ডিসেম্বর ১, ২০২৩, ০৩:১৭ পিএম
বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোর জলবায়ু প্রকল্পগুলোতে মনোযোগ দিয়ে ৩ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের এক নতুন বেসরকারি বিনিয়োগ তহবিল গঠন করতে যাওয়ার কথা জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। ২০৩০ সাল নাগাদ আলতেরা নামক এ নতুন তহবিল মোট ২৫ হাজার কোটি ডলারের বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে সক্ষম হবে আশা করছে দেশটি।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) এই ঘোষণা দেয় সংযুক্ত আরব আমিরাত। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার দেশটির দুবাই শহরে শুরু হয়েছে জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক শীর্ষ সম্মেলন কনফারেন্স অব দ্য পার্টিজ (কপ)-এর ২৮তম আসর। চলবে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
এক বিবৃতির মাধ্যমে জানানো হয় এই নতুন তহবিল বোর্ডের প্রধান হবেন কপ-২৮ সম্মেলনের সভাপতি সুলতান আল জাবের। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি এডিএনওসির প্রধানও।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এ তহবিল একটি ন্যায্য জলবায়ু অর্থায়ন ব্যবস্থা তৈরি করতে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা এগিয়ে নিয়ে যাবে। পাশাপাশি তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর জন্য আরও বেশি তহবিল পাওয়ার সুযোগ তৈরিতে জোর দেবে এটি।
ইউএইর প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান সম্মেলনে বলেন, ‘আমি বিশ্বব্যাপী জলবায়ু সংকট সমাধানে ৩ হাজার কোটি ডলারের তহবিল গঠনের ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত।’
জাতিসংঘের অর্থনীতিবিষয়ক একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেলের মতে, ভবিষ্যতে চীন ছাড়া উদীয়মান অন্যান্য বাজার ও উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলোকে প্রতিবছর নিজেদের জলবায়ু সংশ্লিষ্ট বিষয় দেখভাল এবং উন্নয়ন চাহিদা মেটাতে ২ লাখ ৪০ হাজার কোটি ডলার খরচ করতে হবে। এ খাতে দেশগুলোর বর্তমান বিনিয়োগ এই অঙ্কের ধারেকাছে নেই।
এ অবস্থায় ধনী রাষ্ট্র ইউএইর নতুন বিনিয়োগ তহবিল গঠনের ওই উদ্যোগ কপ–২৮ নিয়ে তাদের সুদূরপ্রসারী কৌশলেরই একটি অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এ উদ্যোগ বিভিন্ন দেশের সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকে জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় এগিয়ে আসতে চাপ সৃষ্টি করবে।
বিশ্বে ক্ষতিকর কার্বন নিঃসরণের জন্য বেশি দায়ী উন্নত দেশগুলো এবং বাকি বিশ্বের মধ্যে একটা সেতুবন্ধ সৃষ্টিকারী রাষ্ট্র হিসেবে নিজেদের বিবেচনা করে থাকে ইউএই। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বৃদ্ধিতে ভূমিকা কম হলেও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের একটি হয়ে উঠেছে দেশটি।