ঢাকা থেকে বরিশালগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ সুরভী-৯-এর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেন।
শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে সুরভী-৯ লঞ্চের ইঞ্জিনের সাইলেন্সারের অ্যাডজাস্টে ধোঁয়া ছড়িয়ে যায়। দুবার এ ঘটনা ঘটলেও লঞ্চ চলাচল অব্যাহত রাখা হয়। এতে যাত্রীদের মধ্যে আগুন আতঙ্ক দেখা দেয়। কেউ কেউ ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন সংস্থায় সহায়তা চান। পরে পুলিশ ও কোস্টগার্ড লঞ্চে অবস্থান নিয়ে মোহনপুর ঘাটে লঞ্চটি নোঙর করতে বাধ্য করে।
লঞ্চের যাত্রী বাকেরগঞ্জের পাদ্রিশিবপুরের গৃহিণী উম্মে হাবিবা জানান, তিনি লঞ্চের দ্বিতীয় তলায় থাকা অবস্থায় হঠাৎ দেখতে পান কাপড় দিয়ে প্যাঁচানো পাইপ (সাইলেন্সার অ্যাডজাস্ট) দিয়ে ধোঁয়া উঠছে। কয়েকজন স্টাফ বালতিতে পানি এনে তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। রাত সাড়ে ১০টায় ধোঁয়া ফের দেখা দিলে তিনি ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে সহায়তা চান।
হাবিবা বলেন, লঞ্চে যাত্রী খুবই কম ছিল। সবাই লঞ্চটি পাড়ে নেওয়ার অনুরোধ করলেও কর্তৃপক্ষ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিন বন্ধ করে এক ইঞ্জিনে লঞ্চটির চলাচল অব্যাহত রাখে। এরপরও যাত্রীদের মধ্যে হইচই শুরু হয়। পরে রাত ১২টার দিকে কোস্টগার্ড লঞ্চে উঠে সাড়ে ১২টার দিকে মোহনপুরে ঘাটে লঞ্চটিকে নোঙর করায়।
সুরভী-৯ লঞ্চের সুপারভাইজার আব্দুর রব বলেন, লঞ্চের সাইলেন্সার ঠান্ডা রাখার জন্য কাপড় পেঁচিয়ে রাখা হয়, সেটি ভেজা ছিল। সেখান থেকে ধোঁয়া বের হওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। তারা বিভিন্ন সংস্থায় ফোন দিলে মোহনপুর থেকে কোস্টগার্ড এসে লঞ্চে অবস্থান নেয়। তারা লঞ্চে অবস্থা খতিয়ে দেখেন। পরে লঞ্চের চেয়ারম্যান চাঁদপুরে যাত্রীদের নামিয়ে দিতে বলেন।
ফায়ার সার্ভিসের বরিশালের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ফায়ার ম্যান মো. জামাল হোসেন বলেন, তাদের কাছে যাত্রীরা সহায়তা চেয়েছেন। কিন্তু লঞ্চ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি এড়িয়ে গেছে।
বিআইডব্লিউটিএর চাঁদপুরের বন্দর কর্মকর্তা মো. কায়সারুল ইসলাম জানান, বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে লঞ্চটি। বর্তমানে লঞ্চটি মোহনপুর এলাকায় নোঙর করে রাখা হয়েছে। যাত্রীরা নিরাপদে আছেন। তবে ফের দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে লঞ্চটি আপাতত বরিশাল যেতে দেওয়া হবে না। যাত্রীদের অন্য কোনো লঞ্চে করে গন্তব্যে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হবে।