অক্টোবর ১৫, ২০২৩, ১১:০১ পিএম
এমপি বা মন্ত্রী হওয়ার জন্য নয় বরং মানুষের সেবা করার জন্য কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ গঠন করেছেন জানিয়ে দলের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ‘হাসানুল হক ইনুদের কারণে বঙ্গবন্ধুকে মরতে হয়েছে।’
রবিবার (১৫ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে দলটিতে জনপ্রিয় গায়ক ও গীতিকার-সুরকার নকুল কুমার বিশ্বাসের যোগদান অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘লতিফ (সিদ্দিকী) ভাইয়ের সঙ্গে আমার সবসময় বিরোধ আছে। মরা পর্যন্ত থাকবে। হাসানুল হক ইনুরা ডাকলে বড় ভাই যাবে। আমি মরলেও যাবো না। হাসানুল হক ইনুদের জন্য, জাসদের জন্য বঙ্গবন্ধুকে মরতে হয়েছে। অন্য কারও জন্য নয়।’
তিনি বলেন, ‘হাসানুল হক ইনু জিয়াউর রহমানকে ১৭ই নভেম্বরের ক্যু এর মাধ্যমে যেদিন বের করে আনা হয় সেদিন ট্যাংকের ওপর নেচেছিলেন। আমার বোন শেখ হাসিনা তাকে মেনে নিতে পারে, আমি কাদের সিদ্দিকী বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সন্তান, আমি এক দিনের জন্যও তাকে মেনে নেব না।’
মতিয়া চৌধুরী প্রসঙ্গে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি মতিয়া চৌধুরীর কথা বলি কারও কারও কষ্ট হয়, কেউ মনে করে এতে শেখ হাসিনা অসন্তুষ্ট হতে পারে, হতেই পারে। শেখ হাসিনার অসন্তুষ্টির জন্য আমি আল্লাহর অসন্তুষ্টি মেনে নেব এই মানসিকতা নিয়ে জন্মগ্রহণ করি নাই।’
তিনি বলেন, ‘মতিয়া চৌধুরী এখন বুড়ো হয়ে গেছে, তাও গলায় যে জোর! যৌবনকালে তার গলায় কি জোর ছিল তা আমি শুনেছি, আপনারা নাও শুনতে পারেন। শেখ মুজিবের পীঠের চামড়া দিয়ে তিনি ডুগডুগি বাজাবেন, জুতা বানাবেন। সেই মানুষকে দুনিয়ার সবাই মেনে নিতে পারে, আমি মেনে নিতে পারি না।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর বহিষ্কৃত সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘অনেকেই আমার বিরুদ্ধে রটান আমি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গেও তর্ক করেছি। হ্যাঁ, করেছি। কারণ আমি কারও পদলেহনকারী নই। আমি মানুষের সেবা করার জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছি। আমার বোধ, বুদ্ধি, বিবেচনা অনুযায়ী আমি চেষ্টা করেছি, করছি।’