জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় পীর ও সাধক হযরত শাহ কামাল (রহ) ইয়েমেনীর মাজারকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর বৈশাখ মাসের প্রথম দিন থেকেই মাসব্যাপী বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। ২৪ দিনেরও বেশি সময় ধরে মেলার নামে চলছে মাদকসেবন ও বেচাকেনা। দোকানে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে গাঁজা।
বৈশাখী মেলা ঘুরে দেখা গেছে, দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে চলছে মেলার নানা কার্যক্রম। বিভিন্ন জিনিসের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা। মাজারটির পুকুরসংলগ্ন বাগানে বসেছে গাঁজা সেবন ও বিক্রির জমজমাট আসর। মেলার বিভিন্ন জায়গায় তাবু টানিয়ে বসানো হয়েছে গাজার দোকান। অনেকে আবার মাটিতে পাটি পেতে বিক্রি করছেন গাঁজা।
এ বিষয়ে জেলার সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, “বৈশাখী মেলায় প্রকাশ্যে এভাবে গাঁজা সেবন বন্ধ করা প্রয়োজন। তা না হলে যুবসমাজ ও শিক্ষার্থীরা মাদক সেবনে আসক্ত হয়ে পড়বে। বিশেষ করে ওই এলাকার তরুণ শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।”
স্থানীয়রা বলেন, “এই মেলার জন্য পুরো একমাস এই এলাকার মানুষ শান্তিতে থাকতে পারে না। ২৪ ঘন্টা উচ্চস্বরে গান বাজে। বৈশাখ মাস আসলেই অশান্তি শুরু হয়ে যায়। মেলায় গেলেই অল্প টাকায় মিলছে গাঁজা। এই এলাকার তরুণ ও কিশোররা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।”
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. সোহেল মাহমুদ বলেন, “কিছুদিন আগেও অভিযান পরিচালনা করে গাঁজাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। জেলা পুলিশ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে।”
এ বিষয়ে মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবা হক বলেন, “মেলায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সব সময় পুলিশ টহলে রয়েছে। আমি নিজেও কয়েকদিন অভিযান পরিচালনা করেছি।”