সুরের আকাশে শুকতারা হয়ে জ্বলছেন ‘আলাউদ্দিন আলী’

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ডিসেম্বর ২৪, ২০২৩, ১১:৪৭ এএম

সুরের আকাশে শুকতারা হয়ে জ্বলছেন ‘আলাউদ্দিন আলী’

আলাউদ্দিন আলী।

একবার যদি কেউ ভালোবাসতো, যে ছিল দৃষ্টির সীমানায়, ইস্টিশনের রেলগাড়িটা, আছেন আমার মোক্তার আছেন আমার ব্যারিস্টার- এই গানগুলো শোনেননি বা গুনগুন করে গাননি এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।

বলছিলাম আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী সুরকার আলাউদ্দিন আলীর কথা। পুরো সত্তর দশক তিনি মাতিয়ে রেখেছিলেন তাঁর সম্মোহনী সুরের মায়াজালে। ২০২০ সালের ৯ আগস্ট মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কাজ করেছেন, সেই মায়াজালে শ্রোতাদের বন্দী করে রেখেছিলেন তিনি। আজ কিংবদন্তি সুরকার আলাউদ্দিন আলীর জন্মদিন।

১৯৫২ সালের ২৪ ডিসেম্বর মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার বাঁশবাড়ি গ্রামে জন্ম নেন তিনি। ১৯৬৮ সালে বাদ্যযন্ত্রশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্র জগতে পা রাখেন। শুরুটা শহীদ আলতাফ মাহমুদের সহযোগী হিসেবে, পরে প্রখ্যাত সুরকার আনোয়ার পারভেজের সঙ্গে কাজ করেন দীর্ঘদিন। এস্রাজ, পিয়ানো, তবলা ও বেহালা বাজাতে পারতেন তিনি।

আলাউদ্দিন আলীর কথা ও সুরে মিতালী মুখার্জির কণ্ঠে ‍‍`এই দুনিয়া এখন তো আর সেই দুনিয়া নাই‍‍` গানটি শোনেননি এমন শ্রোতা খুঁজে পাওয়া যাবে না হয়তো। এমন অসংখ্য কালজয়ী গান সৃষ্টি করেছেন এই কিংবদন্তি। নায়ক জাফর ইকবালকেও গানে এনেছিলেন তিনি। 

তার সুর করা গানের সংখ্যা ৫ হাজারেরও বেশি। আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‍‍`গোলাপি এখন ট্রেনে‍‍` সিনেমার গান দিয়ে তার পরিচিতি ছড়িয়ে পড়ে। ‍‍`ফকির মজনু শাহ‍‍` সিনেমার গানের মাধ্যমে তার নাম স্থায়ী হয়ে যায়।

আলাউদ্দিন আলীর চলে যাওয়ার চার বছর পরেও তাঁর সৃষ্টির জনপ্রিয়তা এতটুকু কমেনি। তাই তাঁর সুরের মূর্ছনায় বাঙালি হৃদয়ের নানা অনুভূতি কল্লোলিত হয় বাংলার পথে-প্রান্তরে। সুরের আকাশে শুকতারা হয়েই জ্বলছেন তিনি।

Link copied!