সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৫, ০২:৪২ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী সাবেকুন নাহার সনি হত্যা মামলায় সাজাভোগ করার পর মুশফিক উদ্দিন টগর (৫০) অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র বেচাকেনায় জড়িত হন বলে জানিয়েছে র্যাব।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর আজিমপুর এলাকা থেকে মুশফিককে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ১টি রিভলবার, ১৫৬টি গুলি, একটি গুলির খোসা, দুটি মুখোশ, দুটি মুঠোফোন জব্দ করা হয়েছে।
শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৩ এর পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফায়েজুল আরেফীন বলেন, মুশফিক অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র কারবারি। তিনি সীমান্ত থেকে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র এনে ঢাকায় বিভিন্নজনের কাছে বিক্রি করতেন। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চলছে। তার বিরুদ্ধে রাজধানীর মুগদা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রয়েছে।
২০০২ সালের ৮ জুন বুয়েট ছাত্রদলের তৎকালীন সভাপতি মোকাম্মেল হায়াত খান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলের তৎকালীন ছাত্রদল নেতা মুশফিক উদ্দিন টগর গ্রুপের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে নিহত হন সনি। দরপত্র নিয়ে ওই সংঘর্ষ হয়।
বুয়েটের কেমিপ্রকৌশল বিভাগের ১৯৯৯ ব্যাচের ছাত্রী সাবেকুন নাহার সনি সেদিন ক্লাস শেষে বুয়েটের হলে ফিরছিলেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে তার নিহত হওয়ার পর সারা দেশে আন্দোলন হয়।
ঢাকার বিচারিক আদালতে সনি হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয় ২০০৩ সালের ২৯ জুন। রায়ে ছাত্রদলের নেতা মুশফিক উদ্দিন টগর, মোকাম্মেল হায়াত খান ওরফে মুকিত ও নুরুল ইসলাম ওরফে সাগরকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া পাঁচজনকে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
পরে ২০০৬ সালের ১০ মার্চ মুশফিকসহ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিনজনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন উচ্চ আদালত। মুশফিক উদ্দিন কারাভোগের পর ২০২২ সালে মুক্ত হন।