বিতর্ক যেনো পিছু ছাড়ছে না ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর। সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসেরের হয়ে এখনও অভিষেক হয়নি পর্তুগালের এই তারকা ফুটবলারের। তার আগেই সৌদি আরবের নিয়ম ভেঙে আরও এক বার বিতর্কে জড়ালেন তিনি।
আল নাসের ক্লাবের পক্ষে খেলতে সৌদিতে পা দিয়েই সে দেশের নিয়ম ভেঙেছেন রোনাল্ডো। রোনাল্ডোর সঙ্গে দেশটিতে গিয়েছেন তাঁর বান্ধবী জর্জিনা রদ্রিগেজ ও সন্তানরা। কিন্তু জর্জিনার সঙ্গে বিয়ে হয়নি রোনাল্ডোর। তাঁরা একসঙ্গে থাকেন। বিয়ে হওয়ার আগেই সন্তানের জন্ম দিয়েছেন জর্জিনা। সৌদি আরবের আইনে রোনাল্ডো ও জর্জিনার সম্পর্ক অবৈধ। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক সে দেশে অপরাধ। তার ফলে কি কোনও শাস্তি পেতে হতে পারে সিআর৭-কে?
তবে এই বিষয়ে স্পেনের সংবাদমাধ্যম ‘ফুটবল এসপানা’ কথা বলেছে সৌদির দুই আইনজ্ঞের সঙ্গে। তাঁরা জানিয়েছেন, সৌদির আইনে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক অপরাধ হলেও সেটা নিজেদের দেশের জনগণের জন্য। রোনাল্ডো যেহেতু খেলার সূত্রে সে দেশে গিয়েছেন তাই তাঁকে এই আইনের বাইরে রাখা হবে। সৌদি সরকার বিদেশি নাগরিকদের ক্ষেত্রে এই আইন ব্যবহার করে না। তাই রোনাল্ডোকে নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামাবে না তারা। তবে দেশের নাগরিক এই কাজ করলে কড়া পদক্ষেপ করবে প্রশাসন।
সৌদির ক্লাবে যোগ দিলেও গতকাল বৃহস্পতিবার আল তাইয়ের বিরুদ্ধে অভিষেক হচ্ছে না রোনাল্ডোর। কারণ, ২০২২ সালের এপ্রিলে গুডিসনে পার্কে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে এভার্টনের কাছে হারের পর সাজঘরে ফেরার সময় খুদে ভক্তের মোবাইল আছড়ে ভেঙে দেন রোনাল্ডো। প্রিয় নায়ককে হাতের কাছে দেখতে পেয়ে ছবি তোলার জন্য মোবাইল বাড়িয়েছিল ১৪ বছরের জেকব হার্ডিং। ম্যাচ হেরে যাওয়ায় মাথা গরম ছিল রোনাল্ডোর। রাগে ফোনটা টেনে নিয়ে মাটিতে আছড়ে ফেলেন। জেকবের মা সারাহ ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন রোনাল্ডোর উপর। এই ঘটনার পরে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন রোনাল্ডো। মারসেসাইড পুলিশ তাঁকে ডেকে সতর্কও করে দিয়েছিল। আলাদা করে তদন্তে নামে এফএ। সেই তদন্তেই তাঁর ওপর নেমে আসে শাস্তির খাঁড়া। দুই ম্যাচ বহিষ্কার করা হয় তাঁকে। সেই শাস্তির জন্যই বৃহস্পতিবার খেলতে পারছেন না রোনাল্ডো।