টিপ পরায় হেনস্তা: প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

এপ্রিল ৯, ২০২২, ১২:১৪ এএম

টিপ পরায় হেনস্তা: প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি

টিপ পরায় রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় কলেজশিক্ষক লতা সমাদ্দারকে কনস্টেবলের হয়রানির ঘটনায় প্রতিবেদন জমা দিয়েছে এ বিষয়ে গঠিত পুলিশের তদন্ত কমিটি।

শুক্রবার তদন্ত কমিটির সদস্য তেজগাঁও বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার (পেট্রোল-তেজগাঁও) স্নেহাশীষ কুমার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, “গতকাল রাত সাড়ে ১১টায় কমিশনার কার্যালয়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ কমিশনার শিগগির এ বিষয়ে ব্রিফ করবেন।”

কপালে টিপ পরায় গতকাল লতা সমাদ্দারকে হেনস্তা করার অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। কমিটি বলেছে, অভিযুক্ত কনস্টেবল নাজমুল তারেকের উল্টো পথে বাইক চালিয়ে আসা নিয়ে তাদের মধ্যে তর্কাতর্কির ঘটনা ঘটে। তবে অভিযোগকারী নারীর কপালে টিপ পরা নিয়ে অভিযুক্তের মন্তব্যের বিষয়ে দুই ধরনের বক্তব্য পাওয়া গেছে

উল্লেখ্য, গত শনিবার রাজধানীর ফার্মগেটে তেজগাঁও কলেজের প্রভাষক লতা সমাদ্দার টিপ পরা নিয়ে হেনস্তার অভিযোগ করেন পুলিশ সদস্য নাজমুল তারেকের বিরুদ্ধে। পরে নাজমুলকে শনাক্ত করে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। নাজমুল তারেক ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) প্রোটেকশন বিভাগে কর্মরত ছিলেন।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঘটনার দিন ফার্মগেটের ওই সড়কে উল্টো পথে বাইক চালিয়ে আসছিলেন নাজমুল তারেক। এ সময় বিপরীত দিকে থেকে যাচ্ছিলেন তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক লতা সমাদ্দার। বাইক নিয়ে উল্টো পথে আসায় নাজমুল তারেককে ডাক দেন লতা সমাদ্দার। এতেই রেগে যান নাজমুল। ঝগড়ায় লিপ্ত হন দুজন। পরে লতা সমাদ্দারের শরীর ঘেঁষে বাইক টেনে চলে যান নাজমুল।

পরে নাজমুল দাবি করেন, ঘটনার সময় তার সন্তানসম্ভবা স্ত্রী সঙ্গে ছিলেন। স্ত্রীকে চিকিৎসক দেখাতে বের হয়েছিলেন তিনি। তার স্ত্রীর সঙ্গে ওই নারী (লতা) ঝগড়া করেন। এক পর্যায়ে তার সঙ্গেও অভিযোগকারীর ঝগড়া হয়। টিপ পরা নিয়ে ওই নারীকে হেনস্তা করেননি তিনি। তবে ঘটনার সময় নাজমুলের সঙ্গে তার স্ত্রী ছিলেন না বলে নিশ্চিত হয়েছে তদন্ত কমিটি।

এ ঘটনায় গত সোমবার দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ডিএমপি।

Link copied!