বাতাসে শক্তিহীন করোনাভাইরাস

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জানুয়ারি ১৩, ২০২২, ০৩:৪৫ পিএম

বাতাসে শক্তিহীন করোনাভাইরাস

প্রতিনিয়ত ভোল পাল্টাচ্ছে করোনা। টিকা কিংবা বুস্টার ডোজও থামাতে পারছে না মহামারি। তবে এরই মধ্যে আশার বাণী দিলেন একদল ব্রিটিশ বিজ্ঞানী। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেই করোনার সংক্রমণ কমানো সম্ভব। বাতাসে করোনার সংক্রমিত করার শক্তি নিয়ে করা এক গবেষণা সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে। এতে বলা হয়, এ ভাইরাস বাতাসে ছড়িয়ে পড়ার ৫ মিনিটের মধ্যেই ক্ষমতা হারাতে শুরু করে। ২০ মিনিট পর প্রায় ৯০ শতাংশ শক্তি কমে যায়।

শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে এ ভাইরাস কীভাবে বাতাসে বেঁচে থাকে, তা নিয়ে এই প্রথম এ গবেষণা করা হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়।

ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যারোসল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক জোনাথন রেইডের নেতৃত্বে একদল গবেষক এতে অংশ নেন। গবেষণা বলছে, নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা এবং মাস্ক পরার মতো কয়েকটি স্বাস্থ্যবিধিই করোনা নির্মূলে সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি। অধ্যাপক জোনাথন বলেন, “আমি বলছি না দূরে গেলে সংক্রমণ হবে না। তবে কাছে গেলে ঝুঁকিটা বেশি। এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা জানান, বাতাসে করোনার ড্রপলেটস বা কণা ছড়িয়ে যাওয়ার পর তিন ঘণ্টা পর্যন্ত এর ক্ষমতা থাকে।

বর্তমানে সংক্রমণ বেশি হওয়ার কারণ হিসেবে গবেষকেরা বলেন, টিকার ওপর নির্ভরশীলতার ফলে কমে যাচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। এতে করে দ্রুত বাড়ছে শনাক্ত। এরই মধ্যে ওমিক্রন অতি সংক্রামক হওয়ায় মহামারি এখনো শেষ হচ্ছে না। বুস্টার ডোজ দিয়ে নিরাপদে থাকতে চাইছে অনেক দেশ।

বুস্টারেও কাজ হবে না

করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন ‘প্রায় অপ্রতিরোধ্য’ বলে জানিয়েছেন ভারতের মহামারিবিদ জয়প্রকাশ মুলিবীল। বুস্টার ডোজ নিলেও সবাই করোনা আক্রান্ত হবেন বলে জানান তিনি। টিকার বুস্টার ডোজ নিয়ে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চের এ গবেষক বলেন, “এটি নিলে বাস্তবচিত্র একটুও বদলাবে না। সংক্রমিত হতেই হবে। তবে এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আশার বার্তাও দিয়েছেন তিনি। এ ধরন মৃদু এবং আসলেই হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যুর ঝুঁকি কম। ভারতের পরিসংখ্যান সে কথাই বলছে। করোনাকে সঙ্গী করেই এগিয়ে যাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে বলে মনে করেন জয়প্রকাশ।

হাসপাতালে বেশি দিন থাকতে হয় না

৭০ হাজার করোনা রোগীর ওপর জরিপ করে ক্যালিফোর্নিয়ার একদল গবেষক জানালেন, হাসপাতালে ভর্তি বাড়লেও বেশি দিন সেখানে থাকতে হচ্ছে না অনেকের। ৫২ হাজার ওমিক্রন রোগীর তথ্য যাচাই করে তারা বলেন, তাঁদের কাউকেই ভেন্টিলেশনে যেতে হয়নি। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক লিওনার্ড বলেন, ওমিক্রন যতটা ভয়াবহ ভাবা হচ্ছে ততটা নয়।

ফ্লু হিসেবে দেখার সময় আসেনি

ইউরোপের অর্ধেক অধিবাসী ওমিক্রনে আক্রান্ত হবে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। তবে এখনো এ ধরনকে সাধারণ ফ্লু-জাতীয় সর্দি হিসেবে দেখার সময় আসেনি বলেও জানায় তারা।

Link copied!