জুন ৩০, ২০২১, ০৮:০২ পিএম
ধর্ষণ মামলায় ধর্ষণের শিকার ব্যক্তির চরিত্র নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করার সুযোগ আইন থেকে বাদ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ কারণে সরকার বিদ্যমান সাক্ষ্য আইন সংশোধনে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বুধবার (৩০ জুন) সংসদে বাজেট পাসের প্রক্রিয়ার সময় বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের প্রস্তাবের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি।
সাক্ষ্য আইনের ১৫৫ ধরায় রেইপ কেইসে ভিকটিমের চরিত্র নিয়ে কথা বলার একটা সাব সেকশন আছে জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, 'সেটাকেও পরিবর্তনের জন্য আমি নির্দেশনা পেয়েছি। সেটাও পরিবর্তন হচ্ছে। আমরা মনে হয় পূর্ণাঙ্গভাবে সেপ্টেম্বর মাসে যে সংসদ অধিবেশন হবে, সেখানে আইন নিয়ে আসতে পারব।'
সাক্ষ্য আইন ১৮৭২-এর ১৫৫(৪) ধারা অনুযায়ী, কোন ব্যক্তি যখন ‘বলাৎকার বা শ্লীলতাহানির চেষ্টার’ অভিযোগে ফৌজদারিতে সোপর্দ হন, তখন দেখানো যেতে পারে যে অভিযোগকারী সাধারণভাবে ‘দুশ্চরিত্রা’।
ধর্ষণের অভিযোগে সাধারণত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়। ধর্ষণের অপরাধে শাস্তি বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনের মুখে গতবছর নভেম্বর মাসে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন’ আইন সংশোধন করে সরকার। সেখানে ‘ধর্ষিতা’ শব্দটি বদলে ‘ধর্ষণের শিকার’ শব্দ দুটি বসানো হয়। এছাড়া ধর্ষণের অপরাধে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রাখা হয়। সাক্ষ্য আইনের ১৫৫ (৪) ধারা সংশোধনের জন্যও দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন অধিকারকর্মীরা।
এ ছাড়াও সাক্ষ্য আইনে ভার্চুয়ালি ট্রায়ালের সুযোগ তৈরির জন্যও আইনটির আধুনিকায়ন প্রয়োজন জানিয়ে আইনমন্ত্রী সংসদে বলেন, “এখানে একটু বলে রাখি, সাক্ষ্য আইন যুগোপযোগী করার জন্য কাজ চলছে। আমার মনে হয় আগামী সংসদে আমরা এটা আনতে পারব। বিশেষ করে এটা হবে ভার্চুয়াল।'
তিনি বলেন, যেটাকে আমরা বাংলায় বলি, সাক্ষ্য আইন; সাক্ষ্য আইনে ভার্চুয়াল ট্রায়াল করার কোন সুযোগ নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাশিমপুর জেলে এবং কেরানীগঞ্জ জেলে আদালত যাতে ওখান থেকে ভার্চুয়ালি করতে পারে সেজন্য ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এখন আইনের পরিবর্তন করে এই সাক্ষ্য আইনে পরিবর্তন করার কাজ করছি।