ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৪, ০৫:০১ এএম
চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলায় নিজ বাড়িতে ছুটিতে এসে ভাই ও ভাবীকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লার লালমাই থানার এএসআই মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে। এতে তার ভাই মোঃ আলমগীর হোসেন (৩৬) ও ভাবী রাশেদা আক্তার (৩২) আহত হন।
বুধবার (২১ শে ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে তারা নিজ বাড়িতে ফিরে যান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, জাহাঙ্গীর পাঁচ দিনের ছুটিতে বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের হাতিলোটা গ্রামে আসেন ১৮ ফেব্রুয়ারি। ঘটনার সূত্রপাত বুধবার (২১ শে ফেব্রুয়ারী) বিকাল ৪:৩০টার দিকে। পানির সংযোগের জের ধরে জাহাঙ্গীর সীতাকুন্ড থানার এস এই মোঃ নাসির উদ্দিন ভূইয়াঁকে তার পৈত্রিক বাড়িতে আনেন। সিভিল ড্রেসে থাকা নাসির ও ফোর্স আলমগীর ও জাহাঙ্গীরকে সমঝোতার পরামর্শ দিয়ে চলে যান।
ভুক্তভোগী রাশেদা বলেন, ‘ওই দুই পুলিশ সদস্য চলে যাবার পরপরই জাহাঙ্গীর আমার স্বামীকে লাঠিসোটা নিয়ে আক্রমণ করেন। আমি আলমগীরকে বাঁচাতে গেলে আমাকেও মাথায় আঘাত করে। হাতেও আঘাত করে এবং আমাকে মাটিতে ফেলে দিয়ে আবারো আলমগীরকে মারতে থাকে।’
এ ঘটনায় জাহাঙ্গীরের মেজ দুলা ভাই নূর করিম ও ভাগ্নে মেহেদী হাসান সৈকত ও জড়িত, অভিযোগ ওই দম্পতির।
অভিযুক্ত এএসআই জাহাঙ্গীরের দাবি বড় ভাই আলমগীর মাদকাসক্ত। বাড়িতে বিভিন্ন সময় মাদকের’ আসর বসানোয় তার সাথে পারিবারিক কলহ বাধে।
আলমগীর ও রাশেদা বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নে গেলে বাড়বকুণ্ড ইউপি চেয়ারম্যান ছাদাকাত উল্লাহ মিয়াজী উভয় পক্ষকে ৩রা মার্চ বৈঠকে ডাকেন।
বৈঠকের বিষয়টি ছাদাকাত উল্লাহ নিশ্চিত করে বলেন, ‘মূলত তাদের পারিবারিক বিরোধ অনেক দিনের।’
এইদিকে জাহাঙ্গীর, করিম ও সৈকত বুধবার রাতেই বাড়ি থেকে চলে যায়।
এসআই নাসির বলেন, তিনি ঐদিন সেখানে যান এবং ওই দুই সহোদরের সাথে কথা বলেন। মারামারি হইসিলো এইটা সত্য। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউপিতে দুই পক্ষই বসার কথা।’
তিনি বলেন, ‘জাহাঙ্গীর তার বাবাকে দিয়ে একটা অভিযোগ থানায় দায়ের করতে চাইলেও, ঐ অভিযোগ দায়েরের ক্ষেত্রে জাহাঙ্গীরের কোনো সম্পৃক্ততা নাই।’
মারপিটের বিষয়টি আবারো সামনে আনলে নাসির বললেন, ‘এরকম কোনো বড় ঘটনা ঘটে নাই।’ তিনি দাবি করেন ওই ঘটনায় জাহাঙ্গীরের পুলিশি ‘ক্ষমতা’ প্রদর্শনের মতো কিছুই হয় নি।
নাসির বলেন, ‘বরং তাদের বাবা একটি জিডি করেন আলমগীরের বিরুদ্ধে। আমি আজকে (২৫শে ফেব্রুয়ারি) দুই পক্ষকেই ডেকেছিলাম কিন্তু কেউ আসেনি’।
এইদিকে আলমগীর জিডি বা বৈঠকের বিষয়ে কিছুই জানেনা বলে দাবি করে তিনি বলেন, ‘থানা থেকে আর কোন ফোন পাইনি আমরা’।
এ ব্যাপারে লালমাই থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ বলেন, ‘আমার জানামতে এএসআই জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। তারপরও বিষয়টি দেখার দায়িত্ব সীতাকুণ্ড থানা প্রশাসনের।’