দীর্ঘ ১৮ বছর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের মাধ্যমে শিরোপার আক্ষেপ ঘুচিয়েছে নারী ফুলবলাররা। এরই ধারাবাহিকতায় সাফ অনূর্ধ্ব ২০ চ্যাম্পয়নশিপ জয় করল বাংলার বাঘিনীরা। নেপালকে হারিয়ে দেশকে এই সাফল্য এনে দিয়েছে তারা। বাংলাদেশকে এক নতুন পরিচয়ে পরিচিত করার এই নেপথ্য কারিগররা উঠে এসেছে তিমির থেকে আলোর মঞ্চে। ঠিক কি কি কারনে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের এই আমুল পরিবর্তন। চলুন জেনে নেই।
বয়সভিত্তিক দলে খেলা
বয়ষভিত্তিক দল আগে থেকেই একসাথে খেলে এসেছেন যার কারনে বোঝাপড়ায় সুবিধা হয় । দলীয় যেকোন সিদ্ধান্ত সহজেই গ্রহণ করতে পারে সকলে। অধিনায়ক সাবিনা খাতুন, কৃষ্ণা রানী সরকার, সপ্না , ঋতুপর্ণা চাকমা, তহুরা খাতুন, সাঞ্জিদা আক্তার সহ আরও অনেকে।
প্রতিদিন তিনবার অনুশীলন
প্রতিদিন তিনবার অনুশীলন করেন পুরো টিম, অভিজ্ঞ কোচের তত্ত্বাবধানে তারা অনুশীলন চালিয়ে যায়। আর এই অনুশীলনের প্রতিফলন ফুটে উঠে তাদের চাম্পিয়নশিপ অর্জনের মাধমে।
পেশা হিসেবে ফুটবল বেছে নেয়া
পেশা হিসেবে ফুটবল কে বেছে নিয়েছে তারা। বর্তমানে মেয়েরা পেশা হিসেবে ফুটবল কে প্রায়োরিটি তে রাখছে। তারাও যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে এসেছে এই পেশায়। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নারী উইং এর প্রধান মাহফুযা আক্তার কিরণ বলেন নারী ফুটবলারদের শারীরিক ও মানসিক পরিচর্যা তাদের সাফলের মূল চাবি। তারা আজকাল পেশা হিসেবে ফুটবল কে বেছে নিয়েছে। সকলে নানা রকম প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে বিজয় নিয়ে এসেছে।
ভরা মাঠে চাপমুক্ত থাকা
ভরা মাঠে চাপমুক্ত থাকা তাদের সাফ্যলের অন্যতম কারন। তারা ভরা মাঠেও তাদের স্নায়ুকে নিয়ন্ত্রনে রেখে খেলা চালিয়ে যেতে পারে যা একজন আদর্শ খেলোয়াড়ের বৈশিষ্ট্য । দলের কোচ গোলাম রাব্বানি বলেন ২০১৫ সালের ২০ ডিসেম্বর নেপালে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ গালর্স রিজিওনাল চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয়ে অনেক দর্শকের প্রেসার ছিল তাও জয় নিয়ে আসে আমাদের মেয়েরা।