রহমতউল্লাহ গুরবাজের (১০৬*) হার না মানা সেঞ্চুরিতে ভর করে তৃতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারাল আফগানিস্তান।
জয়ের জন্য বাংলাদেশ ১৯৩ রানের টার্গেট দিয়েছিল। আফগানিস্তান ৪০.১ ওভারে জয় নিশ্চিত করে। ফলে ৩ ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে গেল বাংলাদেশ। তবে জয়ের জন্য মূল্যবান ১০টি পয়েন্ট পেল আফগানিস্তান। বাংলাদেশ এই সুযোগ হাতছাড়া করেছে।
বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজ জয় নিশ্চিত করার পরেই বলেছেন, শেষ ম্যাচটিতে জয় তুলে নিয়ে ওয়ার্ল্ডকাপ সুপার লিগে আরো ১০ পয়েন্ট অর্জনে চোখ তাদের। এক ম্যাচ হাতে থাকতে সিরিজ হারানো আফগানিস্তানেরও একই ভাবনা। আজ (সোমবার) তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে টস করতে নেমে হাসমতউল্লাহ শহিদি বলেন, সিরিজ হারলেও ১০ পয়েন্ট তাদের কাছেও খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
দুই দলের এই ১০ পয়েন্টের লড়াইয়ে জয়ের হাসি আফগানদের। সিরিজ জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে আগে ব্যাট করতে নেমে ১৯২ রানে অলআউট বাংলাদেশ দল। লিটন দাস ছাড়া স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের সবার ব্যাটিংই প্রশ্নবিদ্ধ। সুযোগটা কাজে লাগিয়েছে আফগানিস্তান। ১৯৩ রানের লক্ষ্য টপকাতে নেমে দাপট দেখিয়েই ৭ উইকেট এবং ৫৯ বল হাতে রেখে জয় তুলে নিয়েছে তারা। এতে গুরুত্বপূর্ণ ১০ পয়েন্ট তাদের পকেটে।
শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের সান্ত্বনা হয়ে থাকল সিরিজের জয়ের ট্রফিটুকু। এদিকে শেষ ম্যাচ জিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে আত্মবিশ্বাসে রসদ পেল আফগানরা। এ ম্যাচ হারায় পাকিস্তানকে টপকে আইসিসির ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের ৬ নম্বরে ওঠার সুযোগ হারাল বাংলাদেশ দল।
গত বছর ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দাপট দেখিয়ে ১ ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতেছিল তামিমের দল। তবে শেষ ম্যাচ হেরে হারিয়ে বসে ১০ পয়েন্ট। আফগানদের বিপক্ষেও একই পরিণত। যদিও ম্যাচের আগে টাইগার শিবিরের ভাবনা ছিল সে সব ভুলে গিয়ে ‘ইতিবাচক চিন্তা’ করা। তবে সিরিজ জয়ী দলটির ক্রিকেটারদের এদিন আত্মবিশ্বাসে ফাটল দেখা গেল। ব্যাটিংয়ে হতশ্রী অবস্থার পর ফিল্ডিংয়েও ছিল গা ছাড়া ভাব। হাত ফসকে গেছে সহজ ক্যাচ। রিভিউগুলোও ব্যবহার হয়নি জুতসইভাবে।