রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে। পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল ছুঁড়ে নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করছে। নেতাকর্মীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে পাল্টা ইট ছুঁড়েছে। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়।
সংঘর্ষকালে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া এ ঘটনায় নয়াপল্টনে যান চলাচল বন্ধ হয়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে পল্টন, গুলিস্তান, মতিঝিল এলাকায়।
সংঘর্ষ শুরুর আগে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিচ্ছিলেন। পুলিশও সেখানে সতর্ক অবস্থানে ছিল। প্রিজন ভ্যান ও জলকামানও প্রস্তুত ছিল।
এদিকে সমাবেশ ঘিরে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নেতাকর্মীরা ঢাকায় প্রবেশ করছেন বলে জানা গেছে।
আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশ ঘিরে কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিএনপি পল্টনে দলের কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ করতে চায়। অন্যদিকে সরকার পল্টনে সমাবেশ করতে দিতে নারাজ। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপিকে এ সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে সেখানে সমাবেশ করতে নারাজ বিএনপি।
বুধবার সকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২৫ লাখ লোকের সমাগম নয়াপল্টনে কেন করবে এখন চিন্তার বিষয়। কেন তারা সেখানে সমাবেশ করতে চায় সেটা আমাদের দেখার বিষয়। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে সমাবেশের জন্য গ্রহণযোগ্য বিকল্প স্থান না দিলে নয়াপল্টনেই সমাবেশ হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা। তারা বলেন, সমাবেশ হবে শান্তিপূর্ণ। সমাবেশে বাধা দিলে যে কোনো পরিস্থিতির দায় সরকারকেই নিতে হবে বলে মন্তব্য করেন বিএনপি নেতারা।