আগস্ট ২৮, ২০২৩, ০৫:৩৫ পিএম
যেখানেই ঘটনা ঘটুক সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে অপরাধীদের শনাক্ত করে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছি উল্লেখ করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, আমরা শুধু ভাতই খাওয়াই না, অস্ত্রও উদ্ধার করি।”
সোমবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, “অনেকেই মনে করতে পারেন, ডিবি কার্যালয় একটা ভাতের হোটেল। এতে আমরা ডিমরালাইজড বা হতাশ হবো না। এটা আমাদের মানবিক দিক।”
ডিএমপির ডিবি প্রধান আরও বলেন, “ অনেক ভুক্তভোগী ও সাধারণ মানুষ ডিবি’র কাছে আসে। তখন আমরা তাদের সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করি। কিন্তু অনেক সময় সমস্যা সমাধানে সময় লেগে যায়। এসময় আমাদের অফিসাররা মানবিকভাবে তাদের নাস্তা কিংবা ভাত খেতে বলেন। এটা আমাদের মানবিকতা।”
হারুন অর রশীদ এসময় আরও বলেন, “আলামত যা-ই হোক না কেন, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে, অস্ত্র কারবারিরা যে দলেরই হোক না কেন, আমাদের ডিবি পুলিশের প্রতিটি টিম আইনগত প্রক্রিয়ায় তাদের গ্রেপ্তার করতে তৎপর রয়েছে। আমরা সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে চাই।”
কে ছাত্রলীগ বা ছাত্রদলের সেটি মুখ্য বিষয় নয় উল্লেখ করে ডিএমপির এই ডিবি প্রধান বলেন, “মুখ্য বিষয় হচ্ছে, সে অস্ত্র ব্যবসায়ী, চোরাকারবারি, অস্ত্র ভাড়া করে মানুষের জীবনকে শেষ করার কাজ করছে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিন্তে আমাদের পক্ষ থেকে যা যা করণীয় আমরা করবো। তাড়াতাড়ি কোন দলের ছত্রছায়ায় এসব করে তাহলেও আমরা তাদের ছাড় দেবো না।”
প্রসঙ্গত, দলীয় কর্মসূচি পালনকালে পুলিশের লাঠিচার্জে আহত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে ডিএমপির ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে মধ্যাহ্নভোজ করান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। মধ্যাহ্নভোজ করানোর ছবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর সারাদেশে তোলপাড় শুরু হয়। এবার ছাত্রদল নেতাদের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় সেই আলোচনা-সমালোচনার জবাব দিলেন ডিএমপি’র গোয়েন্দা শাথার এই প্রধান।