বেটা
পরীক্ষার হলে দেরিতে পৌঁছানোয় জীবনের শেষ বিসিএস দিতে পারলেন না। ছবি: সংগৃহীত
৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা দিতে দেরিতে আসায় এক পরীক্ষার্থীকে ঢুকতে দেয়নি কেন্দ্রের দ্বাররক্ষীরা। মাত্র ১০ মিনিট দেরির কারণে তাকে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়নি। অনেক মিনতির পরেও ওই পরীক্ষার্থীর কথা কানে তোলেনি দ্বাররক্ষীরা।
পিএসসির নির্দেশনা অনুযায়ী সকাল সাড়ে নয়টার মধ্যে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে হবে। সকাল ১০টায় শুরু হবে পরীক্ষা। নির্ধারিত সময়সীমার পার করে আসায় ফাহাদ ফয়সাল নামে এক পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়নি। এ জন্য ওই শিক্ষার্থী রাস্তার ওপর সটান শুয়ে পড়েন এবং আবেগপ্রবণ হয়ে গড়াগড়ি খেতে থাকেন।
এমনই হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে রাজশাহীতে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে মহানগরীর সাহেববাজার বড় মসজিদের পেছনে থাকা মসজিদ মিশন একাডেমি পরীক্ষা কেন্দ্রে।
ফাহাদ ফয়সাল কেন্দ্রের সামনে উপস্থিত হন সকাল নয়টা ৪০ মিনিটে। নিয়ম অনুযায়ী এর আগেই পরীক্ষাকেন্দ্রের প্রধান ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়। কেন্দ্রে ঢোকার জন্য এলাকার পুলিশকে অনুরোধ করেও ব্যর্থ হন ফাহাদ। এতে ক্যাডার হওয়ার স্বপ্নভঙ্গ হয় তার।
কষ্টে, দুঃখে ও মনঃস্তাপে সেখানেই গড়াগড়ি খেতে দেখা যায় তাকে। জোরে জোরে কাঁদতে থাকেন ফাহাদ। এ সময় মিনতি করতে থাকেন- ‘স্যার এবারের জন্য হলেও আমাকে পরীক্ষা দিতে দিন’, ‘এটা আমার জীবনের শেষ পরীক্ষা’, ‘একটা সুযোগ দিন স্যার’, ‘পরীক্ষা দিতে না পারলে মরে যাবো স্যার’।
একপর্যায়ে রাস্তায় গড়াগড়ি দিতে থাকলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এভাবে কিছুক্ষণ গড়াগড়ি দেওয়ার পর সেখান থেকে উঠে চলে যান ফাহাদ। পরে আর তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, ফাহাদ ফয়সালের বাড়ি নওগাঁ জেলায়।
সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক নূর আহমেদ মাছুম বলেন, ‘পরীক্ষা শুরুর আধা ঘণ্টা আগে কেউ কেন্দ্রে প্রবেশ না করলে তাকে যেন আর ঢুকতে দেওয়া না হয়, সেই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা হয়েছে মাত্র। ওই পরীক্ষার্থীরই সময়মতো আসা উচিত ছিল। এ জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়।’
