চট্টগ্রামে ইসলামী ব্যাংকের লকার থেকে স্বর্ণ ‍‍‘গায়েব‍‍’

জাতীয় ডেস্ক

জুন ২, ২০২৪, ০৫:২৫ এএম

চট্টগ্রামে ইসলামী ব্যাংকের লকার থেকে স্বর্ণ ‍‍‘গায়েব‍‍’

প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামে ইসলামী ব্যাংকের চকবাজার শাখায় একজন গ্রাহকের লকারে রাখা ১৪৯ ভরি স্বর্ণের গহনা গায়েব হয়েছে। গত ২৯ মে দুপুরে এই ঘটনা ঘটেছে। তবে এখনও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বা গ্রাহক কেউই থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি। তবে সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

পুলিশ সূত্র জানায়, নগরীর বেভারলি হিল এলাকার বাসিন্দা ও ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহক রোকেয়া বারী ব্যাংকের একটি লকারে প্রায় ১৪৯ ভরি স্বর্ণের গহনা রেখেছিলেন। ২৯ মে লকার ইনচার্জের সঙ্গে লকার রুমে ঢুকে তিনি দেখতে পান যে, তার লকারটি খোলা এবং সেখানে কোনো গহনা নেই।

রোকেয়া বারীর ছেলে ডা. রিয়াদ মোহাম্মদ মারজুক বলেন, “মা ২০০৭ সাল থেকে এই শাখায় তার স্বর্ণের গহনা রাখার জন্য লকার ব্যবহার করে আসছেন। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ব্যাংকে গিয়ে লকার রুমের ইনচার্জকে তার লকার দেখার অনুরোধ করেন। মায়ের কাছে লকারের মূল চাবি আছে এবং আরেকটি ডুপ্লিকেট চাবি ইনচার্জের কাছে থাকে।”

তিনি আরও বলেন, “তারা দুজন লকার রুমে প্রবেশ করেন। তখন ইনচার্জ প্রথমে দেখেন যে মায়ের লকারটি খোলা। আমার মা লকারটি পরীক্ষা করে ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানান।”

ডা. রিয়াদ বলেন, “আমরা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে বিষয়টি জানাই এবং চকবাজার থানার ওসি লকার রুম দেখে গেছেন। বুধবার রাতেই সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ওসি আমাদেরকে বলেন মামলা করতে। আমরা পরিবারের আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করছি। এ বিষয়ে সোমবার আদালতে অভিযোগ দায়ের করবো।”

তিনি বলেন, “ব্যাংক কর্মকর্তারা আমাদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছেন যে তারা ঘটনা তদন্তে একটি তদন্ত দল গঠন করেছেন এবং সাত দিনের মধ্যে সঠিক ঘটনা উদঘাটন করবেন।”

চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়ালি উদ্দিন আকবর বলেন, “লকার রুমে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রাথমিক প্রমাণ সংগ্রহ করেছি। ভিকটিম ও তার ছেলে থানায় জিডি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমরা ঘটনাটির গুরুত্বের কারণে ফৌজদারি মামলা দায়ের করতে বলেছি।”

সমাধানের আশ্বাস দিয়ে ইসলামী ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিএমডি) আকিজ উদ্দিন বলেন, “বিষয়টি আমরা দেখছি। গ্রাহকের কাছে মূল চাবি আছে, কিন্তু আমাদের কাছে নেই। ১ মাস আগে ব্যাংকে এসে লকারটি পরীক্ষা করেছিলেন তিনি। আমাদের কাছে কোনো গ্রাহকের লকারের সঞ্চয় সম্পর্কে তথ্য থাকে না।”

Link copied!