খাঁচার চেয়ে প্রাণীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় হরিণ-ময়ূর বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজধানীর মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে আকর্ষণ বাড়াতে শিম্পাঞ্জি-গরিলা কিনতে চায় কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে এ সম্পর্কে মন্ত্রণালয়ে একটি চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে।
২০১৫ সালের জুলাইয়ে জাতীয় চিড়িয়াখানায় থাকা একমাত্র শিম্পাঞ্জির মৃত্যু হয়। এরপর থেকে শিম্পাঞ্জি শূন্য হয়ে পড়ে চিড়িয়াখানা। আর দেশের চিড়িয়াখানার ইতিহাসে কখনোই গরিলা ছিল না। চিড়িয়াখানাকে সমৃদ্ধ করতে এবার শিম্পাঞ্জির সঙ্গে গরিলাও কিনতে চায় কর্তৃপক্ষ। আর বিক্রি করতে চায় হরিণ ও ময়ূর।
কর্তৃপক্ষের এ সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে চিড়িয়াখানা কিউরেটর মুজিবুর রহমান বলেন, ‘মজুদ থাকা সাপেক্ষে আমরা চিত্রা হরিণ ও ময়ূর বিক্রি করছি, সরকার নির্ধারিত দামে। সব হরিণের দাম ৫০ হাজার টাকা আর সব ময়ূরের দাম ২৫ হাজার টাকা। হরিণ কিনতে বন বিভাগের ছাড়পত্র লাগবে। তবে ময়ূর কিনতে তার প্রয়োজন হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুধুমাত্র লালনপালনের জন্যই হরিণ নেওয়া যাবে। অন্য কোনো উদ্দেশ্য যদি থাকে সেটা সম্ভব না। এই বিষয়টি দেখভাল করে বন বিভাগ।’
উল্লেখ্য, বর্তমানে ১৩৫ প্রজাতির ৩ হাজার ৩৮০ প্রাণী আছে চিড়িয়াখানায়। যার মধ্যে ২৮৭টি হরিণ ও ১৯৭টি ময়ূর।