নভেম্বর ৯, ২০২৩, ০২:৩১ পিএম
পোশাকশ্রমিকদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘পোশাকশ্রমিকদের জন্য যে মজুরি বাড়ানো হয়েছে, তা নিয়েই তাদের কাজ করতে হবে।’
বৃহস্পতিবার ( ৯ নভেম্বর ) গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি গার্মেন্টস শ্রমিকদের বলব, যেটা (মজুরি) বাড়ানো হয়েছে সেটা নিয়েই তাদের কাজ করতে হবে। তারা কাজ করুক।’
আওয়ামী লীগ সরকার পোশাকশ্রমিকদের মজুরি দফায় দফায় বাড়িয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যখনই সময় আসে তাদের সবরকম সুবিধা আমরা করে দেই। কিন্তু তারা যদি সেটা না করে, কারও প্ররোচনায় রাস্তায় নামে, তখন যারা তাদের উস্কানি দিচ্ছে তারাই তাদের (শ্রমিকদের) লাশ ফেলবে। এরাই এমন অবস্থা সৃষ্টি করবে যে, তারা (শ্রমিকরা) চাকরি হারাবে, কাজ হারাবে, গ্রামে যেয়ে পড়ে থাকতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন রাখেন, ‘এখন তারা (শ্রমিকরা) কী চায়? কারখানা ধ্বংস হয়ে গেলে বা যদি আমাদের উৎপাদন ব্যাহত হয়, যদি রপ্তানি ব্যাহত হয়, তাহলে তাদের কাজ থাকবে কোথায়? এটা তো তাদের বুঝতে হবে। আর উষ্কানিদাতারা কারা?’
এবার ন্যূনতম মজুরি বাড়িয়ে ১২ হাজার ৫০০ টাকা করা হয়েছে। শতকরা ৫৬ ভাগ বাড়ানো হয়েছে। আন্দোলনের নামে ১৯টি কারখানা ধ্বংস করা হয়েছে। যারা তাদের (শ্রমিক) উসকানি দিচ্ছে, তারাই তাদের ধ্বংস করবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা জনগণের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকারে বিশ্বাস করি।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে একটা অদ্ভুত জিনিস দেখলাম, আমি জানি না, আদর্শ-নীতি গুলিয়ে গেল কেন? আমরা দেখি চরম ডানপন্থী জামায়াতে ইসলামী থেকে শুরু করে... আর এদিকে বামপন্থী হলো আমাদের কমিউনিস্ট এবং এতদিন প্রলেতারিয়েত আর যত আদর্শের কথা যারা বলছে, তারা সব একইসঙ্গে একই সুরে কথা বলে কীভাবে?
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘তারা এক হয়ে মিলে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে, আওয়ামী লীগ অপরাধটা কী করেছে আমি সেটা জানতে চাই।
আজকে আমার দেশবাসীর কাছে প্রশ্ন- আওয়ামী লীগের অপরাধ কী? জনগণের ভোটের মাধ্যমেই বারবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে। মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করেছে।’
৭৫-এর পর অস্ত্রের জোরে যেসব সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেছে, তারা সন্ত্রাস ও লুটপাট ছাড়া জনগণকে কিছুই দিতে পারেনি বলে জানান তিনি।