রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে সাত জন ভুয়া চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তারা হলেন— মো. ইমান আলী (৪৭), সুদেব সেন (৫০), তন্ময় আহমেদ (৩৭), মোক্তার হোসেন (৪০), কাওছার (৩৫), রহমত আলী (৩৮) ও মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ (৪০)।
দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক সেলিনা আখতার মনি বাদি হয়ে ১৪ জন ভুয়া চিকিৎসকের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। ওই মামলায় এর আগে এজাহারনামীয় মাহমুদুল হাসান নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তিনি এখন কারাবন্দি।
দুদক সূত্র জানায়, কয়েক বছর আগে ১২ জন বাংলাদেশি ছাত্র চীনের তাইশান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিবিএস পাস করেছে বলে দাবি করে। পরে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিবিএস সনদ ব্যবহার করে বিভিন্ন তারিখে বাংলাদেশে ইন্টার্নি অনুশীলন পরীক্ষায় অংশ নেয়। পরে তারা বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল কর্তৃক অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে দাবি করে দেশের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্ন হিসেবে কাজ করে। কিন্তু রেকর্ডপত্র যাচাই করে দেখা যায় তাদের এমবিবিএস সনদগুলো ভুয়া। সনদগুলোর স্বাক্ষরের সত্যতা পরীক্ষার জন্য হস্তলেখা বিশারদের মতামতও নেওয়া হয়। তাতেও দেখা যায় সনদগুলোয় স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে।
ওই ১২ ভুয়া সনদধারী কখনও তাইশান মেডিক্যালে পড়েননি। তারা ট্যুরিস্ট ভিসায় চীনে গিয়েছিলেন বলে জানা যায়। এ ঘটনায় বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার জাহিদুল হক বসুনিয়া ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা বোরহান উদ্দিনসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করা হয়।