সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে জিতেও বিদায় নিল চেলসি। ৩-২ ব্যবধানে তারা জিতেছে বটে। তবে সেটা দুই লেগে মিলিয়ে ৫-৪ ব্যবধান। প্রথম লেগে রিয়াল মাদ্রিদ ৩-১ ব্যবধানে জয় পেয়েছিল। সে ম্যাচের নায়ক ও হ্যাটট্রিকম্যান ছিলেন করিম বেনজেমা। আজ একস্ট্রা টাইমে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে এগিয়ে যাওয়া সূচক গোল করেন তিনি। আর সেমিফাইনালে পৌঁছে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। চেলতি গত মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন। এবার কোয়ার্টার ফাইনালে বিদায় তাদের। গতবার রিয়াল কে হারিয়েছিল তারা। রিয়াল এবার সেটার প্রতিশোধ নিল।
চেলসি যা চেয়েছিল সেটাই হয়েছে। রিয়াল মাদ্রিদ যে এভাবে ঘুরে দাঁড়াবে সেটা কারো কল্পনাতেও ছিল না। লন্ডনের স্টামফোর্ড ব্রিজে ৩-১ গোলে জয় নিয়ে ফেরে রিয়াল। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে গোলের রুলস নেই। চেলসিকে সেমিফাইনালে যেতে ৩টি গোল দিতে হবে আর হজম করা যাবে না।
মাদ্রিদে আগুন ধরিয়ে দেয় চেলসি। ম্যাচের ১৫ মিনিটে টিমো ওয়েরনারের পাস থেকে গোল করেন ম্যাসন মাউন্ট। ৫১ মিনিটে মাউন্টের ক্রস থেকে রুডিগারের গোল। ৭৫ মিনিটে কোভাচিচের পাসে আবার মাউন্টের গোল। চেলসি ৩-০ গোলে এগিয়ে মানে ৪-৩ ব্যবধানে এগিয়ে। আরো একটি গোল চেলসি পেতো। হ্যান্ডবলের জন্য সেটা বাতিল হয়। ৮০ মিনিটে মড্রিচের ক্রস থেকে দারুণ গোল করেন রিয়াল মাদ্রিদের রড্রিগো। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা ৩-১ ব্যবধানে শেষ হয়। দুই লেগ মিলিয়ে যেটা ৪-৪।
অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের খেলা শুরু হয়। ৯৬ বা ৬ মিনিটে ভিনিসিয়াস জুনিয়রের ক্রস থেকে হেডে গোল করেন করিম বেনজেমা। এরপর চেলসি গোলবারের সামনে মাথা কুটে মরেছে। কিন্তু গোলের দেখা পায়নি। ফলে রিয়াল মাদ্রিদ ৫-৪ ব্যবধানে জয় নিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে।