কক্সবাজার সৈকতে একের পর এক মৃত্যু, ১৬ ঘণ্টায় উদ্ধার ৬ মরদেহ

জাতীয় ডেস্ক

জুন ৯, ২০২৫, ০৬:০৬ পিএম

কক্সবাজার সৈকতে একের পর এক মৃত্যু, ১৬ ঘণ্টায় উদ্ধার ৬ মরদেহ

প্রতীকী ছবি

কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলের বিভিন্ন স্থান থেকে ১৬ ঘণ্টার ব্যবধানে ছয়টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, যা এলাকায় শোকের ছায়া ফেলেছে।

স্থানীয় পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, উদ্ধার হওয়া মরদেহের মধ্যে পাঁচটি কক্সবাজার সদর থানা এলাকার। এদের মধ্যে তিনজন ছিলেন পর্যটক, একজন স্থানীয় বাসিন্দা এবং আরেকজনের মরদেহ গলিত অবস্থায় পাওয়া গেছে, যার পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

এছাড়া রামু উপজেলার আওতাধীন হিমছড়ির পেঁচারদ্বীপ এলাকা থেকে আরও একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, রোববার বিকেল ৫টার দিকে চট্টগ্রামের ডিসি রোড এলাকার মো. রাজিব কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সি-গাল পয়েন্টে গোসলে নেমে নিখোঁজ হন। পরে সোমবার ভোর ১টার দিকে সৈকতের ডায়াবেটিস পয়েন্ট থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

আরেক ঘটনায়, সোমবার দুপুর ২টার দিকে সৈকতের সায়মন বিচ পয়েন্টে রাজশাহীর শাহীনুর রহমান (৬০) ও তার ছেলে সিফাত (২০) গোসলে নেমে ভেসে যান। লাইফগার্ড কর্মীরা দ্রুত উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

এর আগে, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সৈকতের নাজিরারটেক পয়েন্ট থেকে কক্সবাজার শহরের পশ্চিম বাহারছড়া এলাকার নুরু সওদাগরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। জানা যায়, তিনি রোববার বিকেলে শখ করে মাছ ধরতে গিয়ে সৈকতের শৈবাল পয়েন্ট থেকে ভেসে যান।

অপরদিকে, দুপুর ১২টার দিকে খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্পের পাশের বাঁকখালী নদীর মোহনা থেকে একটি অজ্ঞাত, গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতের পরিচয় এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।

হিমছড়ির পেঁচারদ্বীপ এলাকা থেকেও সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আরও একটি অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

সি-সেইফ লাইফগার্ডের জ্যেষ্ঠ কর্মী সাইফুল্লাহ সিফাত জানান, বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ঢলের কারণে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে ‘গুপ্ত খাল সৃষ্টি হয়, যা অত্যন্ত বিপজ্জনক। নির্ধারিত নিরাপদ এলাকা ছাড়া অন্য কোথাও গোসলে নামলে পর্যটকরা সহজেই ঝুঁকিতে পড়েন।

তিনি বলেন, “আজ সকাল থেকে এখন পর্যন্ত আমরা ছয়জন পর্যটককে জীবিত উদ্ধার করতে পেরেছি।

তবে সিফাত উল্লেখ করেন, কক্সবাজারের বিশাল সমুদ্র সৈকতে মাত্র ২৭ জন লাইফগার্ড কাজ করেন, যারা দুই শিফটে ভাগ হয়ে দায়িত্ব পালন করেনপ্রতি শিফটে মাত্র ১৩-১৪ জন। এই জনবল খুবই অপ্রতুল বলে তিনি জানান।

গত কয়েক বছর ধরে সি-সেইফ লাইফগার্ড নামের একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কক্সবাজার সৈকতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে।

Link copied!