শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী: ঢাদসিক ও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের শ্রদ্ধা

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগস্ট ৫, ২০২৩, ১১:২৭ এএম

শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী: ঢাদসিক ও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের শ্রদ্ধা

ছবি: দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শহীদ শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

শনিবার (৫ অগাস্ট) রাজধানীর বনানী কবরস্থানে শহীদ শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকীতে তাঁর সমাধিতে ঢাদসিক মেয়র শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। পরে  সদস্য সচিব হিসেবে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের পক্ষেও তিনি  শহীদ শেখ কামালের সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করেন।

এ সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ১৯৪৯ সালের এই দিনে তদানীন্তন গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গীপাড়া গ্রামে শেখ কামাল জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে বিপথগামী একদল সেনাকর্মকর্তার নির্মম বুলেটে মাত্র ২৬ বছর বয়সে শাহাদাতবরণ করেন তিনি।

বহুমাত্রিক অনন্য সৃষ্টিশীল প্রতিভার অধিকারী তারুণ্যের দীপ্ত প্রতীক শহীদ শেখ কামাল শাহীন স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে বি এ অনার্স পাস করেন। বাংলাদেশের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি অঙ্গনের শিক্ষার অন্যতম উৎসমুখ ‘ছায়ানট’-এর সেতার বাদন বিভাগের ছাত্র ছিলেন। তিনি উপমহাদেশের অন্যতম সেরা ক্রীড়া সংগঠন, বাংলাদেশে আধুনিক ফুটবলের প্রবর্তক আবাহনী ক্রীড়াচক্রের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।

এছাড়া, শেখ কামাল  ছিলেন ঢাকা থিয়েটারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। অভিনেতা হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যাঙ্গনে সুপরিচিত ছিলেন। শৈশব থেকে ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, বাস্কেটবলসহ বিভিন্ন খেলাধূলায় বেশ উৎসাহ ছিল তাঁর। শেখ কামাল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ওয়ার কোর্সে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে মুক্তিবাহিনীতে কমিশনন্ড লাভ ও মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল ওসমানির এডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

স্বাধীনতার পর শেখ কামাল সেনাবাহিনী থেকে অব্যাহতি নিয়ে লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করেন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ছিলেন এবং শাহাদাত বরণের সময় বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সংগঠন জাতীয় ছাত্র লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন।

Link copied!