। আমেরিকার নেতারাও নির্বাচনী প্রচারে নেমে কোনো রাখঢাক না রেখেই ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলে থাকেন, আমেরিকাকে বিশ্বমোড়ল বানাতে তাঁকে ভোট দিন।

আমেরিকা অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী একটি দেশ। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে এবং অন্যান্য বৈদেশিক লেনদেনে মাধ্যম হিসাবে ব্যবহৃত হয় আমেরিকান ডলার। ডলার এমন প্রভাবশালী মুদ্রা যে, এটিকেই গোটা বিশ্ব আন্তর্জাতিক মুদ্রা বলে চালিয়ে থাকে। যে কোনও ধরনের আমদানি রপ্তানির ক্ষেত্রে মূল্য দিতে হয় এই ডলারে। তাই সবদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকই বৈদেশিক লেনদেনের জন্য বিদেশি মুদ্রা প্রধানত মার্কিন ডলার মজুত করে রাখে। 

গত কয়েক দশক ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমর শক্তিতেও শীর্ষস্থান দখল করে আছে। নতুন নতুন সমরাস্ত্র তৈরি ও বিক্রিতে আমেরিকা শীর্ষে। বিশেষ করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে গত ৭০ বছরে বিশ্বে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার রক্ষক হিসেবে আমেরিকা স্বঘোষিত একটি ইমেজ তৈরি করেছে। সেই ইমেজ রক্ষা করার জন্য তারা সামরিক শক্তি প্রদর্শন করে চলেছে। আমেরিকার মতে, বিশ্বের কোনো দেশে গণতন্ত্র বা মানবাধিকারের সংকট দেখা দিলে, তারা বিশ্বমোড়ল হিসেবে সেসব দেশে হস্তক্ষেপ করে। আফগানিস্তান বা ইরাকসহ বিভিন্ন দেশে মার্কিন হস্তক্ষেপের সেই নমুনা দেখেছে বিশ্ব। এভাবে তারা সামরিক শক্তি প্রদর্শনের উদাহরন বিশ্বের সামনে তুলে ধরে।

বিশ্বের শীর্ষ সামরিক শক্তিধর দেশ এই আমেরিকা। আর তারপরই অবস্থান রাশিয়ার। সামরিক শক্তির ভিত্তিতে প্রতি বছর র‍্যাঙ্কিং করা প্রতিষ্ঠান ‘গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার’ এর তথ্যমতে প্রতিবছরই শীর্ষস্থানটি আমেরিকার দখলেই থাকছে।

মূলত অর্থনীতি ও সামরিক শক্তির ওপর ভিত্তি করেই বিশ্বের কোনো একটি শক্তিধর দেশ ‍‍`সুপার পাওয়ার‍‍` হয়ে ওঠে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে এখন পর্যন্ত আমেরিকাকেই সেই সুপার পাওয়ার হিসেবে ধরা হয়। এক সময়ের সোভিয়েত ইউনিয়ন কিংবা বর্তমানের রাশিয়াকে ধরা হয় যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী। অনেকেই বলছেন, রাশিয়া কিংবা চীনের দখলে যাবে যুক্তরাষ্ট্রের সেই তকমা। তবে কালে কালে অনেক বেলা হলেও যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত বিশ্বের বুকে একমাত্র সুপার পাওয়ার। সেই স্থানটি আর অন্য কেউ দখলে নিতে পারেনি। তবে দিন বদলায়। বিশ্লেষকরা বলেন, চিরদিন সবার সমান নাহি যায়। আমেরিকান সুর্য্যও অস্তমিত হবে একদিন।

সমর শক্তি ও আর্থিক শক্তি একে অপরের পরিপূরক। এ দুটি শক্তিতে বলিয়ান আমেরিকা ও তার মিত্ররা এখন অনেকটাই আগের অবস্থান হারিয়েছে। বিশেষ করে ইউক্রেন যুদ্ধ এবং চীন-রাশিয়া নয়া মেরুকরন পরিস্থিতিকে বদলে দিয়েছে অনেকটাই। ইউক্রেন যুদ্ধের ময়দানে দৃশ্যতঃ রাশিয়া ও ইউক্রেন লড়লেও মূলত এতে সম্পৃক্ত রয়েছে দুটি পক্ষ: আমেরিকা ও তার পশ্চিমা মিত্ররা এবং অপর পক্ষে রাশিয়া ও চীনসহ অন্যরা। এটিই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ। নতুন এক ঠাণ্ডা লড়াইয়ে নিযুক্ত আছে বিশ্বের প্রধান দুই সামরিক পক্ষ। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে নতুন এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে এখন। এই যুদ্ধ বদলে দিচ্ছে এবং বদলে দেবে অনেক কিছুই।

প্রথমে যদি ধরি মার্কিন অর্থনীতির কথা, সেটি এখন মহা বিপর্যস্ত অবস্থায় পড়েছে। অথচ এই ডলারের উর্দ্ধমুখী যাত্রার ইতিহাস বেশিদিনের কথা নয়। মার্কিন মুদ্রার জয়যাত্রা শুরু হয় ১৯৪৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি। মিশরের সুয়েজ খালের পাশে গ্রেট বিটার হ্রদে নোঙর করা ইউএসএস কুইন্সি নামের জাহাজে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্র্যাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট এবং সৌদি বাদশাহ ইবনে সৌদ যে চুক্তিটি করেছিলেন, সেটিই ডলারকে নিয়ে যায় অন্য উচ্চতায়। সেদিন সৌদি তেলে যুক্তরাষ্ট্রের অধিকার এবং ডলারের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধের প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে দেশটিকে সামরিক সহায়তা দেওয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন রুজভেল্ট।

এর মধ্যে অনেকবারই সৌদি-মার্কিন সম্পর্কে উত্তেজনা ছড়িয়েছে, কিন্তু এই চুক্তির বরখেলাপ করেনি কোনো পক্ষই। পরবর্তী দশকগুলিতে তেলের চাহিদা যতই বেড়েছে, মার্কিন ডলারের চাহিদাও বেড়েছে তরতর করে। বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক লেনদেনের মাধ্যম হয়ে ওঠে মার্কিন ডলার।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-উত্তর ব্রেটন উড ব্যবস্থা তথা বিশ্বব্যাংক-আইএমএফকেন্দ্রিক যে ব্যবস্থা সেটি হলো বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা। আমেরিকান ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংককেন্দ্রিক বৈশ্বিক মুদ্রা ডলার ও ব্রাসেলসকেন্দ্রিক বৈশ্বিক লেনদেনের নিজস্ব ব্যবস্থা সুইফট হচ্ছে আন্তর্জাতিক অর্থব্যবস্থা । বৈশ্বিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উভয় ব্যবস্থার ওপরই রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের প্রাধান্য। জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ সদস্যের মধ্যে তিনটি যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্স একই ঘরানার হলেও ভেটো ব্যবস্থার কারণে একতরফা কোনো কিছু আমেরিকা ও তার মিত্ররা সেখানে করতে পারে না। তারপরও আন্তর্জাতিক মুদ্রা ও লোনব্যবস্থায় পশ্চিমাদের রয়েছে একতরফা প্রাধান্য। ডলার, ইউরো ও পাউন্ড হিসাব করা হলে এই তিন মুদ্রায় বিশ্বের সিংহ ভাগ বাণিজ্য লেনদেন হয়। অন্য দিকে সুইফটের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য লেনদেনের হার তার চেয়েও বেশি।

এই বাস্তবতায় নবপর্যায়ের স্নায়ুযুদ্ধ শুরুর পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসঙ্ঘের সংস্কারের রাজনৈতিক বিষয়ের চেয়েও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা তৈরির প্রচেষ্টা বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে এখন। একের পর এক অর্থনৈতিক অবরোধের মাধ্যমে আমেরিকানবিরোধী দেশগুলোকে চাপের মুখে ফেলার কারণে বিপদে পড়া যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী দেশগুলো আমেরিকান ডলার, ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক ও সুইফট নেটওয়ার্কের বাইরে বিকল্প লেনদেন ব্যবস্থা তৈরি করতে শুরু করেছে। চীন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি ও বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার হওয়ার কারণে বিকল্প অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গঠনে নেতৃত্ব দিচ্ছে বেইজিং। ক্রিমিয়া দখলকে কেন্দ্র করে ওই সময় অর্থনৈতিক অবরোধের শিকার রাশিয়া যোগ দিয়েছে এই প্রচেষ্টায়। এতে অনেকটাই সফল বলা চলে মার্কিনবিরোধী মিত্রদের।

বিশ্বব্যাপী প্রায় ৮০ বছরের রিজার্ভের মুদ্রা ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের একচেটিয়া সেই রাজত্ব হারাতে যাচ্ছে মার্কিন ডলার। ইউক্রেন যুদ্ধ ওলটপালট করে দিয়েছে ডলারের একচ্ছত্র সেই আধিপত্যকে। ডলারের ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরতার বিপদ টের পেয়ে শুধু রাশিয়া, চীন, ব্রাজিল, ভারত, সৌদি আরবই নয়, পশ্চিমা দেশগুলোও এখন ডলারের বিকল্প খুঁজছে। ডলারের এই কর্তৃত্ব হারানোর বিষয়ে শঙ্কিত খোদ মার্কিন নীতি নির্ধারকরাও।

এখনও মোটামুটি ভালো অবস্থানেই আছে মার্কিন ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ-এর হিসেবমতে, বিশ্বের মোট রিজার্ভের প্রায় ৫৯ শতাংশই সংরক্ষিত আছে ডলারে। বাকি অংশের মধ্যে আছে ইউরো এবং ইয়েন ও ব্রিটিশ পাউন্ড। অথচ দুই দশক আগেও বিশ্বের মোট রিজার্ভের প্রায় ৭১ শতাংশই ছিল মার্কিন ডলারে। এই হার দ্রুত কমবে বলেই ধারণা অর্থনৈতিক টানাপোড়েনে থাকা দেশগুলোর।

এরকম টালমাটাল পরিস্থিতি ডলার বাদে অন্য মুদ্রায় রিজার্ভের মজুত রাখার প্রবণতা তৈরি হয়েছে বিশ্বের বেশ কয়েকটি প্রভাবশালী অর্থনীতির দেশে। এই প্রবণতায় গতি যোগাচ্ছে চীনের মুদ্রা ইউয়ান। ইউয়ান বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসির রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, ২০২২ সালে চীন ছিলো বিশ্বের ৬১টি দেশের প্রধান বাণিজ্য সহযোগী। অথচ একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য সহযোগী ছিলো মাত্র ৩০টি দেশ। তারওপর ইউক্রেন যুদ্ধে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কোপে পড়া রাশিয়া প্রমাণ করে দিয়েছে, ডলার বাদ দিয়েও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে টিকে থাকা যায়। ডলার বাদ দিয়ে রাশিয়ায় সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত আন্তর্জাতিক মুদ্রার অবস্থানে উঠে এসেছে চীনা ইউয়ান। অথচ ইউক্রেন যুদ্ধের আগে রাশিয়ার বৈদেশিক বাণিজ্যের মাধ্যম হিসেবে ইউয়ানের কোন অবস্থানই ছিলো না।

রাশিয়া ও চীনের মধ্যে গত বছর বাণিজ্য হয়েছে রেকর্ড ১৯০ বিলিয়ন ডলারের। আর এই লেনদেনের বেশির ভাগই হয়েছে রুশ মুদ্রা রুবল ও চীনা মুদ্রা ইউয়ানে। শুধু রাশিয়াই নয়, পশ্চিমাদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে এমন দেশগুলোও এখন ডলারের বিকল্প ভাবছে। ইউরোকে অতিক্রম করে ব্রাজিলের রিজার্ভের দ্বিতীয় প্রধান মুদ্রায় পরিণত হয়েছে চীনা ইউয়ান। ব্রাজিল ছাড়াও রাশিয়ার পথে হাঁটছে সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশগুলো।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে সুইজারল্যান্ডের দাভোসে এক বৈঠকে সৌদি আরব বলে দিয়েছে, তেল রফতানিকারক দেশগুলো ডলার বাদে অন্যান্য মুদ্রাতেও তেল বিক্রি করবে। ডলারের ওপর নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের ইউরোপীয় মিত্ররাও। সম্প্রতি চীনের সাথে এলএনজি বিক্রি সংক্রান্ত একটি চুক্তি করে ফরাসি জ্বালানি কোম্পানি। আর এই লেনদেন সম্পন্ন হয় ইউয়ানে।

ডলার তথা মার্কিন অর্থনীতির যখন রাজ্য হারাবার দশা, তখন সামরিক দিক দিয়েও তারা পিছিয়ে পড়েছে। এগিয়ে গেছে চীন ও রাশিয়া।

সমর বিশারদরা বলছেন, চীন বিস্ময়রকরভাবে তাদের সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে। লন্ডনের ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ-আইআইএসএস এর বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, নিজস্ব সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে ওয়াশিংটন যেমনটি পূর্বানুমান করেছিল, সেই ধারনার অনেকটাই ছাড়িয়ে গেছে চীন এবং রাশিয়া। এর মধ্যে চীন তার সামরিক সরঞ্জামের আধুনিকীকরণের ক্ষেত্রে বেশি এগিয়েছে বিশেষ করে নৌ এবং বিমান বাহিনীর ক্ষেত্রে।

এ ছাড়া ড্রোন, দূরপাল্লার আলট্রা লং রেঞ্জ ব্যালিস্টিক মিসাইল থেকে শুরু করে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান উদ্ভাবনে চীন অবিশ্বাস্য রকম উন্নতি করেছে। টাইপ-৫৫ ক্রুজার যুদ্ধজাহাজ ন্যাটোর নৌবাহিনীর জন্য বিরাট এক ভাবনার কারণ এখন। অস্ত্র-গোলাবারুদ, বিমান প্রতিরক্ষা থেকে শুরু করে পদাতিক আক্রমণের সবধরনের ব্যবস্থা্ই রয়েছে চীনের, ঠিক যেমনটি যুক্তরাষ্ট্রেরও রয়েছে। চীনের ফিফথ জেনারেশন ফাইটার বা পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান এক বিরাট সাফল্য। যাতে কিনা রয়েছে ‍‍`স্টেলথ প্রযুক্তি‍‍`, যার ফলে এটির সুপারসনিক বা শব্দের চেয়ে বেশি গতি সম্পন্ন এবং অতি সূক্ষ্ম বিমান প্রযুক্তি দিয়ে নির্মিত। এসব প্রাযুক্তিক উদ্ভাবন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের বড় মাথাব্যথার কারণ।

বিশ্বের বৃহৎ দেশগুলোর সেনাবাহিনীর শক্তি যাচাই করতে সমীক্ষা চালিয়ে থাকে প্রতিরক্ষাসংক্রান্ত ওয়েবসাইট ‘মিলিটারি ডিরেক্ট’। ওই ওয়েবসাইট তাদের ‘আলটিমেট মিলিটারি স্ট্রেংথ ইনডেক্স’ বা ‘প্রকৃত সামরিক শক্তি সূচক’ সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় জানায়, সামরিক সূচকে ১০০-র মধ্যে ৮২ পয়েন্ট পেয়ে শীর্ষে উঠে গেছে চীন। গুরুত্বপূর্ন বিষয় হলো— সামরিক খাতে সবচেয়ে বেশি খরচ করেও যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান চীনের পরে। চীনের চেয়ে ৮ পয়েন্ট কম পেয়ে ৭৪ পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বের সামরিক শক্তির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে চলে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। তৃতীয় স্থানটি রয়েছে যথারীতি আরেক মহাশক্তিধর সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন বা আজকের রাশিয়া। রুশ-চীন সম্পর্ক এখন সবেচেয়ে গভীর। ফলে মার্কিন মোড়ল এক্ষেত্রেও তাদের কর্তৃত্ব হারিয়েছে। এই অবস্থা যদি ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকে, তাহলে ধরেই নেওয়া যায় যে একতরফা মার্কিন মোড়লিপনার দিন গেল বলে!

লেখক: সম্পাদক, দ্য রিপোর্ট। ইমেইল: lutforrahmanhimel@gmail.com

Link copied!