আওয়ামী লীগ যা অঙ্গীকার করে, তা বাস্তবায়ন করে: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগস্ট ১৭, ২০২৩, ১২:৩০ পিএম

আওয়ামী লীগ যা অঙ্গীকার করে, তা বাস্তবায়ন করে: প্রধানমন্ত্রী

ছবি: বিটিভির ফেসবুক পেইজ

দেশের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের ভবিষ্যত জীবনের কথা বিবেচনা করে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এখন থেকে সব শ্রেণিপেশার নাগরিক পেনশন পাবেন, এতে সমাজের বৈষম্য দূর হবে।

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সকাল ১০টায় তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এদিকে, সোমবার সরকার সর্বজনীন পেনশন পদ্ধতির গেজেট প্রকাশ করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতেই সর্বজনীন পেনশন স্ক্রিম চালু করা হচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশের মানুষের জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই ছিল তার একমাত্র লক্ষ্য। মানুষকে অন্ন-বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা ও উন্নত জীবন দেবেন, সেই চিন্তা নিয়েই তিনি এতটা সংগ্রাম করেছেন। শোকের মাসে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করে আমরা তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, জাতির পিতার সংগ্রামের পথ বেয়েই আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, জাতি হিসেবে মর্যাদা পেয়েছি। আমরা যদি স্বাধীনতা না পেতাম তাহলে আমাদের কোনো পরিচয় থাকত না। আমাদের নিজস্ব কোনো পাসপোর্ট থাকত না। আমরা সবসময় অন্যের দ্বারা শোষিত-বঞ্চিত-নির্যাতিত থাকতাম। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাবার যেই স্বপ্ন জাতির পিতা দেখেছিলেন, সেটি বাস্তবায়নের জন্য আজকে আমরা সর্বজনীন পেনশন স্কিমের উদ্বোধন করছি। এর মাধ্যমে এ দেশের মানুষ তার জীবনটাকে অন্তত সুরক্ষিত করতে পারবে।

এর আগে, সব নাগরিককে পেনশনের আওতায় আনতে গত ২৪ জানুয়ারি সংসদে ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা বিল-২০২৩’ পাস হয়। বিলে ১৮ বছর থেকে ৫০ বছর বয়সী সব নাগরিকের নির্ধারিত হারে চাঁদা পরিশোধ করে ৬০ বছর পূর্তির পর আজীবন পেনশন সুবিধা ভোগ করার বিধান রাখা হয়। ইতিমধ্যে পেনশন কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইট চালু করা হয়েছে।

চারটি ভিন্ন শ্রেণীর লোকদের কথা বিবেচনা করে প্রাথমিকভাবে চার ধরনের স্কিম চালু করা হয়েছে। এগুলোর নাম ‍‍‘প্রগতি‍‍’, ‘সুরক্ষা‍‍’, ‍‍‘সমতা‍‍’ ও ‍‍ ‘প্রবাসী‍‍’।

এর মধ্যে বেসরকারি খাতের চাকরিজীবীদের জন্য প্রগতি, স্ব-কর্মে নিযুক্ত লোকদের জন্য সুরক্ষা, প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য প্রবাসী এবং দেশের নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য সমতা প্রযোজ্য হবে।

সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যেখানে ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী লোকেরা এর আওতায় আসবে যখন তারা ৬০ বছর পরে পেনশন পেতে শুরু করবে। যদিও এটি প্রাথমিকভাবে পরিকল্পনায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি, তবে এখন ৫০ বছর বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তিদের পেনশন প্রকল্পে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।

টানা ১০ বছর প্রিমিয়াম দেওয়ার পরে তারা পেনশন সুবিধা পাবেন।

Link copied!