নিহতদের পরিবারে থামছে না মাতম

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

আগস্ট ৩, ২০২৪, ১০:৫২ এএম

নিহতদের পরিবারে থামছে না মাতম

ছবি: সংগৃহীত

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিকে শুরু হওয়া শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে গত ১৮ জুলাই থেকে সহিংসতার সূত্রপাত হয়। এতে কেউ ছেলে, কেউ বাবা, আবার কেউ ভাই হারিয়েছেন। সহিংসতায় নিহতদের মধ্যে কুষ্টিয়ার ৪ যুবক ও বাগেরহাটের ২ জন অন্যতম। চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের করা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, তাদের হারিয়ে ঘোর অমানিশায় ডুবে রয়েছে গোটা পরিবার।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পেয়ারা বিক্রি করে একমাত্র ছেলে মারুফ হোসেন কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে পড়িয়েছেন খোকসার বাসিন্দা শরীফ উদ্দিন। গত ১ জুলাই মারুফ হোসেন ইন্টার্ন করতে রাজধানীতে বনশ্রীতে যান। এরপর ১৯ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন তিনি। একমাত্র ছেলে হারিয়ে মারুফের বাবা শরীফ উদ্দিন বলেন, “মারুফকে কল দিয়ে বলেছিলাম বাহিরে মারামারি হচ্ছে- বাবা তুমি বাহিরে বের হইয়ো না। আমাকে কচ্ছে- আব্বু আমি বাসা থেকে বের হবো না। পরে তার এক বন্ধু কল দিয়ে বলে মারুফ মারা গেছে।”

সেদিনই রামপুরায় গুলিবিদ্ধ হন কুষ্টিয়ার কসবা গ্রামের আলমগীর শেখও। জীবিকার তাগিদে রাজধানীতে আসা আলমগীর ১৯ জুলাই আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পানি পান করাতে থাকেন। গুলিতে প্রাণ হারান তিনিও।

কোটা আন্দোলনে সহিংসতার সাক্ষী কুমারখালীর ফয়সাল হোসেন। ২০ জুলাই নারায়ণগঞ্জের জিরো পয়েন্টে একটি বহুতল ভবনে আগুন লাগে। সেখানে কাজ করছিলেন ফয়সাল। দুই সহকর্মী আব্দুস সালাম ও সেলিম মণ্ডলের নির্মম মৃত্যু খুব কাছ থেকে দেখা ফয়সাল বলেন, “ইট-খোয়া মারতেছিল, জানালা ভাঙছিল। তাই আমরা আর বাহির হতে পারছিলাম না। পরে গেটের সামনে গিয়ে দেখি সিঁড়ির সামনে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।”

এদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতার বলি হন বাগেরহাটের এইচএসসি পরীক্ষার্থী সাব্বির। পরীক্ষার মধ্যেই ঢাকায় এসেছিলেন চাকরির ইন্টারভিউ দিতে। কিন্তু ১৯ জুলাই রাজধানীর উত্তরায় মৃত্যু হয় তার। একমাত্র ছেলে হারিয়ে দিশেহারা মা বলেন, “আমার একটা মাত্র ছেলে। না খেয়েও আমার দিন গেছে। কত কষ্ট কইরা ছেলেকে লেখাপড়া শিখাইছি।”

একই দিন রাজধানীর মিরপুরে বাবার সঙ্গে জুমার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে গুলিতে নিহত হয় মোরেলগঞ্জের স্কুলছাত্র মাহফুজ।

Link copied!