মার্চ ১০, ২০২৪, ০৪:২২ এএম
বিদ্যালয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগেই সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার গয়হাট্টা সালেহা ইসহাক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহীদুল ইসলামের ঘুষ গ্রহণের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন ব্যক্তি প্রধান শিক্ষককে তার নিজ কক্ষে ঘুষ দিচ্ছেন। প্রথমে ২ লাখ টাকা প্রধান শিক্ষকের হাতে তুলে দেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক টাকা না নিতে চাইলে একপর্যায়ে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা তার হাতে দিলে তিনি সেটা গ্রহণ করেন।
এদিকে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে পুকুর লিজের টাকা, রশিদ ছাড়া টাকা উত্তোলন, ভর্তি ও সেশন ফি এবং চাকরি দেওয়ার কথা বলে টাকা আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অভিযোগে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন সভাপতি আল-আমিন সরকার। ৩ দিনের সময় বেঁধে দিয়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম নোটিশ দেন তিনি। নোটিশে প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৭টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উল্লেখ করে বলা হয়, এসব অনিয়মের মাধ্যমে আপনি বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছেন। এ অবস্থায় আপনার বিরুদ্ধে কেন বেসরকারি চাকরিবিধি মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না সভাপতি বরাবর কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়। প্রথম নোটিশ গ্রহণ না করায় গত ৫ ফেব্রুয়ারি আরও একটি নোটিশ দেন।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আল-আমিন সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামের ঘুষ গ্রহণের ভিডিও ভাইরাল ও বিদ্যালয়ের বিভিন্ন ফান্ডের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তাকে দু’দফায় কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু সেই নোটিশের কোনো জবাব দেননি তিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘উল্লাপাড়ার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গয়হাট্টা সালেহা ইসহাক উচ্চ বিদ্যালয়ে বর্তমান এক হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। চলতি বছরে এ বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক, ল্যাব সহকারী ও নৈশপ্রহরী নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু ওই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ার আগেই প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে অভিযোগ দেয়া হয়েছে।’
এদিকে ঘুষ গ্রহণের ভাইরাল হওয়া ভিডিওর বিষয়টি অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম উল্টো সভাপতির বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও তাকে মারধরের অভিযোগ করে গণমাধ্যমকে বলেন, আমি থানায় মামলা দায়ের করেছি। এ জন্য তিনি উল্টো আমার নামে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিচ্ছেন।
ভিডিওর ব্যাপারে তিনি বলেন, আমি কোনো টাকা নিই নাই। নিয়োগ সংক্রান্ত কোনো টাকা দেয় নাই, আমি নিই নাই।