স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিডি ক্লিনের অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ‘১০০ স্মার্ট ডাস্টবিন’ স্থাপন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। এ সময় সংগঠনটির সঙ্গে জড়িত এক ঝাঁক তরুণ তরুণীকে যত্রতত্র ময়লা না ফেলার আহ্বান জানান তিনি।
তরুণ প্রজন্মকে নির্দিষ্ট জায়গায় ময়লা ফেলতে উদ্বুদ্ধ করে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, “নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলাই হবে আজকে থেকে প্রতিজ্ঞা। দেশে নাগরিক থাকলেও সুনাগরিকের অভাব আছে। শহর থেকে শুধু নিলেই হবে না, নির্দিষ্ট জায়গায় ময়লা ফেলার মাধ্যমে শহরকে সুন্দর রাখতে তরুণ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।”
বক্তৃতা শেষে ‘স্মার্ট ডাস্টবিন’ উদ্বোধন করেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। এ সময় স্মার্ট ডাস্টবিনের বিশেষত্ব সবার সামনে তুলে ধরেন বিডি ক্লিনের সদস্য মিল্টন সিকদার। তিনি বলেন, “ডাস্টবিন চুরি হওয়া দেশে একটি প্রধান সমস্যা। স্মার্ট ডাস্টবিন নিজেই নিজেকে রক্ষা করবে, এটি চুরি করা যাবে না। এটা এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যার পাশ দিয়ে গেলে সাধারণ মানুষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার বার্তা পাবেন।”
সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে ডাস্টবিনটিকে ‘বিনোদনের পার্ক’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মিল্টন সিকদার বলেন, “ডাস্টবিনটি দৃষ্টিনন্দন করে তৈরী করা হয়েছে। এছাড়া সূর্যের আলো থেকে ডাস্টবিনটি রক্ষা করতে কালার কোডিং করা হয়েছে। মানুষ এটির সাথে সেলফিও তুলতে চাইবেন; এমনকি নিজের পার্টনারও ভাবতে পারেন।”
স্মার্ট ডাস্টবিনের বিশেষত্ব
স্মার্ট ডাস্টবিনে ডুয়েল পাওয়ার সিস্টেমসহ একধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। ডাস্টবিনের ভেতর সিক্রেট ওয়ারিং ও প্লাস্টিকের বালতি রাখা হয়েছে। ডাস্টবিনের বাইরে থেকে তালা দেওয়া থাকে। কেউ চুরির উদ্দেশে ডাস্টবিনের ২৫ শতাংশ কাটলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি অ্যান্টিথিফ অ্যালার্ম বেজে উঠবে। পুলিশ যে ধরনের অ্যালার্ম ব্যবহার করে, ডাস্টবিনটিতে সেই ধরনের অ্যালার্ম আছে। ডাস্টবিন চুরি করে নিয়ে গেলেও রাস্তায় এই অ্যালার্ম বাজতে থাকবে। এই কারণে চোর কোনোভাবেই ডাস্টবিনটি চুরি করতে পারবেন না। সাধারণ মানুষ চোর ধরে ফেলতে পারবেন।”
স্মার্ট ডাস্টবিনে কোনো কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকলেও এর অ্যালার্ম সিস্টেম ৩০ দিন পর্যন্ত সক্রিয় থাকবে। ফলে ডাস্টবিনটি সাধারণের ব্যবহারের জন্য বিশেষ উপযোগী।