অবরোধের প্রথম দিনে গাড়িতে আগুন, বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষ, গাড়ি ভাংচুর, গাড়িতে আগুন, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া সহ গ্রেপ্তারের মতো ঘটনা ঘটেছে।
অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিনে গুলিস্তান থেকে আবদুল্লাহপুর গামী এয়ারপোর্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউ পরিবহনে বিকেল সাড়ে ৩টায় আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ এর মতো ঘটনা ঘটেছে। সারা দেশে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বারো ঘণ্টায় ৭টি আগুনের ঘটনার সংবাদ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬ পর্যন্ত (১২ ঘণ্টায়) ৭টি উচ্ছৃঙ্খল জনতা কর্তৃক আগুনের সংবাদ পাওয়া গেছে।
যার মধ্যে ঢাকা সিটিতে ১টি, ঢাকা বিভাগে (নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর) ৪টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ১টি, রাজশাহী বিভাগে (বগুড়া) ১টি ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৩টি বাস, ১টি পার্সেল কাভার্ড ভ্যান, ১টি পিকআপ, ২টি বাণিজ্যিক পণ্যের শো রুম ও ১টি পুলিশ বক্স পুড়ে গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সিএনজি রিকশা সহ ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করলেও দূরপাল্লার বেশিরভাগ যানবাহন ছেড়ে যায়নি তাই অনেকটাই পরিবহন সংকটে ভুগেছে রাজধানীবাসী।
এদিন সড়কে বিশেষ সতর্ক অবস্থানে ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।দেশব্যাপী ছিল র্যাবের ১৫টি ব্যাটালিয়নের তিন শতাধিক টহল টিম। ৫০টি পয়েন্টকে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে সারা দেশে পুলিশের সব ইউনিটকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও নাশকতার তথ্য জনসাধারণের কাছে থাকলে ৯৯৯-এ পুলিশকে অবহিত করতে বলা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, ইউটিউবে গুজব ঠেকাতে সাইবার পেট্রলিং শুরু করেছে পুলিশের বিভিন্ন সাইবার ইউনিট।