ছবি: ইউএনবি
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ ও কানাডা আরও সহযোগিতার ক্ষেত্র অনুসন্ধান করে দু`দেশের মধ্যে বিদ্যমান বহুমুখী সম্পর্ক সম্প্রসারণে আগ্রহী।
বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলসের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কানাডার সঙ্গে আমাদের চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে। কানাডার সঙ্গে আমাদের একাধিক বিষয়ে সম্পর্ক রয়েছে। তারা (কানাডা) এই সম্পর্ক বিস্তৃত ও সম্প্রসারণ করতে চায়।’
সাংবাদিকদের সঙ্গে পৃথকভাবে আলাপকালে হাই কমিশনার বলেন, তাদের বহুমুখী ও দীর্ঘদিনের সম্পর্ক নিয়ে তারা প্রথম ফলপ্রসূ আলোচনা করেছেন।
এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘জনগণের সঙ্গে জনগণের শক্তিশালী সম্পর্ক, ক্রমবর্ধমান বাণিজ্যিক সম্পর্ক এবং একটি ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন কর্মসূচির মাধ্যমে সম্ভাব্য সহযোগিতার অনেক ক্ষেত্র রয়েছে যা আমাদের উভয় দেশের নাগরিকরা উপকৃত হবে।’
তিনি বলেন, বৈঠকে তারা সঠিক গণতন্ত্রের জন্য গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, নাগরিক সমাজ ও বিকল্প কণ্ঠস্বরের গুরুত্ব নিয়েও আলোচনা করেছেন।
হাইকমিশনার রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় কানাডার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
মানবাধিকার ইস্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মানবাধিকার একটি বৈশ্বিক ইস্যু এবং এটি আমেরিকা, ইউরোপ ও কানাডায়ও একটি ইস্যু। `আমরাও এ বিষয়ে কাজ করছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্রের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি, কারণ আমাদের গণতন্ত্রের সুষ্ঠু চর্চা করতে হবে। আমরা আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোর মতামতকে মূল্য দেই।’
হাইকমিশনার বলেন, ‘সম্ভাব্য সহযোগিতার অনেক ক্ষেত্র রয়েছে, যেগুলোতে আমাদের উভয় দেশের নাগরিকরা উপকৃত হবে।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি নূর চৌধুরীকে দেশে ফেরত পাঠিয়ে আদালতের রায় কার্যকর করার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলোচনা করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হাইকমিশনারের সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার নেই, তবে তিনি ঢাকার অনুরোধ তার সরকারের সঙ্গে জানাবেন।
তারা দুই দেশের মধ্যে বিশেষ সম্পর্ক এবং দীর্ঘদিনের সম্পর্ক আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে কথা বলেছেন।
হাইকমিশনার বলেন, ‘আমাদের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী ও বহুমুখী সম্পর্ক রয়েছে, যার অনেকগুলো মাত্রা রয়েছে।’
হাইকমিশনার বলেন, ‘আমরা অবশ্যই উন্নয়ন অংশীদারিত্বের বিকাশ নিয়েও কথা বলেছি এবং এগুলোর প্রত্যেকটি কীভাবে আমাদের দুই দেশের যৌথ সহযোগিতার অনেক সুযোগ এনে দিয়েছে তা নিয়েও কথা বলেছি।’
হাইকমিশনার বলেন, ভালো বন্ধু হিসেবে তারা মত প্রকাশের স্বাধীনতার গুরুত্ব, নাগরিক সমাজের অসাধারণ মূল্যবোধ এবং একটি প্রাণবন্ত নাগরিক সমাজ সম্পর্কে খুব খোলামেলা কথা বলেছেন।
‘আমরা বিকল্প কণ্ঠস্বর ও দৃষ্টিভঙ্গির গুরুত্ব সম্পর্কে কথা বলেছি’, তিনি বলেন। হাইকমিশনার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকটে কানাডার অব্যাহত সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করারও সুযোগ পেলাম।’