করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন বিশ্বজুড়ে খুবই উচ্চ ঝুঁকি তৈরি করেছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও-হু)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক টেকনিক্যাল সংবাদসম্মেলনে এ ঝুঁকির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ইতিমধ্যে বিশ্বের ৬০টিরও বেশি দেশে করোনার ওমিক্রন ধরন ছড়িয়েছে। যুক্তরাজ্যে ওমিক্রনে সংক্রমিত হয়ে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন স্থানীয় সময় সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানান।
এদিকে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওমিক্রন টিকার সুরক্ষা এড়াতে পারে বলে কিছু তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। ডব্লিউএইচও বলেছে, প্রাথমিক তথ্য-প্রমাণ ইঙ্গিত দিচ্ছে, করোনার ওমিক্রন ধরনটি সংক্রমণের বিরুদ্ধে টিকার কার্যকারিতা হ্রাস করে।
তবে ওমিক্রনের তীব্রতা সম্পর্কিত ক্লিনিক্যাল তথ্য-উপাত্ত এখনো সীমিত। এ সম্পর্কে ডব্লিউএইচও বলছে, ওমিক্রনের তীব্রতা প্রতিষ্ঠার মতো যথেষ্ট তথ্য-উপাত্ত এখন পর্যন্ত তাদের হাতে নেই।
সম্প্রতি, দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হয়। অমিক্রনের সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার তথ্য গত ২৪ নভেম্বর ডব্লিউএইচওকে অবহিত করে দক্ষিণ আফ্রিকা।
ওমিক্রন ধরনটির অনেক ‘মিউটেশন’ হয়েছে। এজন্যই ওমিক্রনকে নিয়ে বিশ্বে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। ডব্লিউএইচও বলেছে, ওমিক্রনের তীব্রতা বোঝার জন্য আরও তথ্য-প্রমাণ প্রয়োজন। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে আরও তথ্য–প্রমাণ পাওয়ার আশা করা হচ্ছে।
ওমিক্রন নিয়ে গত ২৯ নভেম্বর প্রথম পর্যালোচনা করে ডব্লিউএইচও। সেই পর্যালোচনার পুনরাবৃত্তি করে ডব্লিউএইচও বলেছে, করোনার উদ্বেগজনক নতুন ধরন ওমিক্রনের সঙ্গে সম্পর্কিত সামগ্রিক ঝুঁকি বেশ কিছু কারণে অনেক বেশি রয়ে গেছে।
গবেষকরা বলেছেন, ওমিক্রনে গুরুতর অসুস্থ না হলেও ধরনটি অতিমাত্রায় সংক্রামক।