গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ পণ্ড হওয়ার পর থেকে যে হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেছিল বিএনপি, তার মধ্যে এই প্রথম মঙ্গলবারে অবরোধ ডেকেছে দলটি। এর আগে শুক্র-শনি ও মঙ্গলবার বাকি রেখে বাকি দিনগুলোতে অবরোধ বা হরতাল কর্মসূচি ডেকেছিল প্রধান বিরোধী দলটি। এবার এই ‘রুটিন’-এ এসেছে পরিবর্তন। রবি-সোম, বুধ-বৃহস্পতির বদলে মঙ্গল-বুধবার ৩৬ ঘণ্টার অবরোধ ডাকে দলটি যার প্রথমদিন আজ। ১১তম বার অবরোধ শেষ হবে আগামীকাল বুধবার সন্ধ্যা ছয়টায়।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সোমবার বিকেলে ভার্চ্যুয়াল এক ব্রিফিংয়ে অভিযোগ করেন, ঘরে-বাইরে কোথাও নিরাপত্তা নেই। সরকারের প্রতিপক্ষ যারা, তাদের জীবন রাষ্ট্রীয় নজরদারি ও বন্দুকের নলের নিচে বন্দী।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, দেশের কারাগারগুলোতে ধারণক্ষমতার চেয়ে এখন বন্দীর সংখ্যা দ্বিগুণ। বিরোধী শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করতে বিএনপির বন্দী নেতা-কর্মীদের বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শরিক-মিত্রদের আসন ভাগাভাগির প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, আসন ভাগাভাগি নিয়ে শ্যাম রাখি না কুল রাখি অবস্থা। সব শরিক চায় নৌকা। মুখে বলছে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন, কিন্তু সবই তো নৌকা প্রতীকের।
‘একতরফা পাতানো’ নির্বাচনী খরচ জোগাতে সিন্ডিকেটের হাতে নিত্যপণ্যের বাজার ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন রিজভী।
গত ২৯ অক্টোবর সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ঘোষণা করে যে কর্মসূচি শুরু করেছিল বিএনপি, তার পর থেকে নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি দিয়েই যাচ্ছে দলটি। তাদের দাবি সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচন এবং নেতা-কর্মীদের মুক্তি ও হয়রানি বন্ধ করা।