থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ও শেখ হাসিনার ঐক্যমত

“১৮০ কোটি মানুষের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি হতে পারে বিমসটেক”

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মে ২, ২০২৪, ০১:২৪ পিএম

“১৮০ কোটি মানুষের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি  হতে পারে বিমসটেক”

গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ছবি: পিএমও

বিমসটেক এই অঞ্চলের প্রায় ১৮০ কোটি মানুষের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি হতে পারে বলে ঐক্যমতে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সেথ্রা থাভিসিন।

বৃহস্পতিবার (২ মে) গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে বিমসটেকের বর্তমান সভাপতি হিসেবে অভিনন্দন জানাই ও তার নেতৃত্বে থাইল্যান্ড শীঘ্রই বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে সফলভাবে আয়োজন করবে মর্মে শুভকামনা জানাই।”

তিনি আরও বলেন, “ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশ আসিয়ানের প্রতিবেশী। দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে সংযোগস্থলে অবস্থিত বাংলাদেশের আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার মর্যাদা চলতি বছরের মধ্যে প্রাপ্তির জন্য আবেদনের বিষয়ে থাইল্যান্ড সরকারের কাছে আবারও অনুরোধ জানিয়েছি।”

দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে দুই দেশের সহযোগিতার ক্ষেত্রকে আরও বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক ও একটি ‘আগ্রহ পত্র’ লেটার অব ইনটেনশন) সই হয়েছে বলেও জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সেগুলো হলো-
ক. অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত চুক্তি;
খ. জ্বালানি সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক;
গ. পর্যটন সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক;
ঘ. শুল্ক সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক;
ঙ. মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরুর জন্য একটি আগ্রহপত্র।

আরও পড়ুন: দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে থাইল্যান্ড সফর মাইলফলক: প্রধানমন্ত্রী

তিনি আরও বলেন, “সফরে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধিসহ, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরুর বিষয়ে অগ্রগতি, আন্তঃযোগাযোগ বৃদ্ধিসহ আরও বিভিন্ন বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক সুদৃঢ়করণে বিশেষ গুরুত্ব পালন করবে। ২০২৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশের আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনারের প্রার্থীতা লাভের জন্য এই সফর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়।”

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, “নিরবচ্ছিন্ন আঞ্চলিক যোগাযোগের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে থাইল্যান্ডের রানং বন্দর ও চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে সরাসরি কোস্টাল শিপিং দ্রুত চালুর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে আমরা একমত পোষণ করি। সেই সঙ্গে আঞ্চলিক সহযোগিতা সুদৃঢ়করণে ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড বাংলাদেশের যোগদানের বিষয়ে আমাদের প্রত্যাশা পুনর্ব্যক্ত করি।”

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহায়তার বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অনুষ্ঠিত আলোচনা থাইল্যান্ডকে দ্বিপাক্ষিকভাবে এবং আঞ্চলিক জোট আসিয়ানে রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে জোরালো অবস্থান নেওয়ায় সহায়তা করবে মর্মে আমি আশাবাদী।”

Link copied!