নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমাদের কথা খুব পরিষ্কার। নির্বাচন হতে হলে অবশ্যই একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। নির্বাচন-নির্বাচন খেলা আর হবে না।
শনিবার (২ অক্টোবর) রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘২০০১ সালের ১ অক্টোবর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সর্বশেষ নিরপেক্ষ নির্বাচন’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপি।
মির্জা ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, দলেল চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ডাকসুর সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমান, দলের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, সাংবাদিক মাহবুব উল্লাহ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দিলারা জামান বক্তব্য রাখেন।
সরকারের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনাদের দিন ঘনিয়ে এসেছে। এখনও সময় আছে মানুষের ভাষাগুলো পড়েন। দেয়াল লিখন দেখেন। দেখে এই নির্বাচনকালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান তৈরি করে সরে যান। জনগণ যেন তাদের ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে পারে সে পথ তৈরী করে দেন।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই নির্বাচন কমিশন গঠন করা উচিত-প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার এমন বক্তব্যের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, নির্বাচন কমিশনার হুদা সাহেব নির্বাচনী ব্যবস্থাকে পুরো ধ্বংস করে দিয়েছেন। তিনি সিইসিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘যাওয়ার সময় হয়েছে তো। এখন তো আর আগের মতো প্রটেকশন পাবেন না।’
আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহবান জানিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে দলের মহাসচিব আরও বলেন, আমাদের দায় আছে, বিএনপিকে এই দায় বহন করতে হবে। সুশৃঙ্খলভাবে মাঠ বোঝাই করবেন, যখন আন্দোলনের ডাক আসবে। তখন রাস্তা বোঝাই করবেন, মাঠ বোঝাই করবেন।গণঅভ্যুত্থান ছাড়া এই দানবকে সরানো যাবে না। এই দানবকে সরাতে হলে আমাদের সব মানুষকে, সব রাজনীতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে গণঅভ্যুত্থান ঘটাতে হবে।
আওয়ামী লীগ আবারও দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করছেন উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ চেষ্টা করছে, আবারও তারা ক্ষমতায় আসবে ওই ধরনের একটা নির্বাচন দিয়ে। যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারবে না।
নির্বাচনে ভোটগ্রহণে ইভিএম পদ্ধতির সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, আবার ইভিএম চালু করছে। এটা আরেকটা বড় হাতিয়ার; কী করে ভোট চুরি করা যায়, কী করে ভোট না পেয়েও নিজেকে নির্বাচিত ঘোষণা করা যায় তার বড় হাতিয়ার এই ইভিএম।’
এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের অধিকার হরণ করবার যে ভয়াবহ চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র, আমাদের এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।