ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫, ০৫:৩৯ পিএম
ওয়াইফাই রাউটার
আজকাল আমরা সবাই ব্রডব্যান্ড ক্যাবল বা ফাইবার দিয়ে ইন্টারনেট নিচ্ছি। কিন্তু সেই ব্রডব্যান্ড কেবল থাকলেই হয় না, তার বদলে সেই ইন্টারনেটকে আপনার ঘর বা অফিসের সব ডিভাইসে পাঠানোর দায়িত্ব পড়ে ওয়াই-ফাই রাউটারের ওপর। তাই রাউটার কেনার সময় শুধু দাম দেখলেই হবে না; এর গতি, কভারেজ, নিরাপত্তা এবং ভবিষ্যতে ব্যবহারের সম্ভাবনাও বিবেচনায় রাখতে হবে।
বাজারে এখন হাজার হাজার ব্র্যান্ডের ওয়াই-ফাই রাউটারের ছড়াছড়ি। সবই কি ভালো? কোনটা রেখে কোনটা কিনবেন?
নিচের গাইডটি পড়ে বোঝার চেষ্টা করুন: কোন রাউটার কার জন্য, আর কেন। কোন রাউটারটি আপনার জন্য উপযুক্ত।
১০টি স্মার্ট টিপস যা রাউটার কিনার আগে মাথায় রাখতে হবে-
১. নেটওয়ার্ক কভারেজ এরিয়া অর্থাৎ আপনার বাসা বা অফিসের আয়তন ঠিকভাবে বিবেচনা করুন
ওয়াই-ফাই রাউটার কিনার আগে প্রথম কাজ হলো আপনার নেটওয়ার্ক কভারেজ এরিয়া ঠিক করা অর্থাৎ আপনার বাসা বা অফিসের আয়তন, রুমের সংখ্যা ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে ঠিক করা আপনি কতটা কভারেজ চান। যদি আপনার বাসা বা অফিসের আয়তন অনেক বড় হয়, একাধিক রুম, দেয়াল বা বারান্দা থাকে তাহলে একটি রাউটার দিয়ে পুরো জায়গা কভার করা কঠিন হতে পারে। এক্ষেত্রে অবশ্যই এমন রাউটার বেছে নিন যার এন্টেনা ভালো এবং সিগন্যাল রেঞ্জ দীর্ঘ।
রাউটারের অ্যান্টেনা সাধারণত দুইভাবে সেট করা যায় হরিজন্টাল (Horizontal) এবং ভার্টিকাল(Vertical)। অনেক বড় এরিয়া কভার করতে হলে ৪টি অ্যান্টেনার রাউটার নেওয়া ভালো। এতে ২টি অ্যান্টেনা Vertical আর ২টি Horizontal অবস্থানে রাখলে চারদিকে সমানভাবে ভালো সিগনাল পাওয়া যায়। যদি আপনি চারদিকে সমান নেটওয়ার্ক কভারেজ চান, তবে আপনার ওয়াই-ফাই রাউটারটি এমন জায়গায় স্থাপন করুন যেখান থেকে চারদিকে সমানভাবে কভারেজ দিতে পারে।
ছোট রুম বা একক রুমের জন্য সাধারণ ২.৪ GHz ব্যান্ডই যথেষ্ট, কিন্তু বড় জায়গার জন্য দ্বি-ব্যান্ড (dual-band) বা ত্রি-ব্যান্ড (tri-band) রাউটার উপযোগী।
২. রাউটার প্রসেসর ও মেমোরি কখনো হালকাভাবে বিবেচনা করবেন না
যদি আপনি শুধু ব্রাউজিং বা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন, তাহলে সিঙ্গেল কোর প্রসেসর সাথে 32 mb RAM হলেও চলবে। কিন্তু যদি অনলাইন গেমিং, মোবাইল/কম্পিউটার-ভিডিও স্ট্রিমিং বা একাধিক ডিভাইস একসঙ্গে ব্যবহার হয়, তাহলে রাউটার প্রসেসর ও RAM গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে রাউটার প্রসেসরের পাওয়ার এর উপর বিশেষভাবে নজর দিতে হয়। উদাহরণ হিসেবে যদি রাউটার “ডুয়াল কোর + 128 MB RAM” দেয়, তাহলে একাধিক ডিভাইস বা হেভি ব্যবহারেও ভালো পারফরম্যান্স পাওয়া যায়।
বাজার ঘুরে দেখা গেল, ভালো মানের ও বিশ্বস্ত ব্র্যান্ডের রাউটারগুলোতে তাদের ব্যবহৃত প্রসেসর ও RAM–এর পরিমাণ স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকে। কিন্তু অনেক কম দামের চাইনিজ রাউটারে এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো লেখা থাকে না। ফলে কম দামী রাউটারগুলো কিনলে ব্যবহারের সময় রাউটারের পিক পারফরম্যান্স থেকে বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৩. ওয়াই-ফাই স্ট্যান্ডার্ড (802.11) যাচাই করুন
বাসায় কিংবা অফিসে সাধারণ ব্রাউজিং বা হালকা কাজের জন্য IEEE 802.11 b/g/n এই মডেলের রাউটার গুলো যথেষ্ট। কিন্তু দ্রুত গতি, স্ট্রিমিং, মাল্টি-ডিভাইস ব্যবহারের জন্য আধুনিক মান যেমন 802.11 ac বা 802.11 ax (Wi-Fi 5 / Wi-Fi 6) বেছে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। তবে মনে রাখবেন যদি আপনি IEEE 802.11a/n/ac/ax @5GHz ব্যবহার করতে চান, আপনার ইন্টারনেট কানেক্টেড ডিভাইসটি (ল্যাপটপ/মোবাইল) 5Ghz ডাটা ট্রান্সমিশন কমপ্যাটিবল হতে হবে।

৪. বাজেট অনুযায়ী কোন রাউটারটি নেবেন
আপনার বাজেটের ওপর নির্ভর করে রাউটারের ধরন ও পারফরম্যান্স অনেকটাই বদলে যায়। যদি আপনার বাজেট ১,৫০০ থেকে ২,০০০ টাকা হয়, তাহলে সাধারণত 802.11 b/g/n স্ট্যান্ডার্ডের রাউটার পেয়ে যাবেন। সাধারণ বাসার ব্যবহার যেমন- ব্রাউজিং, হালকা স্ট্রিমিং এই ধরনের রাউটারেই চলবে।
আর যদি আপনার বাজেট একটু বেশি হয়, অর্থাৎ ৩,০০০ থেকে ৫,০০০ টাকা, তাহলে 802.11ac আপডেটেড মডেলের রাউটার কিনতে পারবেন। এই রাউটারগুলোতে স্পিড তুলনামূলক বেশি, সেই সঙ্গে স্টেবিলিটিও ভালো। অনলাইন ক্লাস, HD স্ট্রিমিং, একাধিক ডিভাইস সবই সমস্যা ছাড়াই চালানো যায়।
অফিস বা বড় প্রতিষ্ঠানের জন্য আরও শক্তিশালী রাউটার প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্রে 802.11ax (Wi-Fi 5/6) সিরিজের রাউটার পাওয়া যায় ১৫,০০০ থেকে ৪০,০০০ টাকার মধ্যে। এগুলোতে কানেকশন রেঞ্জ বেশি, একসাথে বিপুল সংখ্যক ডিভাইস সংযুক্ত রাখা যায়, এবং ব্যান্ডউইথ ম্যানেজমেন্টও আরও উন্নত।
মনে রাখবেন রাউটারের দাম মূলত নির্ভর করে তার ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড, কানেকশন রেঞ্জ, এবং টেকনিক্যাল ক্যাপাবিলিটির ওপর। তাই আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী বাজেট ঠিক করলেই সঠিক রাউটার বেছে নেওয়া অনেক সহজ হয়ে যায়।
৫. ব্যান্ড নির্বাচন: সিঙ্গেল, ডুয়েল বা ট্রাই, প্রয়োজন অনুযায়ী
সিঙ্গেল, ডুয়েল এবং ট্রাই ব্যান্ড রাউটার কি? সহজভাবে বলতে গেলে যে কয়েকটি ব্যান্ড থাকে রাউটারে ওই সংখ্যক নেটওয়ার্ক পাওয়া যাবে।
পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে, ছোট রুম বা এক রুমের জন্য ২.৪ GHz এক ব্যান্ডই যথেষ্ট, কিন্তু বড় জায়গার জন্য দ্বি-ব্যান্ড (dual-band) বা ট্রাই -ব্যান্ড (tri-band) রাউটার উপযোগী।
সিঙ্গেল-ব্যান্ড রাউটার সাধারণত 2.4 GHz দেয়, যা রেঞ্জে ভালো কিন্তু গতি কম।
যদি বড় জায়গা বা একাধিক রুমে ব্যবহার হয়, তাহলে ডুয়েল‑ব্যান্ড (২.৪ GHz + ৫ GHz) রাউটার বেছে নেওয়া ভালো। ডুয়েল‑ব্যান্ড রাউটারে একদিকে ২.৪ GHz ব্যান্ড থাকে, যা বেশি রেঞ্জ দেয়, আর অন্যদিকে ৫ GHz ব্যান্ড থাকে, যা উচ্চ গতিতে ডেটা আদান‑প্রদান করতে সক্ষম। ফলে আপনি ডিভাইস অনুযায়ী ব্যান্ড বেছে নিতে পারেন যেমন, স্মার্ট টিভি বা হাই‑স্পিড ডিভাইস ৫ GHz ব্যান্ডে, আর সাধারণ ব্রাউজিং বা হালকা ডিভাইস ২.৪ GHz ব্যান্ডে রাখতে পারেন।
যদি আপনার একসঙ্গে অনেক ডিভাইস থাকে বা হাই‑লেভেল ব্যবহার হয়, যেমন একাধিক ল্যাপটপ, স্মার্ট টিভি, গেমিং কনসোল তখন ট্রাই‑ব্যান্ড (একটি ২.৪ GHz + দুটি ৫ GHz) রাউটার সবচেয়ে উপযোগী। এতে নেটওয়ার্ক লোড ভাগ হয়ে যায়, কানেকশন দ্রুত এবং স্থিতিশীল থাকে।
ট্রাই‑ব্যান্ড রাউটারে ১টি ২.৪ GHz এবং ২টি ৫ GHz ব্যান্ড থাকে। এর সুবিধা হলো উচ্চ‑গতির ডিভাইস এবং তুলনামূলক কম‑গতির ডিভাইস একসাথে কোনো সমস্যা ছাড়া নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারে। যদি একই সময়ে ১০টির বেশি ডিভাইস ব্যবহার করতে হয়, তবেই ট্রাই‑ব্যান্ড রাউটার সবচেয়ে কার্যকর।
৬. ব্যান্ডউইথ পারফরম্যান্স ও QoS / ট্র্যাফিক ম্যানেজমেন্ট
রাউটার নির্বাচন করার সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর একটি হলো ব্যান্ডউইথ পারফরম্যান্স—মানে, আপনার ইন্টারনেট গতিকে কীভাবে রাউটার পরিচালনা করবে এবং বিভিন্ন ডিভাইসের মধ্যে স্পিড কীভাবে বণ্টন করবে। তাই কতটুকু জায়গায়, কত জন রাউটারের নেট ব্যবহার করবেন, সেটির হিসাব-নিকাশ করে রাউটার নির্বাচন করলে ভালো হয়।
সাধারণত আমরা বাসা বা অফিসে এক রাউটারেই বহু কাজ করি যেমন- অনলাইন ক্লাস, অফিসের মিটিং, ভিডিও স্ট্রিমিং, গেমিং, আবার একই সময়ে কেউ হয়তো বড় ফাইল ডাউনলোড করছে। এই সব কাজের ভিন্ন ভিন্ন ব্যান্ডউইথ প্রয়োজন, আর সেখানেই আসে QoS বা Quality of Service সুবিধার গুরুত্ব।
ধরুন, আপনার বাসার ইন্টারনেট কানেকশন ২০ Mbps। আপনি গুগল মিটে অনলাইন মিটিং করছেন, আপনার পরিবারের অন্য একজন সদস্য অতি প্রয়োজনীয় একটি বড় ফাইল বা মুভি ডাউনলোড করছে। ডাউনলোডের কাজ জুমের চেয়ে বেশি ব্যান্ডউইথ দখল করে নেয়, ফলে আপনার অনলাইন মিটিং বারবার বাফার হতে থাকে। এই সমস্যাটি দূর করার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো রাউটারে upstream/downstream লিমিট বাড়িয়ে বা কমিয়ে দেয়া।
আপনি চাইলে ডিভাইস প্রেফারেন্স সেট করে দিয়ে, সহজেই ব্যান্ডউইথ পারফরম্যান্স কন্ট্রোল করতে পারবেন।
যেমন—নিজের ল্যাপটপকে ‘হাই প্রায়রিটি’ দিয়ে দিতে পারেন, যাতে অফিসের মিটিং বাধাহীন চলে। অন্যদিকে, ডাউনলোড করা ডিভাইসের স্পিড একটু কমিয়ে দিলে সেটিও চলবে, তবে আপনার প্রয়োজনীয় কাজ ব্যাহত হবে না। আবার চাইলে ভিডিও স্ট্রিমিং, গেমিং বা ব্রাউজিং যে কাজটি বেশি দরকার, সেটিকে আলাদা করে গুরুত্ব দিতে পারবেন। যেভাবে প্রয়োজন, সেভাবে স্পিড এবং পারফরম্যান্স দিতে পারবেন।
তাই রাউটার কিনতে গেলে শুধু স্পিড বা রেঞ্জ দেখলেই হবেনা। ব্যান্ডউইথ নিয়ন্ত্রণ করার সুবিধা আছে কিনা সেটি দেখা অত্যন্ত জরুরি।

৭. একাধিক ডিভাইস + স্মার্ট-হোম ডিভাইস হলে MU-MIMO / OFDMA / Beamforming বাধ্যতামূলক
MU-MIMO বা OFDMA প্রযুক্তি একসঙ্গে একাধিক ডিভাইসে দ্রুত ও মসৃণ সিগন্যাল পাঠাতে পারে , বড় পরিবারের বা অফিস-পরিবেশের জন্য এ ফিচার গুলো উপকারী।
Beamforming সিগন্যালকে নির্দিষ্ট ডিভাইস বা জায়গার দিকে ফোকাস করে পাঠায় ফলে দেয়াল বা বাধা থাকলেও সংযোগ ভালো থাকে।
৮. নিরাপত্তা: WPA3 সমর্থন আছে কি না দেখুন
পুরনো রাউটার বা কম দামের মডেলে সাধারণত WPA2 নিরাপত্তা পাওয়া যায়, যা এখনো কাজ দেয়। তবে নতুন বা ভবিষ্যতের জন্য WPA3 সমর্থন যুক্ত রাউটার বেছে নেওয়া নিরাপদ।
এতে অননুমোদিত প্রবেশ, ব্রুট-ফোর্স বা হ্যাকিং এর ঝুঁকি কম থাকে।
৯. পোর্ট ও অতিরিক্ত ফিচার: USB, গেস্ট নেটওয়ার্ক, নিয়ন্ত্রণ অ্যাপ ইত্যাদি
কিছু রাউটারে USB পোর্ট থাকে যা দিয়ে আপনি প্রিন্টার, ফাইল শেয়ারিং বা ছোট NAS হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
গেস্ট নেটওয়ার্ক বা অতিথি-নেটওয়ার্ক সুবিধা থাকলে অতিথি এলে নিরাপদ ভাবে আলাদা নেটওয়ার্ক দিতে পারবেন।
রাউটার ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ থাকলে সেটআপ, নিয়ন্ত্রণ বা সমস্যা সমাধান সহজ হয়।
১০. রাউটার ব্র্যান্ড, গ্যারান্টি ও সাপোর্ট বিবেচনা করুন
সব ব্র্যান্ডই সমান নয়। দাম কম বা কম পরিচিত ব্র্যান্ড হলে সেই রাউটারে সাপোর্ট বা বিক্রয়োত্তর সেবা নাও পাওয়া যেতে পারে।
ওয়ারেন্টি/গ্যারান্টি, ফার্মওয়্যার আপডেট, খুচরা পার্টস ইত্যাদি বিষয় দেখে নিন।
বাজেট ও ভবিষ্যৎ ব্যবহার একসঙ্গে ভাবুন- বাজেট কম হলে হয়তো শুধু সাধারণ ব্রাউজিং বা সোশ্যাল মিডিয়া জন্য ঠিক থাকতে পারে।
কিন্তু ভবিষ্যতে ডিভাইস বাড়াতে বা অফিস/বড় পরিবারের জন্য চাইবে তাহলে একটু বেশি খরচ করে শক্তিশালী, ফিচার-রিচ রাউটারই বেছে নিন।
কেন আপনার রাউটার হওয়া উচিত স্মার্ট
সাধারণ না, একটু সচেতনভাবে বেছে নিন।
অনেক সময় আমরা শুধু “সস্তা = ভালো” চিন্তা করি। কিন্তু একটি রাউটার শুধু এখনকার কাজ নয়, ভবিষ্যতের হিসাবেও বেছে নিতে হয়। কারন —
আপনার ডিভাইস বাড়বে (নতুন স্মার্ট-ফোন, স্মার্ট টিভি, আইওটি গ্যাজেট)
কাজ হবে ভারি (স্ট্রিমিং, গেমিং, হাই-রেজোলিউশন ভিডিও)
আপনি চাইবেন নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত, নিরাপদ ইন্টারনেট
আর এজন্য শুধু দামের দিকে না গিয়ে কভারেজ, গতি, নিরাপত্তা, রাউটার-ফিচার, ভবিষ্যৎ ব্যবহার সবকিছু মাথায় রেখে রাউটার বেছে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।
তাই, রাউটার কিনুন — সচেতনভাবে, বুঝে শুনে।
যদি আপনি সাধারণ ব্যবহারকারি হন ব্রাউজিং, ইউটিউব, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন, তাহলে সিঙ্গেল ও মাঝারি মানের/ক্ষমতার রাউটার / ডুয়াল-ব্যান্ড রাউটারই যথেষ্ট।
কিন্তু যদি আপনার বাড়ি বড়, ডিভাইস অনেক, কাজ হাই-স্পিডের হয় তাহলে একটু শক্তিশালী, নতুন ও উচ্চ মানের রাউটার বাছাই করুন।
সবশেষে “সবার জন্য এক রাউটার”এই ধারণা ভুল। আপনার প্রয়োজন, বাজেট ও ভবিষ্যৎ লক্ষ্য অনুযায়ী রাউটার বেছে নিন।