কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন শরণার্থী ক্যাম্প থেকে পালিয়ে যাচ্ছে রোহিঙ্গারা। জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন অপরাধে। কড়া পাহারা দিয়েও আটকে রাখা যাচ্ছে না রোহিঙ্গাদের।
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও কক্সবাজার পুলিশের তথ্যানুসারে বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) বিকেলে ৬৪ জন ও আগের দিন বুধবার (০৪ আগস্ট) ৩৩ জনসহ দুই দিনে ৯৭ জন রোহিঙ্গা রামু উপজেলা প্রশাসনের হাতে ধরা পড়েছে। এরমধ্যে ইয়াবা পাওয়ায় একজনকে কারাগারে পাঠায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। একইভাবে গত একমাসে ৪৩৪ জন রোহিঙ্গাকে আটকের পর রোহিঙ্গা শিবিরে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
কঠোর ‘লকডাউন’ বাস্তবায়নে রামু উপজেলার বেশকিছু পয়েন্টে বিশেষ চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। ওই চেক পোস্টগুলোতেই প্রায় প্রতিদিনই রোহিঙ্গারা ধরা পড়ছে। যারা ধরা পড়ছে সবাই উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পের রোহিঙ্গা।
রোহিঙ্গারা ক্যাম্প ছেড়ে বাইরে চলে আসার স্থানীয়রাও বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। চকরিয়ায় বসবাসরত ইমন নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে ফোনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের ভয়ে এই এলাকার পাহাড়ি ও বাঙ্গালি উভয়ে তটস্থ। তারা সুযোগ পেলে ছিনতাই করছে, চুরি করছে। বিভিন্নভাবে আমরা তাদের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। যতদ্রুত সম্ভব এখানে থাকা রোহিঙ্গাদের ভাষাণচরের মত পৃথক একটি স্থানে পাঠিয়ে দেয়া জরুরি। না হলে ভবিষ্যতে তারা শুধু কক্সবাজার এলাকা নয় বরং পুরো চট্টগ্রামের জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জাতিগত নিধনের হাত থেকে বাঁচতে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের আগে পরে প্রায় সাড়ে আট লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এ ছাড়া নতুন পুরনো মিলে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারে উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি শিবিরে এবং নোয়াখালীর ভাসানচরে বসবাস করছে।