বেটা
করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায় রাজধানী প্যারিসে টানা এক মাসের লকডাউন জারি করেছে ফ্রান্স। শুক্রবার মধ্যরাত থেকে প্যারিস ছাড়াও দেশটির উত্তরের ১৫টি এলাকা লকডাউনের আওতায় থাকবে।
তবে এবারের লকডাউনে আগের মতো কড়াকড়ি থাকবে না, লোকজন ঘরের বাইরে শরীরচর্চায় বের হতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ফরাসি প্রধানমন্ত্রী জ্যাঁ ক্যাসটেক্স। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও জানান, মহামারির অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছে। এখন আমাদের দায়িত্ব¡ এটির বিস্তার রোধে সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেওয়া। ইতোমধ্যে তৃতীয় ওয়েভ শুরু হয়েছে। বর্তমানে ফ্রান্সের প্রায় ৭৫ শতাংশ রোগি ব্রিটেনে শনাক্ত হওয়া ভাইরাসের নতুন ধরণে আক্রান্ত। হাসপাতালগুলোতে রোগির মারাত্মক চাপ রয়েছে। বিশেষত প্যারিসে, প্রতি ১০০,০০০ নাগরিকের মধ্যে অন্তত ৪০০ জন সংক্রমিত।
জানুয়ারীর শেষের দিকে, বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞদের লকডাউনের আহ্বানকে প্রত্যাখান করে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো। ম্যাঁক্রো তখন জানান, দেশে যাতে আর লকডাউন না করা লাগে,আমরা সেই চেষ্টা করছি।
সবশেষ ২৪ ঘণ্টার হিসেবে, ফ্রান্সে ৩৫ হাজারের বেশি মানুষের করোনা ধরা পড়েছে। শুধু প্যারিসেই এক হাজার ২০০ করোনা রোগী নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী অলিভিয়ের ভেরান জানিয়েছেন, প্যারিসে বর্তমান আইসিইউ রোগীর সংখ্যা গত বছরের নভেম্বরে দ্বিতীয় ঢেউয়ের সর্বোচ্চ অবস্থা চলাকালের চেয়ে বেশি।
এ পর্যন্ত ফ্রান্সে ৪১ লাখ ৮১ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৯১ হাজারের বেশি মানুষের। নতুন লকডাউনের নিয়ম অনুযায়ী, নিত্যপ্রয়োজনীয় নয় এমন সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। বাড়ির ১০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত শরীরচর্চার কাজে বের হতে পারবেন। তবে জরুরি কারণ ব্যতীত এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে ভ্রমণ করা যাবে না।
এদিকে শুক্রবার থেকে ফ্রান্স আবার অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেওয়া শুরু করছে।
সূত্র: রয়টার্স।
-20241121105543.jpg)
-20241027115010.png)
