কোরবানির আগে চোরাই গরু আসা বন্ধের দাবি খামারিদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

জুন ১, ২০২৪, ০২:৪৬ পিএম

দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ

আসন্ন ঈদুল আজহায় ভারত ও মিয়ানমার থেকে চোরাই পথে গরু আসার কারণে ঝুঁকির মুখে পড়তে হয় বাংলাদেশের খামারিদের। তাই চোরাই পথে গরু আমদানি বন্ধে এখনই সরকারের উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ডেইরি ফারমারস অ্যাসোসিয়েশন।

শনিবার (১ জুন) জাতীয় দুগ্ধ দিবসে সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান খামারিরা।

সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন বলেন, “ভারত থেকে গরু আমদানি বন্ধের পর বাংলাদেশ গরু উৎপাদনে নিজেরাই স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। এ বছরও কোরবানি ঈদের চাহিদার তুলনায় ২৩ লাখ গরু বেশি আছে। এই অবস্থায় চোরাই পথে গরু আসলে খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”

খামারিরা চাহিদার তুলনায় যোগান বেশি দেওয়ার পরও কেন গরুর দাম কমছে না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সংগঠনের সভাপতি বলেন, “গরুর দাম সরকারের নীতি নির্ধারণের ওপর নির্ভর করে।”

এছাড়া দেশীয় দুগ্ধ শিল্প বাঁচাতে গুড়া দুধ আমদানিতে সরকারের নিয়ন্ত্রণ ও শুল্ক বৃদ্ধির দাবি জানানো হয়। আমদানি করা গুড়া দুধের মান নিয়ে নানা অভিযোগ থাকার পরও কেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছেনা অভিযোগ করেন ইমরান হোসেন।

সম্মেলনে রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের বাঁচাতে ব্যাংক ঋণ মওকুফ ও আর্থিক সহায়তার দাবিও জানানো হয়। এ সময় বিভিন্ন জেলার খামারিরা গবাদি পশু রোগবালাইয়ে আক্রান্ত হলে সরকারি সহায়তার দাবি জানান। ঘূর্ণিঝড় রেমালে ১০৭ উপজেলায় ২৫ লাখ গবাদি পশু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া গবাদি পশুর খাবারের বড় ধরনের সংকট দেখা দিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায়।

Link copied!