বাজারে চিনির দামে অস্থিরতা বিবেচনায় নিয়ে সরকার তুরস্ক থেকে জরুরি ভিত্তিতে সাড়ে ১২ হাজার মেট্রিক টন চিনি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ বিষয়ক এক প্রস্তাব বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল।
প্রস্তাবে বলা হয় দেশের বাজারে সরবরাহ সংকটের কারণে চিনির দামে অস্থিরতা চলছে। খোলা ও প্যাকেটজাত চিনি ঈঁদের পর থেকেই বাজারে ১১০ টাকা থেকে বেড়ে ১৩০-১৪০ টাকা দরে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। এতে নিন্ম আয়ের মানুষের ব্যয় ও দূর্ভোগ বাড়ছে। সভায় বলা হয় তুরস্কে চিনির বাজার দর প্রতি কেজি ৮৩ টাকা।
সুতরাং তুরস্ক থেকে চিনি আমদানি করে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর মাধ্যমে সাশ্রয়ী দামে নিম্ন আয়ের ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করা হবে।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ১২ এপ্রিল সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে মালয়েশিয়া থেকেও ১২ হাজার ৫০০ টন করে ২৫ হাজার টন চিনি কেনার দুটি প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছিল। তুরস্ক থেকে আগের চেয়ে কেজিতে ছয় টাকা কমে চিনি কেনা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশনের দাবী আমদানিকৃত চিনি দেশের বাজারে বিক্রি করলে দাম আরও বাড়বে।
বাংলাদেশে চিনির প্রধান সরবরাহকারীদের মধ্যে রয়েছে দেশবন্ধু, মেঘনা ও সিটি গ্রুপ।বছরে দেশে চিনির চাহিদা ১৮ থেকে ২০ লাখ টন। এর প্রায় পুরোটাই বিদেশ থেকে আমদানির পরবর্তী পরিশোধন করে বাজারে সরবরাহ করা হয়।