ক্ষুদ্র জাতিসত্তার ভাষা রক্ষার আকুতি জানালেন জয়া আহসান

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৩, ১১:১০ পিএম

ক্ষুদ্র জাতিসত্তার ভাষা রক্ষার আকুতি জানালেন জয়া আহসান

বিশ্বের ক্ষুদ্র জাতিসত্তার বিলুপ্ত ভাষাগুলো রক্ষার আকুতি জানালেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে পোস্ট করা এক স্ট্যাটাসে তিনি এই আকুতি জা্নান।

জয়া আহসানের ওই ফেসবুক স্ট্যাটাসটি দ্য রিপোর্ট ডট লাইভের পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো।

‘যে ভাষায় আমরা প্রতি মুহূর্তে বাঁচি, সেই বাংলা ভাষার দাবিকে রক্ত দিয়ে প্রতিষ্ঠা করার এই দিনটিকে শ্রদ্ধা জানাই। এই দিন কঠোর সংকল্পে নিজেকে জাগিয়ে তোলার দিন

বাংলা আমাদের ভাষা। আর এই ভাষার নামেই তো আমাদের স্বাধীন দেশ, বাংলাদেশ। তবু এই ভাষাকে নিয়ে কত কিছু এখনো আমাদের করার বাকি রয়ে গেল। রাষ্ট্রে, সমাজে, শিক্ষায়। বাংলাকে নিয়ে আমাদের বহু পথ চলা এখনো বাকি। সে পথ আমরা সবাই মিলে নিশ্চয়ই পাড়ি দেব।

একুশে এখন সারা পৃথিবীর নিপীড়িত, পর্যুদস্ত, মুমুর্ষু ভাষার অনুপ্রেরণাও। সেই অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করার মতো ঘটনা ঘটিয়েছে বাংলাদেশের তরুণেরা, আজ থেকে একাত্তর বছর আগে। ভাবা যায়!

পাহাড়ে আমাদের ক্ষুদ্র জাতিসত্তাদের ভাষাগুলো ভালো নেই। পত্রিকায় পড়েছি, রেংমিটচ্য নামে একটি ভাষার মানুষ নাকি বেঁচে আছে মাত্র পাঁচ–ছয়জন। তাদের পর পৃথিবী থেকে চিরতরে হারিয়ে যাবে একটি ভাষা। একটি ভাষা হারিয়ে যাওয়া মানে অনন্য একটি ফুলের বাগান উজাড় হয়ে যাওয়া, যা আর কখনোই ফিরে আসবে না। আমরা কি কোনোভাবেই একে টিকিয়ে রাখতে পারি না?

নানা ভাষা পৃথিবীকে যে বিচিত্র রঙে রাঙিয়ে তুলেছে, সেটা পৃথিবীজোড়া মানুষের বৈচিত্র্যেরই রং। একুশেতে মানুষের এই রঙিন পৃথিবীকে সালাম জানাই।’

ছোটবেলা থেকে নাচ-গানের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন জয়া। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি ছবি আঁকাও শিখেছিলেন। জয়া আহসানের ক্যারিয়ার শুরু হয় ছোট পর্দা দিয়ে। তিনি বহু নাটক ও টেলিফিল্মে অভিনয় করেছেন। মডেল হয়েছেন অনেক বিজ্ঞাপনের।

গুণী এই অভিনেত্রীর চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় ২০০৪ সালে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘ব্যাচেলর’ সিনেমা দিয়ে। জয়া বরাবরই সময় নিয়ে সিনেমা করেছেন।

যার ফলে তার একটি সিনেমা থেকে অন্য সিনেমার মধ্যকার সময় বেশ লম্বা। ‘ব্যাচেলর’ সিনেমার পর ছয় বছর বিরতি দিয়ে দ্বিতীয় সিনেমায় কাজ করেন তিনি। সেটি ছিল নুরুল আলম আতিক পরিচালিত ‘ডুবসাঁতার’।

প্রথম দুটি সিনেমায় জয়া তার অভিনয় দক্ষতা ফুটিয়ে তুললেও সেভাবে জনপ্রিয়তা পাননি। ২০১১ সালে জনপ্রিয়তা আর প্রশংসা সব একসঙ্গে নিজের করে নেন জয়া। সে বছর তিনি তানিম নূর পরিচালিত ‘ফিরে এসো বেহুলা’ এবং নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু পরিচালিত ‘গেরিলায় অভিনয় করেন।

এর মধ্যে ‘গেরিলা’ তাকে এনে দেয় দারুণ জনপ্রিয়তা। এ সিনেমার জন্য জয়া ২০১২ সালে অনুষ্ঠিত ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে জুরিদের বিচারে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি ঢালিউড ও টলিউডে অভিনয় নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

Link copied!