নভেম্বর ২৯, ২০২৩, ১০:৪৯ এএম
বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের সাথে আমরা আলাপ করছি। তবে শুধু ইউরোপীয় ইউনিয়ন নয় বরং সারা বিশ্বই সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে। বুধবার নির্বাচন কমিশন ভবনে ইইউ প্রতিনিধি ও ইসির মধ্যকার বৈঠক শেষে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের সাথে আমাদের বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে অনেক বিষয়ে আলাপ হয়েছে। আমরা বাংলাদেশের নির্বাচনের পরিস্থিতি নিয়ে আগ্রহী। যে কারনে বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ ও জিজ্ঞাসা ছিল। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সারা বিশ্বই হয়ত সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায়।
বৈঠকে ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির নেতৃত্বে দশ সদস্যের প্রতিনিধিদলে রয়েছেন- ইউরোপীয় ইউনিয়ন দূতাবাসের উপপ্রধান ড. বার্নড স্প্যানিয়ার, রাজনৈতিক কর্মকর্তা সেবাস্তিয়ান রেগার ব্রাউন, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত মিসেস আলেক্সান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে, স্পেনের রাষ্ট্রদূত ফ্রান্সিসকো ডে এসিস বেনিটেজ সেলাস, ইতালির রাষ্ট্রদূত অ্যান্তোনিও আলেসান্দ্রো, নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত মিসেস ইরমা ভ্যান ডুরেন, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টিয়ান ব্রিকস মোলার, ফ্রান্স দূতাবাসের উপপ্রধান গিলাউম অড্রিন কারড্রিল, জার্মান দূতাবাসের উপরাষ্ট্রদূত জ্যান জ্যানোভস্কি। এর আগে গত ১৮ এপ্রিল আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিইসির সঙ্গে বৈঠক করেন ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইতোমধ্যে জানিয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাঁচ সদস্যের একটি পর্যবেক্ষক টিম পাঠাবে, এতে দুইজন টেকনিক্যাল এক্সপার্ট থাকবে।
এদিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আউয়াল বলেন, ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি ও আরও ৯ টি দেশের রাষ্ট্রদূত এসেছেন। এটা আমরা বলি ইইউ ডেলিগেশন। তারা আগেও অনেকবার এসেছেন। সহসাই তাদের একটি বিশেষজ্ঞ দল আসবে। ইতোমধ্যে ৪ জনের প্রতিনিধি দল কিন্তু এসে গিয়েছে। কিন্তু আমাদের প্রস্তুতি অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। এটা তারা জানতেন না। তারা আগেও এসেছেন এর মধ্যে আমাদের কতটুকু অগ্রগতি হয়েছে সেগুলো সম্পর্কে জানিয়েছি। আমরা নির্বাচন স্বচ্ছ,সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করে আয়োজন করব সেটা জানিয়েছি।
এদিকে কমিশনের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে উল্লেখ করে হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমাদের কমিশনাররা দু সপ্তাহ ধরে বাহিরে বাহিরে ঘুরেছেন। তারা জনগণ ও প্রশাসনকে বিভিন্ন বিষয় অবহিত করেছে। যেন প্রশাসন স্থানীয়ভাবে তাদের সকল শক্তি ব্যবহার করে অবাধ সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় সেটা ইইউকে বলেছি। আমাদের এই বক্তব্যে তারা সন্তুষ্ট হয়েছি বলে বোঝা যাচ্ছে।
এদিকে সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতা নিয়ে তিনি বলেন, সংবিধানের বাধ্যবাধকতা অনুসারে নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন আয়োজন করতে বাধ্য সেটা বুঝিয়েছি। এ বিষয়ে কিন্তু আগেও বলেছি। তবে রাজনৈতিক অঙ্গনে যদি কোন বিভেদ, বিরোধ বা বিভাজন থাকে সেখানে আমরা হস্তক্ষেপ করতে পারিনা।