টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে সরে গেলেও, নেপালের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে খেলবেন তামিম। বিসিবি থেকে অনাপত্তিপত্রও নিয়েছেন তিনি। ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত নেপালে এভারেস্ট প্রিমিয়ার লিগ (ইপিএল) অনুষ্ঠিত হবে। জানা গেছে, আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর নেপালের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়বেন তামিম।
প্রাথমিকভাবে ইপিএলের মাধ্যমে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি নেয়ার পরিকল্পনা ছিল তামিমের। তবে অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ও প্রতিশ্রুতির কারণে ইপিএল খেলবেন তিনি।
হাঁটুর ইনজুরি থেকে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠে অনুশীলন শুরু করেছেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ইনজুরির কারনে সম্প্রতি বাংলাদেশের বেশ কিছু ম্যাচ মিস করেছেন তিনি।
হাঁটুর ইনজুরি থেকে সুস্থ হয়ে উঠে মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে নেট বোলারদের সাথে ব্যাটিং অনুশীলন করেন তামিম। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে হাঁটুর ইনজুরিতে পড়ে ক্রিকেট থেকে ছিটকে পড়েন তিনি। পুরোপুরি সুস্থ হতে ৮-১০ সপ্তাহ বিশ্রামের প্রয়োজন ছিলো তামিমের।
চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী, জিম্বাবুয়ের, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠের টি-টোয়েন্টি সিরিজে দলের বাইরে ছিলেন তামিম।
বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দল থেকেও নিজেকে সরিয়ে নেন তামিম। কারন তার অনুপস্থিতিতে যারা দলে নিয়মিত ছিলেন, তাদের দলে সুযোগ দিতেই ওমন সিদ্বান্ত নেন তিনি।
একটি ভিডিও বার্তায় তামিম আরও বলেন, সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এবং নির্বাচকদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের সাথে খারাপ সম্পর্কের কারণে তামিম বিশ্বকাপ না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে গুঞ্জন রয়েছে। তবে মাহমুদুল্লা বা তামিম কেউই এই বিষয়ে কোন মন্তব্য করেননি। আর দুই সিনিয়র খেলোয়াড়ের মধ্যে কোন সমস্যা নেই বলে জানান বিসিবি সভাপতি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ড্রাফট স্কোয়াডে থাকলেও নিজ থেকেই আসন্ন আসরে না খেলার সিদ্বান্ত নেন তামিম। তাই তাকে ছাড়াই দল ঘোষণা করেন নির্বাচকরা। ২০২০ সালের মার্চ থেকে কোন টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেননি তামিম।