বিজ্ঞানের অন্যান্য আবিষ্কারের মতো প্লাস্টিকের আবিষ্কারও ছিল চমকপ্রদ ও কল্যাণকর। তবে প্লাস্টিক বর্জ্যের অব্যবস্থাপনা আজ মানবসভ্যতাকে ফেলেছে এক ভয়ঙ্কর বিপদের মুখে। প্লাস্টিক ও ন্যানো প্লাস্টিক বর্জ্য নিঃসৃত রাসায়নিক পদার্থ জীবের শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তন এবং ক্যান্সারসহ নানা রকম দুরারোগ্য ব্যাধির কারণ হতে পারে। প্লাস্টিক দূষণ বিশ্বের সব দেশে এবং সব পরিবেশে এমনকি মাউন্ট এভারেস্টের চূড়া, গভীর সমুদ্রের তলদেশ এবং মেরু অঞ্চলেও বিস্তৃত। পৃথিবীতে প্রতিবছর ৪৫ কোটি টনের বেশি প্লাস্টিক বর্জ্য পরিবেশে যোগ হচ্ছে। এ বর্জ্যের ৫১ শতাংশ উৎপাদন হচ্ছে এশিয়া মহাদেশে। প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপাদন এবং দূষণে চীন পৃথিবীর সর্বোচ্চ অবস্থানে। বাংলাদেশে প্রতিদিন আট লাখ টন প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হয়, তার মধ্যে শতকরা ৩৬ ভাগ পুর্নচক্রায়ণ, ৩৯ ভাগ ভূমি ভরাট এবং বাকি ২৫ ভাগ সরাসরি পরিবেশে দূষক হিসেবে যোগ হচ্ছে। এসব পচনরোধী প্লাস্টিক বর্জ্যের শতকরা ১০ ভাগ পুড়িয়ে ধ্বংস করা হলেও বাকি ৯০ শতাংশের বেশি বিশ্ব পরিবেশকে নানাভাবে বিপন্ন করে তুলেছে। প্লাস্টিক দূষণ হ্রাস করার জন্য সময়োপযোগী আইন তৈরি, আইনের কঠোর প্রয়োগ এবং প্লাস্টিক দূষণের ক্ষতিকর দিক ও করণীয় সর্ম্পকে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
প্লাস্টিক হচ্ছে কৃত্রিমভাবে তৈরি পলিমার, যা মূলত জীবাশ্ম জ্বালানি বা প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে রাসায়নিক উপায়ে তৈরি যেকোনো দ্রব্যের চেয়ে সস্তা, ব্যবহারবান্ধব এবং দীর্ঘস্থায়ী। ফলে বিদ্যুতগতিতে প্লাস্টিকের ব্যবহার বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে এবং অবচেতন মনেই আমরা জল, স্থল ও অন্তরীক্ষের সবকিছুকে প্লাস্টিক দূষণে দূষিত করে ফেলছি। বর্তমান ধারা চলতে থাকলে আগামী ২০৩১ সাল নাগাদ পৃথিবীতে প্লাস্টিকের দ্রব্য উৎপাদন প্রায় দ্বিগুণ হবে। পরিবেশে অপচনশীল নানা রকম প্লাস্টিক বর্জ্যের সঙ্গে অতিবেগুনি রশ্মি এবং পরিবেশের অন্যান্য উপাদানের মিথস্ক্রিয়ার ফলে মাইক্রো ও ন্যানো প্লাস্টিকের কণা এবং নানা রকম ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ, যেমন বিসফেনল-এ, ফথেলেটস, বিসফেনোন, অর্গানোটিনস, পার- এবং পলি ফ্লোরোঅ্যালকাইল পদার্থ এবং ব্রোমিনেটেড ফেইম রিটারডেন্টস পরিবেশে নির্গত হয়। এসব প্লাস্টিক ন্যানো কণা এবং ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ মানুষ ও অন্যান্য জীবের কোষাভ্যন্তরে অবস্থিত ডিএনএ ও আরএনএ অণুর মধ্যে পরিবর্তন করে ক্যান্সার বা স্নায়ুতন্ত্র বিকল এবং প্রজননক্ষমতা নষ্ট করে দিতে পারে।
প্লাস্টিক বর্জ্যের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক দূষণ সৃষ্টি করছে প্লাস্টিক ব্যাগ বা পলিথিন ব্যাগ। পৃথিবীজুড়ে প্রতি মিনিটে ১০ লাখ প্লাস্টিক ব্যাগ আমরা ব্যবহারের পর ফেলে দিচ্ছি। এই বিপুল পরিমান প্লাস্টিক ব্যাগ তৈরিতে প্রতিবছর মোট খনিজ তেলের ৪% ব্যবহৃত হয়। প্লাস্টিক ব্যাগ জৈববিয়োজনশীল নয়। এক টন পাট থেকে তৈরী থলে বা বস্তা পুরালে বাতাসে ২ গিগা জুল তাপ এবং ১৫০ কিলোগ্রাম কার্বন ডাইঅক্সাইড ছড়িয়ে পড়ে। অন্যদিকে এক টন প্লাস্টিক ব্যাগ পোড়ালে বাতাসে ৬৩ গিগা জুল তাপ ও ১৩৪০ টন কার্বন ডাইঅক্সাইড মেশে। প্লাস্টিক দূষণের সবচেয়ে বড় শিকার হচ্ছে সামুদ্রিক প্রতিবেশ। এর ফলে প্রতিবছর ১০ লাখ সামুদ্রিক পাখি এবং ১ লাখ সামুদ্রিক প্রাণী মৃত্যুবরণ করে। কেবল ক্ষুদ্র সামুদ্রিক প্রাণী নয়, বিশাল তিমি মাছও প্লাস্টিক দূষণে মারা পড়ছে। সামুদ্রিক প্রাণী ও মাছের শরীরে ‘মাইক্রোপ্লাস্টিক’ সঞ্চিত হয়ে তা খাদ্যচক্রের মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করছে। বিজ্ঞানীরা হিসাব করে দেখেছেন, প্রতিদিন ৮০ লাখ টুকরা প্লাস্টিক বর্জ্য সমুদ্রে পতিত হচ্ছে। এভাবে জমতে জমতে বড় বড় মহাসাগরে প্লাস্টিক বর্জ্য জমাকৃত এলাকা (প্যাচ) তৈরি হয়েছে। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্রশান্ত মহাসাগরে বর্তমানে প্লাস্টিক বর্জ্যের প্যাচের আয়তন প্রায় ১৬ লাখ বর্গকিলোমিটার। অনুরূপ প্লাস্টিক বর্জ্য জমাকৃত এলাকা অন্যান্য মহাসাগর এবং সাগরেও সৃষ্টি হয়েছে। শুধু সমুদ্রের তলদেশ নয়, সমুদ্রের পানির উপরিস্তরের প্রায় শতকরা ৮৮ ভাগ কম-বেশি প্লাস্টিক দূষণে দূষিত।
জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ দূষণ পৃথিবীতে মানুষের অস্তিত্বের জন্য দুটি বড় চ্যালেঞ্জ। পরিবেশে পচনরোধী প্লাস্টিকজাতীয় দ্রব্য, উপজাত, কণিকা বা প্লাস্টিকের দ্রব্য নিঃসরিত অণুর সংযোজন; যা মাটি, পানি, বায়ুমণ্ডল, বন্যপ্রাণী, জীববৈচিত্র্য ও মানবস্বাস্থ্যে দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করছে। উন্নয়নশীল দেশগুলোর পাশাপাশি উন্নত বিশ্বেও পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ায় জলবায়ু আন্দোলনের অংশ হিসেবে মাটি, পানি ও বায়ু দূষণকারী পলিব্যাগ উৎপাদন ও ব্যবহারের বিরুদ্ধে বিশ্ব জনমত তৈরি হয়েছে। ২০১১ সালের জানুয়ারী মাসে প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহার নিষিদ্ধ করে পৃথিবীর সর্বাধিক প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহারকারী দেশ ইতালি। প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহার নিষিদ্ধ করা দেশের মধ্যে আছে ব্রাজিল, ভুটান, চীন, কেনিয়া, রুয়ান্ডা, সোমালিয়া, তাইওয়ান, তানজানিয়া, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আমেরিকাসহ যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন রাজ্য। এ তালিকা প্রতিবছরই বাড়ছে। ওয়ালমার্ট, টেসকোর মত বৃহৎ চেইন শপগুলো পাটের ব্যাগ ব্যবহারে আগ্রহ দেখাচ্ছে।
প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব জানার সঙ্গে সঙ্গে প্লাস্টিকের বিকল্প সন্ধান করা হচ্ছে। প্লাস্টিক দূষণ রোধে প্রাকৃতিক পলিমারের মাধ্যমে বায়োডিগ্রেডেবল প্লাস্টিক তৈরির প্রযুক্তি আবিষ্কার হয়েছে। প্লাস্টিক বর্জ্য সচেতনভাবে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলে বাণিজ্যিক পুর্নচক্রায়ণ, প্লাস্টিকের বিকল্প পাটজাত দ্রব্যের ব্যবহার, একক ব্যবহার পলিথিন ব্যবহারের পরিবর্তে কাপড়ের, কাগজের কিংবা বহুবার ব্যবহারযোগ্য ব্যাগের ব্যবহার এবং প্লাস্টিক দূষণ সম্পর্কে স্কুলের পাঠ্যসূচিতে তথ্য সংযোজনের মাধ্যমে সচেতন নাগরিক তৈরি কার্যকরী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত। এক হিসাবে দেখা যাচ্ছে বিশ্বের উষ্ণায়নের ১০-১৩ শতাংশ অবদান হচ্ছে প্লাস্টিক বর্জ্য পোড়ানোর মাধ্যমে। এসব ক্ষতিকারক বিবেচনা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা খাদ্যশস্য ও চিনি মোড়কজাত করার জন্য পরিবেশবান্ধব পাটের বস্তা বা থলে ব্যবহারের সুপারিশ করেছে।
ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশে প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্লেট, গ্লাস, কাপ, স্ট্র, বেলুন স্টিক, কটন বাড, চা-কফিতে চিনি বা দুধ মেশানোর দণ্ড ইত্যাদির ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধের পক্ষে ভোট দিয়েছে। জলাভূমি, সমুদ্র এবং উপকূল-সৈকতের দূষণ নিয়ন্ত্রণে একবার ব্যবহার উপযোগী প্লাস্টিকের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ইউরোপে প্রতিবছর প্রায় আড়াই কোটি টন প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপাদিত হয়, এর মধ্যে অন্তত দেড় লাখ টন প্লাস্টিক বর্জ্য মহাদেশের নদ-নদী ও জলাশয়ে গিয়ে জমে। ইউরোপীয় দেশগুলোতে প্রচলিত প্লাস্টিক পণ্যের বিকল্প না পেলে বিদ্যমান প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার ২০২৫ সাল নাগাদ ২৫ শতাংশ সংকুচিত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন তার এলাকায় ২০২৫ সালের মধ্যে বর্জ্য প্লাস্টিক বোতলের ৯০ শতাংশ সংগ্রহ করে পুনরায় ব্যবহার করার জন্য নির্ধারণ করেছে।
প্লাস্টিকের রকমারি পণ্য এবং তার প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত উপাদানেরও বিভিন্নতা রয়েছে। আমাদের দেশে পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য যদি উৎসে আলাদা করা সম্ভব হতো, তাহলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অনেকাংশে সহজ হতে পারতো। সব রকম পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জ্য আলাদাভাবে প্রতিটি বাসা থেকে সংগ্রহ করতে পারলে তা পুর্নচক্রায়ণ করে নতুন উৎপাদন করা সম্ভব। দুধ ও পানীয়জাত দ্রব্যের প্লাস্টিকে বাজারজাত করা বন্ধ করে কাঁচের বোতল ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা উচিত। যেসব কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান কোমল পানীয় বা পানির বোতল ও অন্য যেসব প্লাস্টিক পণ্য বিক্রি করে থাকে, সেসব পণ্য ব্যবহার শেষে আবার ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে। সংগ্রহে রাখা পুরনো প্লাস্টিক পণ্য রিসাইক্লিং প্রক্রিয়ায় আবার নতুন প্লাস্টিক পণ্য তৈরি করতে হবে। এর ফলে প্লাস্টিক দূষণের হাত থেকে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ রক্ষা পাবে। এক্ষেত্রে নাগরিক সমাজ, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং প্লাস্টিকের দ্রব্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে একযোগে কাজ করতে হবে।
দেশের সুনীল অর্থনীতির প্রাকৃতিক সম্পদ বঙ্গোপসাগর আজ প্লাস্টিক দূষণে মারাত্মকভাবে আক্রান্ত। পরিবেশ রক্ষার্থে এবং জনস্বার্থে প্লাস্টিক পণ্যের ওপর অধিকহারে শুল্ক আরোপ করা যেতে পারে। আমাদের দেশে পলিথিনের উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও বিক্রি সম্পূর্ণ বন্ধ করতে হবে। পলিথিনের বিকল্প হিসেবে পাটের বা চটের ব্যাগ, কাপড়ের ব্যাগের সরবরাহ বাড়াতে হবে। প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে পাটজাত পণ্যের ব্যবহারে মানুষজনকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। পাটের সুতা মূলত সেলুলোজ, হেমিসেলুলোজ ও লিগনিন দ্বারা গঠিত। সেজন্য পাটজাত দ্রব্যের বর্জ্য সহজে পরিবেশে পচে মৃত্তিকার উর্বরা শক্তি বাড়ায়। পাট ও পাটপণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে পাটপণ্যকে ‘বর্ষপণ্য ২০২৩’ ঘোষনা করেছে সরকার। বাংলাদেশের সোনালি আঁশের মাধ্যমে তৈরি সোনালি ব্যাগসহ প্লাস্টিকের বিকল্প অন্যান্য পাটজাত দ্রব্য ব্যবহারে জনগণের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করার জন্য সরকার, নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমকে একযোগে কাজ করতে হবে। সর্বত্র পাটজাত পণ্যের প্রাপ্তি সুলভ করতে সরকার এসব পণ্য উৎপাদনে ভর্তুকি প্রদান করে উৎপাদনকারীদের উৎসাহী করে তুলতে পারে।
প্লাস্টিক দূষণ বিশ্বব্যাপী এক জটিল সমস্যা; যা পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য, অর্থনীতি ও মানবস্বাস্থ্যের জন্য এক বিরাট হুমকি। মানবসৃষ্ট প্লাস্টিক দূষণ পৃথিবীতে নানা রকম ইকোসিস্টেমের জন্য এক ভয়ংকর বিপদ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বিপন্ন করে তুলেছে পৃথিবীতে মানুষ ও অন্যান্য জীবের অস্তিত্বকে। পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর প্লাস্টিকজাত পণ্য বা পলিথিন ব্যাগ শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বজুড়েই মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাম্প্রতিককালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সিনথেটিক ব্যাগসহ পরিবেশ বিনাশক অন্যান্য উপাদানের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। ঝুঁকে পড়ছে প্রাকৃতিক তন্তু ব্যবহারের দিকে। দেশে প্লাস্টিক দূষণের মাত্রা ও প্রকৃতি সম্পর্কে সম্যক জ্ঞানলাভ এবং দূষিত পরিবেশকে পুনরুদ্ধারের জন্য জাতীয়ভাবে আন্তঃবিভাগীয় সমন্বিত গবেষণা প্রয়োজন। উন্নত দেশগুলোর পাশাপাশি আমাদেরকেও প্লাস্টিক দূষণ রোধের কার্যক্রমকে গতিশীল করে তুলতে আইনি পদক্ষেপের পাশাপাশি সবাইকে প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করতে হবে।
লেখক: কৃষিবিদ ড. মো. আল-মামুন। প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, প্রজনন বিভাগ, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট।