৫০ জনেরও বেশি নারীর সাথে শুয়েছেন পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিম, বোমা ফাটালেন লেখক প্রীতি

বিনোদন ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৩, ০৫:১৪ এএম

৫০ জনেরও বেশি নারীর সাথে শুয়েছেন পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিম, বোমা ফাটালেন লেখক প্রীতি

চলচ্চিত্র পরিচালক, কাহিনীকার, চিত্রনাট্যকার, নাট্যকার-অনেকে পরিচয়ে পরিচিত তরুণ নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম। তাঁর পরিচালিত ও ২০০৯ সালে মুক্তি পাওয়া চলচ্চিত্র মনপুরা মুক্তি পেলে ঢালিউডে হইচই পড়ে যায়। এই চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার পান এই নির্মাতা। এছাড়া আরও একবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার পান এই নির্মাতা।

তবে নারীবাদ থেকে মৌলবাদ–সব কাঁটাতারের বিভেদ ঘুচিয়ে আইনের বেড়াজাল ভেদ করে বেঁচে থাকা এক নারীর আত্মকথা ‘জন্ম ও যোনির ইতিহাস’ গ্রন্থটিতে পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ব্যক্তিগত চরিত্রের ‘কতিপয় অন্ধকার দিক’ প্রকাশ করেছেন তরুন লেখক জান্নাতুন নাঈম প্রীতি।

গ্রন্থে প্রীতি লিখেছেন, ‘এই লোলুপের দল বাদেও একে একে আমার জীবনে এসেছিল প্রেমিকারা, তাদের দেখে প্রেম বলে কিছু নেই জেনে চেষ্টা করেছিলাম এক নতুন জীবন কিছুদিনের জন্য বেছে নিতে, যেখানে হাত বাড়ালেই সঙ্গী, হাত ছুঁলেই প্রেম! সেই ধারাবাহিকতায় শুয়েছিলাম গিয়াস উদ্দিন সেলিমের সাথে। শুয়ে শুয়েই সেলিমকে জিজ্ঞেস করেছিলাম কতগুলো মেয়ের সাথে শুয়েছ তুমি? সে উদাস গলায় বলেছিল-পঞ্চাশের ওপরে হবে। যাদের সাথে শুয়েছি তাদের অধিকাংশেরই নাম ভুলে গেছি!’

শুধু তাই নয়, ‘জন্ম ও যোনির ইতিহাস’ গ্রন্থটিতে শুধু গিয়াসউদ্দিন সেলিমকে নিয়েই মন্তব্য করে থেমে থাকেননি এই লেখক। সেখানে তিনি বেশ কয়েকজন অভিনেত্রীর নামও উল্লেখ করেছেন। যাদেরকে নিজের শয্যাসঙ্গী বানিয়েছিলেন পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিম।

বিতর্কিত এ বিষয়টি নিয়ে জনপ্রিয় নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিমকে জিজ্ঞাসা করা হলে অনলাইন নিউজ পোর্টাল ডেইলি বাংলাদেশকে তিনি বলেন, ‘উনি যা লিখেছেন সে বিষয়ে আমি কিছু জানি না। যে কেউ তার মনগড়াভাবে লিখতে পারেন। এগুলো নিয়ে আমি ভাবি না। এগুলো মামুলি ব্যাপার। আর এ বিষয় নিয়ে আমি কোনো মন্তব্যও করতে চাই না।’

উল্লেখ্য, নালন্দা থেকে প্রকাশিত হয়েছে এই গ্রন্থটি। বইয়ের পাতায় তৈরি করেছেন মানবাধিকারের জন্য লড়াই করা মানুষের একটি প্রামাণ্য দলিল।

Link copied!