২৭ রানে অলআউট ওয়েস্ট ইন্ডিজ—এক টেস্টে যত রেকর্ড

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুলাই ১৫, ২০২৫, ১১:৪৩ এএম

২৭ রানে অলআউট ওয়েস্ট ইন্ডিজ—এক টেস্টে যত রেকর্ড

ছবি: সংগৃহীত

২০৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৪.৩ ওভারে মাত্র ২৭ রানে অলআউট। কাল রাতে কিংস্টনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এমন দুঃস্বপ্ন দেখেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অস্ট্রেলিয়া অবশ্য এ স্মৃতি ভুলতে চাইবে না। বিশেষ করে মিচেল স্টার্ক, যিনি নিজের শততম টেস্টে গড়েছেন অসংখ্য রেকর্ড। শুধু স্টার্কের রেকর্ড নয়, কিংস্টন টেস্ট দেখেছে আরও অনেক অনেক রেকর্ড। সেই রেকর্ডগুলো দেখে নেওয়া যাক

২৭

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তৃতীয় টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের চতুর্থ ইনিংসে মোট রান। এটি টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ, ১৯৫৫ সালে অকল্যান্ডে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের করা ২৬ রানের চেয়ে মাত্র ১ রান বেশি।

তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট ইতিহাসে এটি সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ। আগের রেকর্ড ছিল ২০০৪ সালে একই মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে করা ৪৭ রান।

১৭০

দুই ইনিংস মিলিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মোট রান। টেস্টে দুবার অলআউট হওয়া ম্যাচে এটি তাদের সর্বনিম্ন দলীয় রান। আগের সর্বনিম্ন ছিল ১৭৫ রান, ১৯৫৭ সালে ওভালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।

১৪.৩ ওভার

অলআউট হতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের লেগেছে মাত্র ১৪.৩ ওভার, যা টেস্ট ক্রিকেটের তৃতীয় ইতিহাসে সর্বনিম্ন। এর চেয়ে কম ওভারে অলআউট হয়েছে শুধু দক্ষিণ আফ্রিকা (১২.৩ ওভার, ১৯২৪) ও শ্রীলঙ্কা (১৩.৫ ওভার, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে, ২০২৪ সালের নভেম্বরে)।

টেস্ট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো দলের এক ইনিংসে সাত ব্যাটসম্যান শূন্য রানে ফিরেছেন। এর আগে ছয়জনের শূন্য রানে আউটের ঘটনা ঘটেছে ৯ বার, সর্বশেষটি এ মাসের শুরুতে এজবাস্টনে।

১৫ বল

৫ উইকেট নিতে যে কটি বল লেগেছে স্টার্কের। এটি টেস্টে দ্রুততম পাঁচ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড। আগের রেকর্ড ছিল ১৯ বলেআর্নি টোশ্যাক (১৯৪৭), স্টুয়ার্ট ব্রড (২০১৫) ও স্কট বোল্যান্ড (২০২১)।

৫১৬ রান

এই টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও অস্ট্রেলিয়ার সম্মিলিত রান। পুরুষদের টেস্ট ম্যাচে এটি সপ্তম সর্বনিম্ন। দুই দল দুবার অলআউট হয়েছে এমন ম্যাচে ১৯১০ সালের পর সবচেয়ে কম।

১০৪৫

চার ইনিংস মিলিয়ে এই টেস্টে খেলা হয়েছে ১০৪৫টি বল। চার ইনিংস খেলা হয়েছে এমন টেস্টে যা ১৯১০ সালের পর সবচেয়ে কম আর সব মিলিয়ে চতুর্থ সর্বনিম্ন।

টেস্টে দ্বিতীয় বোলার হিসেবে ইনিংসের প্রথম ওভারে তিন উইকেট নিয়েছেন মিচেল স্টার্ক। এর আগে এ কীর্তি ছিল ভারতের ইরফান পাঠানের, ২০০৬ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে।

০/৩

স্টার্কের প্রথম ওভারের কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস শুরু হয়েছিল ০/৩ দিয়ে। কোনো দল শূন্য রানে প্রথম তিন উইকেট হারিয়েছে, এটি টেস্ট ইতিহাসে মাত্র ষষ্ঠ ঘটনা। স্টার্ক ২০১৫ সালে এই একই মাঠে চতুর্থ ইনিংসের প্রথম ওভারেই দুই উইকেট নিয়েছিলেন। ২০০২ সালের পর তিনিই একমাত্র বোলার, যিনি দুটি টেস্ট ইনিংসে প্রথম ওভারেই একাধিক উইকেট নিয়েছেন।

৬ রান

ওয়েস্ট ইন্ডিজের শীর্ষ ছয় ব্যাটসম্যানের মোট রান। এটি টেস্ট ইতিহাসে কোনো দলের শীর্ষ ছয় ব্যাটসম্যানের সর্বনিম্ন সম্মিলিত রান। আগের রেকর্ড ছিল ১২ রান (অস্ট্রেলিয়া, ১৮৮৮ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিডনিতে)।

১৯০৬২ বল

টেস্ট ক্রিকেটে ৪০০ উইকেট নিতে মিচেল স্টার্কের লেগেছে এতটি বল। এটি বলের হিসেবে দ্বিতীয় দ্রুততম, শুধু দক্ষিণ আফ্রিকার ডেইল স্টেইন (১৬৬৩৪ বল) এগিয়ে।

১০

স্কট বোল্যান্ড হলেন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টেস্টে হ্যাটট্রিক করা দশম বোলার। সর্বশেষ করেছিলেন পিটার সিডল, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ব্রিসবেনে ২০১০ সালে।

গোলাপি বলের টেস্টে হ্যাটট্রিক করা প্রথম বোলার স্কট বোল্যান্ড।

৬/৯

এটি শততম টেস্টে কোনো বোলারের সেরা পারফরম্যান্স। আগের রেকর্ড ছিল শ্রীলঙ্কার মুত্তিয়া মুরালিধরনের ৬/৫৪, বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০০৬ সালে।

৪৮ রান

স্টিভেন স্মিথের প্রথম ইনিংসের স্কোর, যা ম্যাচের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। এটি টেস্ট ইতিহাসে মাত্র ১৬তম ম্যাচ, যেখানে অন্তত দুটি ইনিংস শেষ হওয়ার পরও কোনো ব্যাটসম্যান ফিফটি করতে পারেননি। এর আগের ম্যাচটি ছিল ২০১৫ সালে নাগপুরে ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্টে। এই ১৬টি ম্যাচের মধ্যে ৯টি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯০০ সালের আগেই।

Link copied!