ফরিদপুরে বিএনপির গণসমাবেশ ৩ ঘণ্টা আগেই শুরু হয়েছে। শনিবার দুপুর ২টায় ওই গণসমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বেলা ১১টায় স্থানীয় নেতাদের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে এ গণসমাবেশ শুরু হয়।
শহরের কোমরপুর আবদুল আজিজ ইনস্টিটিউশন মাঠে বিএনপির পূর্বঘোষিত গণসমাবেশ হওয়ার আগেই গতকাল শুক্রবার থেকেই সমাবেশস্থল লোকে লোকারণ্য। জায়গা না পেয়ে ফরিদপুরের আশপাশের জেলা গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরিয়তপুর, রাজবাড়ী থেকে আসা বিএনপির নেতাকর্মীরা মাঠ ছাড়াও আশপাশের স্থানে জড়ো হয়েছেন।
গণসমাবেশে এরই মধ্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাসসহ স্থানীয় বিএনপি নেতারা উপস্থিত হয়েছেন।
আগের পাঁচটি বিভাগীয় গণসমাবেশের মতো ফরিদপুরের সমাবেশ ঘিরেও মহানগর এবং আশপাশের জেলায় উত্তাপ ছড়িয়েছে। জলে-স্থলে সব রকম পরিবহন ধর্মঘটের কারণে আগে ভাগেই সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করে বিভিন্ন জেলার নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ। পথে পথে বাধা, পুলিশের চেক পোস্ট, তল্লাশি ডিঙিয়ে গণসমাবেশে যোগ দিতে তিনদিন আগে থেকে বৃহত্তর ফরিদপুরের বিভিন্ন জেলার নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করেন। বাস বন্ধ থাকায় বিকল্প উপায়ে রংপুরে আসেন তারা। কেউ মাইলের পর মাইল হেঁটে, কেউ ব্যক্তিগত গাড়ি, রিকশা, অটোরিকশা কিংবা মোটরসাইকেলে করে সমাবেশস্থলে পৌঁছেছেন।
আওয়ামী লীগের দুর্গখ্যাত ফরিদপুর বিভাগীয় গণসমাবেশে বড় জমায়েতের চ্যালেঞ্জ বিএনপির। গণপরিবহণ বন্ধ থাকায় কার্যত বিচ্ছিন্ন ফরিদপুর। তবুও সব বাধা উপেক্ষা করে সমাবেশ সফলে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে দলটি। এর আগে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর ও বরিশালেও ধর্মঘট ডাকার কারণে বিভাগীয় গণসমাবেশে অংশ নিতে নেতাকর্মীদের অনেক বাধা-বিপত্তি পার হতে হয়।বাস ধর্মঘট ডাকায় দুদিন আগ থেকেই নেতাকর্মীরা শহরে চলে আসেন। নৌকার ঘাঁটিতে ব্যাপক শোডাউনের মধ্য দিয়ে নিজেদের সাংগঠনিক শক্তি জানান দিতে চায় দলটি।
প্রসঙ্গত, জ্বালানি তেল, চাল-ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, নেতাকর্মীদের হত্যা, হামলা ও মামলার প্রতিবাদে এবং দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে সারাদেশের দশ বিভাগীয় শহরে গণসমাবেশের ডাক দেয় বিএনপি। এর মধ্যে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর ও বরিশাল বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ হচ্ছে ফরিদপুরে বিভাগীয় সমাবেশ।